রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১

ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১
( ১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন )
 [৪ মে, ১৯৯১]
   
      ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কিত বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন৷
 

যেহেতু ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কিত বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
  
প্রথম খন্ড
প্রারম্ভিক
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা 
১৷ (১) এই আইন ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ নামে অভিহিত হইবে৷

(২) ইহা ২৪শে ফেব্রুয়ারী, ১৯৯১ তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
  
  
 
অন্যান্য আইনের প্রয়োগ 
২৷ এই আইনের বিধানাবলী, উহাতে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, [ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন)] সহ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের অতিরিক্ত, এবং উহার হানিকর নয়, বলিয়া গণ্য হইবে৷
  
  
 
সমবায় সমিতি ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আইনের সীমিত প্রয়োগ 
[ ৩। (১) এই আইনের কোন কিছুই সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ৪৭ নং আইন) অথবা সমবায় সমিতি সম্পর্কিত আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন সমবায় সমিতি এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩২ নং আইন) এর অধীন ক্ষুদ্র্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সনদপ্রাপ্ত কোন ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না:



তবে শর্ত থাকে যে, কোন সমবায় সমিতি সদস্য ব্যতীত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে অবৈধভাবে আমানত গ্রহণ করিলে ধারা ৪৪ এবং ৪৫ এর অধীন ব্যাংক-কোম্পানী যেভাবে পরিদর্শন করা হয় বা উহাকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক একইভাবে যে কোন সমবায় সমিতি পরিদর্শন করিতে, এবং ঐ সকল সমিতিকে নির্দেশ দিতে পারিবে।

(২) ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (৬), ধারা ২৭ক এবং ধারা ২৭কক এর বিধানাবলী ব্যতীত অন্য কোন কিছুই আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

(৩) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বা অন্য যে কোন আইনের অধীনে নিবন্ধীকৃত হইয়া থাকুক না কেন, ধারা ৪৪ এবং ৪৫ এর অধীন ব্যাংক-কোম্পানী যেভাবে পরিদর্শন করা হয় বা উহাকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক একইভাবে ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে গঠিত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সাবসিডিয়ারী কোম্পানী পরিদর্শন করিতে, এবং ঐ সকল সাবসিডিয়ারী কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে।]
  
  
 
[***] 
[ ***]
  
  
 
সংজ্ঞা 
৫৷ বিষয় অথবা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

(ক) "অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র" অর্থ সেই সব সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র যাহাতে কোন ট্রাষ্টী Trusts Act, 1882 (II of 1882) এর Section 20 এর clause (a), [ * * *], (c) অথবা (d) এর অধীন অর্থ বিনিয়োগ করিতে পারে, এবং ধারা [ ১৩(৩)] এর ব্যাপারে, সেই সব সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে যেসব সম্পত্তি নিদর্শন-পত্রকে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ধারার ব্যাপারে অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র হিসাবে ঘোষণা করে;

[ (কক) “আর্থিক প্রতিষ্ঠান” অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নম্বর আইন) এর ধারা ২ এর দফা (খ) তে সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান;]

(খ) “কোম্পানী” অর্থ এমন কোন কোম্পানী যাহা কোম্পানী আইন অনুসারে অবসায়িত হইতে পারে;

(গ) “কোম্পানী আইন” অর্থ [ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন)];

[ (গগ) ‘‘খেলাপী ঋণ গ্রহীতা’’ অর্থ কোন দেনাদার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যাহার নিজের বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদত্ত অগ্রীম, ঋণ বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা বা উহার অংশ বা উহার উপর অর্জিত সুদ বা উহার মুনাফা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত সংজ্ঞা অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৬ (ছয়) মাস অতিবাহিত হইয়াছে;

ব্যাখ্যা।- এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক না হইলে অথবা উক্ত প্রতিষ্ঠানে তাহার বা উহার শেয়ারের অংশ ২০% এর অধিক না হইলে অথবা উক্ত প্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদাতা না হইলে, উক্ত প্রতিষ্ঠান তাহার বা উহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বলিয়া গণ্য হইবে না;]

[ (গগগ) ‘‘ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩২ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (২১) এ সংজ্ঞায়িত কোন ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান;]

(ঘ) “চাহিবা মাত্র দায়” অর্থ এমন আর্থিক দায় যাহা চাহিবা মাত্র অবশ্যই পরিশোধ করিতে হইবে;

১০[ (ঙ) “জামানতী ঋণ বা অগ্রিম’’ অর্থ সেই ঋণ বা অগ্রিম যাহা সম্পদের জামানত গ্রহণ করিয়া প্রদান করা হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ণীত উক্ত সম্পদের বাজার মূল্য কোন সময়েই ঋণের পরিমাণের চাইতে কম হয় না, এবং ‘‘অজামানতী ঋণ বা অগ্রিম’’ অর্থ সেই ঋণ বা অগ্রিম বা উহার ঐ অংশ যাহার বিপরীতে কোন জামানত গ্রহণ করা হয় না;]

(চ) “তফসিলি ব্যাংক” সেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে যে অর্থে Bangladesh Bank Order (P. O. No. 127 of 1972) Article 2 (j) তে æScheduled bank” কথাটি ব্যবহৃত হইয়াছে;

১১[ (ছ) “দেনাদার” অর্থ ১২[ ঋণ ও অগ্রিম গ্রহণ,] লাভ-ক্ষতির ভাগাভাগি, খরিদ বা ইজারার ভিত্তিতে বা অন্য কোনভাবে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণকারী ব্যক্তি, কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান এবং কোন জামিনদারও ইহার অন্তর্ভূক্ত হইবে;]

১৩[ ***]

(ঝ) “পাওনাদার” অর্থে-

১৪[ (১) ১৫[ আমানত প্রদানকারী বা লাভ-ক্ষতির ] ভিত্তিতে অর্থ গচ্ছিত রাখিয়াছেন এমন ব্যক্তি, কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান, বা]

(২) লাভ-ক্ষতির ভাগাভাগি, ভাড়ায় খরিদ বা ইজারার ভিত্তিতে বা অন্য কোনভাবে আর্থিক সুযোগ সুবিধা প্রদানকারী কোম্পানী বা অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানও বুঝাইবে;

(ঞ) “প্রাইভেট কোম্পানী” সেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে যে অর্থে উহা কোম্পানী আইনে ব্যবহৃত হইয়াছে;

(ট) “বাংলাদেশ ব্যাংক” অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) এর অধীন স্থাপিত Bangladesh Bank;

(ঠ) “বিধি” অর্থ এই ১৬[ আইনের] অধীন প্রণীত বিধি;

(ড) “ ১৭[ বিশেষায়িত ব্যাংক]” অর্থ আপাততঃ বলবত্ কোন আইনের দ্বারা বা অধীন স্থাপিত বা গঠিত কোন ব্যাংক এবং সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন ব্যাংক-কে ১৮[ বিশেষায়িত ব্যাংক] হিসাবে ঘোষণা করিলে সেই ব্যাংকও এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(ঢ) “ব্যবস্থাপনা পরিচালক” অর্থ-

১৯[ ***]

(২) ২০[ বিশেষায়িত] ব্যাংকের ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যাংক যে আইন বা আইনের মর্যাদা বিশিষ্ট দলিলের অধীনে প্রতিষ্ঠিত বা গঠিত হইয়াছে উহাতে প্রদত্ত সংজ্ঞাভুক্ত কোন Managing Director;

(৩) অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানীর ক্ষেত্রে সেই পরিচালক, যাঁহার উপর, উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর কোন চুক্তি বা উহার সাধারণ বা পরিচালনা পর্ষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাব, বা উহার সংঘ-স্মারকের বিধান অনুসারে, উহার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পণ করা হইয়াছে, এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে, উক্ত পদের নাম যাহাই হউক না কেন, অধিষ্ঠিত কোন পরিচালকও এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;

২১[ (ণ) ‘‘ব্যাংক-কোম্পানী’’ অর্থ ধারা ৩১ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাংলাদেশে ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনাকারী কোন কোম্পানী, এবং যে কোন বিশেষায়িত ব্যাংকও উহার অন্তর্ভূক্ত হইবে;]



(ত) “ব্যাংক ব্যবসা” অর্থ কর্জ প্রদান বা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে জনসাধারণের নিকট হইতে টাকার এইরূপ আমানত গ্রহণ করা, যাহা চাহিবামাত্র বা অন্য কোনভাবে পরিশোধযোগ্য এবং চেক, ড্রাফ্‌ট, আদেশ বা অন্য কোন পদ্ধতিতে প্রত্যাহারযোগ্য;

(থ) “মেয়াদী দায়” অর্থ চাহিবামাত্র দায় ব্যতীত অন্যান্য আর্থিক দায়;

২২[ (থথ) “মুদারাবা সার্টিফিকেট” অর্থ মুদারাবার ভিত্তিতে প্রদত্ত সার্টিফিকেট;

(থথথ) “মুদারাবা” অর্থ এমন চুক্তি যাহার শর্তানুসারে ইসলামী ২৩[ শরীয়াহ] মোতাবেক পরিচালিত কোন ব্যাংক কোন কিছুতে মূলধন যোগান দেয় এবং গ্রাহক উহাতে দক্ষতা, প্রচেষ্টা, শ্রম ও প্রজ্ঞা নিয়োজিত করে;

(থথথথ) “মুশারিকা সার্টিফিকেট” অর্থ মুশারিকার ভিত্তিতে প্রদত্ত সার্টিফিকেট;

(থথথথথ) “মুশারিকা” অর্থ এমন চুক্তি যাহার অধীন কোন কাজে মূলধনের এক অংশ ইসলামী ২৪[ শরীয়াহ] মোতাবেক পরিচালিত কোন ব্যাংক এবং অপর অংশ গ্রাহক যোগান দেয় এবং যে কাজের লাভ চুক্তিতে উল্লিখিত অনুপাতে এবং লোকসান মূলধন অনুপাতে বণ্টিত হয়;]

(দ) “স্বর্ণ” অর্থ মুদ্রার আকারে স্বর্ণ, আইনানুগ টেন্ডার হউক বা না হউক, অথবা বাট বা পিণ্ড আকারে স্বর্ণ, পরিশোধিত হউক বা না হউক;

(ধ) “রেজিষ্ট্রার” সেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে যে অর্থে উহা কোম্পানী আইনে ব্যবহৃত হইয়াছে৷
  
  
 
সংঘ স্মারক ইত্যাদির উপর আইনের প্রাধান্য 
৬৷ এই আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে,

(ক) ২৫[ বিশেষায়িত] ব্যাংক ব্যতীত, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর মেমোরেন্ডাম ও আর্টিকেলস্‌, উহার সম্পাদিত কোন চুক্তি, বা উহার সাধারণ সভায় বা পরিচালনা পর্ষদের সভায় গৃহীত কোন প্রস্তাবে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এবং উহা এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে বা পরে, ক্ষেত্রমত, রেজিষ্ট্রিকৃত বা সম্পাদিত বা গৃহীত হউক বা হইয়া থাকুক না কেন এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে, এবং

(খ) উক্ত মেমোরেন্ডাম, আর্টিকেলস্‌, চুক্তি বা প্রস্তাবের কোন বিধানের যতটুকু এই আইনের সহিত অসামঞ্জস্য থাকিবে উক্ত বিধানের ততটুকু অবৈধ হইবে৷
  
  
দ্বিতীয় খন্ড
ব্যাংক-কোম্পানির কার্যাবলী
 
ব্যাংক-কোম্পানীর কার্যাবলী 
৭৷ (১) ব্যাংক-ব্যবসা ছাড়াও, কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন ব্যবসায় নিয়োজিত হইতে পারিবে, যথা :-

(ক) ঋণ গ্রহণ, অর্থ সংগ্রহ বা গ্রহণ;

(খ) জামানত লইয়া বা জামানত ব্যতিরেকে অগ্রিম অর্থ বা কর্জ প্রদান;

(গ) বিনিময় বিল, হুণ্ডি, প্রতিশ্রুতিপত্র, কূপন, ড্রাফ্‌ট, বহনপত্র, রেলওয়ে রশিদ, ওয়ারেন্ট, ঋণপত্র, সার্টিফিকেট, মেয়াদী অংশগ্রহণ-পত্র, মেয়াদী অর্থ সংস্থান-পত্র, মুশারিকা সার্টিফিকেট, ২৬[ মুদারাবা] সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অনুরূপ অন্যান্য দলিল, এবং হস্তান্তর বা বিনিময়যোগ্য হউক বা না হউক এমন অন্যান্য দলিল ও সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র, ক্ষেত্রমত, সম্পাদন, লিখন, দাবী প্রস্তুতকরণ, বাট্টাকরণ, ক্রয়, বিক্রয়, সংগ্রহ এবং লেনদেন;

(ঘ) লেটার অব ক্রেডিট, ট্রাভেলার্স চেক, ২৭[ ব্যাংক কার্ড] এবং সার্কুলার নোট অনুমোদন ও ইস্যু করা;

(ঙ) স্বর্ণ, রৌপ্য ও অন্যান্য ধাতব মুদ্রা ক্রয়, বিক্রয় এবং লেনদেন;

(চ) বিদেশী ব্যাংক নোটসহ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় এবং বিক্রয়;

(ছ) ষ্টক, তহবিল, শেয়ার, ডিবেঞ্চার-ষ্টক, বন্ড, দায় সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র, মেয়াদী অংশগ্রহণ-পত্র, মেয়াদী অর্থ সংস্থান-পত্র, মুশারিকা সার্টিফিকেট, ২৮[ মুদারাবা] সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য দলিল ও সর্বপ্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ধারণ, কমিশন ভিত্তিতে প্রেরণ, এবং উহাদের দায় গ্রহণ ও লেনদেন;

২৯[ (জ) বন্ড, স্ক্রিপ বা অন্যান্য প্রকারের সম্পত্তি নিদর্শন পত্র যথা, মেয়াদী অংশগ্রহণ-পত্র, মেয়াদী অর্থ সংস্থান-পত্র, মুদারাবা সার্টিফিকেট, মুশারিকা সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য অনুরূপ দলিল, সরকারের পক্ষে বা অন্যান্যদের পক্ষে ক্রয় ও বিক্রয়;]

(ঝ) ঋণ ও অগ্রিমের বন্দোবস্ত করা;

(ঞ) সর্বপ্রকার বন্ড ও মূল্যবান সামগ্রীর আমানত গ্রহণ বা উহাদিগকে নিরাপদ হেফাজতে বা অন্যভাবে রাখিবার জন্য গ্রহণ;

(ট) গচ্ছিত বস্তুর নিরাপত্তার জন্য ভল্টের ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ঠ) সম্পত্তি নিদর্শন-পত্রের বিপরীতে টাকা সংগ্রহ ও প্রেরণ;

(ড) সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন ব্যক্তির প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করা;

(ঢ) কোন কোম্পানী ব্যবস্থাপক প্রতিনিধি এবং কোষাধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করা ব্যতীত, গ্রাহকদের প্রতিনিধি হিসাবে মালামাল খালাস ও প্রেরণ এবং আমমোক্তার হিসাবে কাজ করাসহ যে কোন ধরনের এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনা;

(ণ) সরকারী এবং বেসরকারী ঋণের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা ও চুক্তি সম্পাদন এবং উক্ত ঋণ প্রদান;

(ত) কোন কোম্পানী, কর্পোরেশন বা সমিতির শেয়ার, ষ্টক, ঋণপত্র বা ডিবেঞ্চার-ষ্টক বিতরণে ঝুঁকি গ্রহণ, নিশ্চয়তা প্রদান ও দায়গ্রহণ এবং উক্তরূপ কোন কাজের জন্য ঋণ প্রদান;

(থ) যে কোন প্রকার জামিন এবং ক্ষতি নিস্কৃতি ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনা এবং উক্তরূপ ব্যবসায়ে লেনদেন;

(দ) স্বাভাবিক ব্যাংক-ব্যবসা পরিচালনাকালে-

(১) বিক্রেতা কর্তৃক পুনঃ ক্রয়, বা

(২) ভাড়ায় খরিদ পদ্ধতিতে বিক্রয়, বা

(৩) বিলম্বে মূল্য পরিশোধ, বা

(৪) ইজারা, বা

(৫) আয় ভাগাভাগি, বা

(৬) অন্য কোনভাবে অর্থ সংস্থান,

এর ব্যবস্থাসহ বা অনুরূপ ব্যবস্থা ব্যতিরেকে পণ্য, পেটেন্ট, ডিজাইন, ট্রেডমার্ক এবং গ্রন্থস্বত্বসহ যে কোন সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন;

(ধ) ব্যাংক-কোম্পানীর কোন দাবীর আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিশোধের জন্য কোন সম্পত্তি দখলে গ্রহণ বা অনুরূপ সম্পত্তির উদ্ধার ও ব্যবস্থাপনা;

(ন) কোন ঋণ বা অগ্রিমের জামানতের সম্পত্তি বা জামানত সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ অর্জন, ধারণ এবং উহাদের ব্যবস্থাপনা;

(প) ট্রাষ্টের দায়িত্ব গ্রহণ ও উহার বাস্তবায়ন;

(ফ) নির্বাহক বা ট্রাষ্টি হিসাবে বা অন্যভাবে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ;

(ব) ব্যাংক-কোম্পানীর কর্মচারী বা প্রাক্তন কর্মচারী বা তাঁহাদের পোষ্যগণের কল্যাণার্থে-

(১) সমিতি, প্রতিষ্ঠান, তহবিল, ট্রাষ্ট অথবা অন্য কোন সংস্থা স্থাপন এবং উহাদের স্থাপনকল্পে সাহায্য বা সহযোগিতা প্রদান;

(২) পেনশন ও ভাতা প্রদান;

(৩) বীমার প্রিমিয়াম প্রদান;

(৪) কোন প্রদর্শনী বা সাধারণভাবে উপকারী কোন কাজে চাঁদা প্রদান;

(৫) ঐসব ব্যাপারে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা;

(ভ) উহার প্রয়োজন বা সুবিধার্থে ইমারত বা এইরূপ অন্যকিছু অর্জন, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উহার পরিবর্তন সাধন;

(ম) উহার সমুদয় সম্পত্তি বা অংশ বিশেষ বা উহার কোন অধিকার বিক্রয়, উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, বিনিময়, ইজারা প্রদান, বন্ধকে রাখা বা অন্যবিধ উপায়ে হস্তান্তরকরণ বা টাকায় রূপান্তরকরণ বা অন্য কোন উপায়ে উক্ত সম্পত্তি বা অধিকার সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ;

(য) এই উপ-ধারায় বর্ণিত ব্যবসার প্রকৃতির সহিত মিল থাকিলে, কোন ব্যক্তি বা কোম্পানীর ব্যবসা বা ব্যবসার কোন অংশ অর্জন এবং উহার দায়িত্ব গ্রহণ;

(র) উহার ব্যবসায়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনের জন্য আনুষংগিক ও সহায়ক অন্যান্য সকল কাজকর্ম সম্পাদন;

(ল) সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা অন্য যেসব ব্যবসা ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক করা যাইতে পারে বলিয়া নির্দিষ্ট করা হয় সেই সকল ব্যবসায়৷

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যবসায় ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসায়ে নিয়োজিত হইতে পারিবে না৷

৩০[ (৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের ধারা ২৬ এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী স্টক-ব্রোকার, স্টক-ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসাবে বা সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন হইতে নিবন্ধন গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে এইরূপ কোন ব্যবসায়ে সরাসরি লিপ্ত হইতে পারিবে না।]
  
  
 
“ব্যাংক” বা তদুদ্‌ভূত অন্যান্য শব্দের ব্যবহার 
৮। বাংলাদেশে ব্যাংক-ব্যবসায়ে নিয়োজিত প্রত্যেক কোম্পানী উহার নামের অংশ হিসাবে "ব্যাংক" শব্দটি অথবা ইহা হইতে উদ্ভূত অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করিবে এবং ব্যাংক-কোম্পানী ব্যতীত ৩১[ অন্য কোন কোম্পানী কিংবা প্রতিষ্ঠান] ইহার নামের অংশ হিসাবে এমন কোন শব্দ ব্যবহার করিবে না যাহাতে উহাকে ব্যাংক-কোম্পানী হিসাবে মনে করিবার অবকাশ থাকে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোন কিছুই নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা :-

(ক) ধারা ২৬ (১)এ উল্লিখিত এক বা একাধিক উদ্দেশ্যে গঠিত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সাবসিডিয়ারী কোম্পানী;

(খ) ব্যাংকসমূহের পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে গঠিত কোন সমিতি, যাহা কোম্পানী আইনের ৩২[ ধারা ২৮] এর অধীনে নিবন্ধনকৃত:

তবে আরও শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পূর্ণ বা আংশিক মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোন কোম্পানীকে উহা ব্যাংক কোম্পানী না হইলেও, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এবং তত্কর্তৃক নির্দ্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, উহার নামের অংশ হিসাবে “ব্যাংক” বা উক্ত শব্দ হইতে উদ্ভূত অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করিবার জন্য অধিকার দিতে পারিবে৷
  
  
 
কতিপয় ব্যবসায় নিষিদ্ধ 
৯৷ ধারা ৭ এর অধীন অনুমোদিত ব্যবসা ব্যতীত, কোন ব্যাংক-কোম্পানী, উহাকে প্রদত্ত বা উহা কর্তৃক রক্ষিত জামানত আদায়ের ক্ষেত্র ছাড়া, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন পণ্যের ক্রয়, বিক্রয় বা বিনিময় ব্যবসা করিবে না, অথবা আদায় বা কারবারের জন্য প্রাপ্ত বিনিময় বিল সংক্রান্ত কারণ ব্যতীত, অন্যের জন্য কোন ব্যবসায় বা কোন পণ্য ক্রয়, বিক্রয় বা বিনিময়ে লিপ্ত হইতে পারিবে না ৩৩[ :

তবে শর্ত থাকে যে, ইসলামী ৩৪[ শরীয়াহ] মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংক কোম্পানী কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্বীকৃত ইসলামী পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক মালামাল বা পণ্য ক্রয়, বিক্রয় বা বিনিময়ের ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷]

ব্যাখ্যা- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “পণ্য” অর্থ, আদায়যোগ্য দাবী, ষ্টক, শেয়ার, টাকা পয়সা, স্বর্ণ-রৌপ্য ৩৫[ ও অন্যান্য ধাতু এবং ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ), (ঘ), (ছ) ও (জ) এ উল্লিখিত সকল দলিল দস্তাবেজ ব্যতীত, সকল প্রকারের অস্থাবর সম্পত্তি] ৷
  
  
 
ব্যাংক ব্যবসায়ে ব্যবহৃত নয় এমন সম্পত্তি হস্তান্তর 
১০৷ (১) ধারা ৭ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিজস্ব ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় নয় এমন কোন স্থাবর সম্পত্তি, উহা যে ভাবেই অর্জিত হইয়া থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানী, উহা অর্জনের তারিখ হইতে সাত বত্সর বা এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে সাত বত্সর, যাহা পরে শেষ হয়, এর অধিক সময় সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার পর স্বীয় অধিকারে রাখিবে না৷

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহাই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীগণের স্বার্থে, উক্ত সম্পত্তি অধিকারে রাখার সময়সীমা বর্ধিত করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময় অনধিক পাঁচ বত্সর পর্যন্ত বর্দ্ধিত করিতে পারিবে৷

(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যাংক-কোম্পানীর প্রকৃত প্রয়োজনে ব্যবহৃত হইলে উক্ত সম্পত্তি ব্যাংক-কোম্পানীর নিজস্ব ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে৷
  
  
 
ব্যবস্থাপক প্রতিনিধি নিয়োগ নিষিদ্ধকরণ ও কতিপয় নিয়োগের উপর বাধা নিষেধ 
১১৷ (১) কোন ব্যাংক কোম্পানী-

(ক) উহার জন্য ব্যবস্থাপক প্রতিনিধি নিয়োগ করিবেনা বা ব্যবস্থাপক প্রতিনিধির দ্বারা উহার ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করিবেনা; বা

(খ) এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিবেনা বা এমন কোন ব্যক্তির নিয়োগ অব্যাহত রাখিবেনা-

(অ) যিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন, বা কোন সময় দেউলিয়া ছিলেন, বা তাঁহার পাওনাদারের পাওনা পরিশোধ বন্ধ করিয়াছেন, বা পাওনাদারের সহিত আপোষ রফার মাধ্যমে পাওনা আদায় হইতে অব্যাহতি লাভ করিয়াছেন, বা নৈতিক স্খলনজনিত কারণে কোন ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হইয়াছেন;

(আ) যিনি তাঁহার পারিশ্রমিক বা পারিশ্রমিকের অংশ কমিশনের আকারে বা কোম্পানীর লাভের অংশের আকারে গ্রহণ করেন :

তবে শর্ত থাকে যে,এই উপ-দফার কোন কিছুই ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত নিম্নলিখিত বোনাস বা কমিশনের—ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-

(১) কোন আইনের অধীনে শিল্প বিরোধ সম্পর্কিত কোন নিস্পত্তি বা রোয়েদাদ মোতাবেক, বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক প্রণীত কোন স্কীম অনুসারে বা ব্যাংক-কোম্পানী প্রচলিত রীতি অনুসারে প্রদত্ত বোনাস; বা



(২) জামিনদার দালালসহ যে কোন দালাল, ক্যাশিয়ার, ঠিকাদার, মালামাল খালাস ও প্রেরণকারী প্রতিনিধি, নিলামদার বা, উক্ত কোম্পানীর নিয়মিত কর্মচারী ব্যতীত, চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত অন্য যে কোন ব্যক্তিকে প্রদত্ত কমিশন; ৩৬[ ***]

(ই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মতানুসারে যাহার পারিশ্রমিক মাত্রাতিরিক্ত৷

ব্যাখ্যা ১৷- এই উপ-দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, “পারিশ্রমিক” বলিতে ব্যাংক কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত কোন ব্যক্তির বেতন, ফিস এবং বেতন-অতিরিক্ত সুবিধাদিও অন্তর্ভুক্ত হইবে, কিন্তু দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে তিনি যে প্রকৃত খরচ করিয়াছেন তাহা পরিশোধ করার জন্য যে অর্থ বা ভাতা তাঁহাকে দেওয়া হয় উহা অন্তর্ভুক্ত হইবে না;

ব্যাখ্যা ২৷- এই উপ-দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন পারিশ্রমিক মাত্রাতিরিক্ত কিনা ইহা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনা করিতে পারিবে, যথা :-

(ক) ব্যাংক-কোম্পানীর আর্থিক অবস্থা, কর্মকান্ডের ব্যাপকতা, ব্যবসার পরিমাণ এবং উপার্জন —ক্ষমতার সাধারণ ঝোঁক;

(খ) উহার শাখা বা কার্যালয়ের সংখ্যা;

(গ) পারিশ্রমিক প্রাপ্ত ব্যক্তির যোগ্যতা, বয়স এবং অভিজ্ঞতা;

(ঘ) ব্যাংক-কোম্পানীতে নিয়োজিত অন্যান্য ব্যক্তিকে অথবা প্রায় একই অবস্থাসম্পন্ন অন্যান্য ব্যাংক-কোম্পানীতে অনুরূপ পদে নিয়োজিত ব্যক্তিকে প্রদত্ত পারিশ্রমিকের পরিমাণ; এবং

(ঙ) উহার আমানতকারীদের স্বার্থ৷

(গ) এমন ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হইবে না, যিনি-

(অ) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন গ্রহণ না করিয়া, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা কোম্পানী আইনের ৩৭[ ধারা ২৮] এর অধীন নিবন্ধীকৃত কোন কোম্পানী ব্যতীত অন্য কোন কোম্পানীর পরিচালক হিসাবে কার্যরত আছেন; বা

(আ) অন্য কোন ব্যবসায়ে বা পেশায় নিয়োজিত আছেন; বা

(ই) কোন সময়ে ৩৮[ একাদিক্রমে] পাঁচ বত্সরের অধিক সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন :

তবে শর্ত থাকে যে, ব্যাংক-কোম্পানী পরিচালনার জন্য কোন চুক্তির মেয়াদ, কোম্পানীর পরিচালকদের সিদ্ধান্তের দ্বারা, প্রতিবারে অনধিক পাঁচ বত্সরের জন্য নবায়ন বা বর্ধিত করা যাইবে :

তবে আরও শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক হওয়ার কারণেই কোন পরিচালক, ব্যবস্থাপনা-পরিচালক ব্যতীত, এর—ক্ষেত্রে এই দফার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবেনা৷

(২) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান, পরিচালক, ম্যানেজার, বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হউন, সম্পর্কে কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, তিনি কোন আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়াছেন, এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্তরূপ লঙ্ঘন এতই গুরুতর যে, ব্যাংক-কোম্পানীর সহিত উক্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট থাকা ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী বা অন্য কোনভাবে অবাঞ্চিত হইবে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, আদেশে উল্লেখিত তারিখ হইতে, উক্ত ব্যক্তি তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না, এবং এইরূপ আদেশ প্রদান করা হইলে, উক্ত তারিখ হইতে তাঁহার উক্ত পদ শূন্য হইবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশে ইহা উল্রেখ করা যাইতে পারে যে, উক্ত ব্যক্তি, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে, উক্ত আদেশে উল্লেখিত মেয়াদ, যাহা পাঁচ বত্সরের বেশী হইবে না, এর মধ্যে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট থাকিবেন না বা অংশ গ্রহণ করিবেন না৷

(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রস্তাবিত কোন আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট তাঁহার বক্তব্য পেশ করিবার সুযোগ না দিয়া উক্ত আদেশ প্রদান করা যাইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, অনুরূপ কোন সুযোগ প্রদানজনিত বিলম্ব উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা ইহার আমানতকারীগণের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হইবে, তাহা হইলে অনুরূপ সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন হইবে না৷

৩৯[ (৪ক) যদি কোন ব্যাংক কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা অর্থ আত্মসাত, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে চাকুরী হইতে বরখাস্ত হন, তাহা হইলে তিনি পরবর্তী কোন ব্যাংক কোম্পানীর চাকুরীতে নিয়োগের অযোগ্য হইবেন৷]

(৫) এই ধারার অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ চূড়ান্ত হইবে৷
  
  
 
দলিল ও ৪০[ নথিপত্র এবং কর্মপ্রক্রিয়া] অপসারণের উপর বাধা-নিষেধ 
১২৷ কোন ব্যাংক-কোম্পানী সদর দপ্তর বা কোন শাখা হইতে, আপাততঃ উহাতে কোন কার্য পরিচালিত হউক বা না হউক, উহার ব্যবসা সংক্রান্ত কোন দলিল বা ৪১[নথিপত্র কিংবা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রক্রিয়াযোগ্য কার্যক্রম], বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে, বাংলাদেশের বাহিরে কোন স্থানে অপসারণ করিবেনা৷

ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-

(ক) “নথিপত্র” অর্থ ৪২[ তথ্যপ্রযুক্তি] কলাকৌশলের সাহায্যে বা অন্য কোন উপায়ে রক্ষিত লেজার, ডে-বুক, ক্যাশ বহি, হিসাব বহি এবং ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসায়ে ব্যবহৃত অন্য সকল বহি; এবং

(খ) “দলিল” অর্থ ৪৩[ তথ্যপ্রযুক্তি] কলাকৌশলের সাহায্যে বা অন্য কোন উপায়ে রক্ষিত ভাউচার, চেক, বিল, পে-অর্ডার, অগ্রিমের জামানত এবং ব্যাংক-কোম্পানীর বহিতে উল্লেখিত কোন বিষয়ের সমর্থনকারী বা উহার স্বপক্ষে বা বিপক্ষে কোন দাবী সমর্থনকারী অন্য যে কোন দলিল৷
  
  
 
৪৪[ মূলধন সংরক্ষণ] 
১৩৷ ৪৫[ (১) বাংলাদেশে কার্যরত সকল ব্যাংক-কোম্পানীকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময়ে সময়ে, নির্ধারিত পরিমাণে, হারে ও পন্থায় মূলধন সংরক্ষণ করিতে হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে, বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহকে এই ধারার বিধান হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবে।

ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘মূলধন’’ বলিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময়ে সময়ে, জারীকৃত মূলধন সংরক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালায় যে সকল উপাদানকে মূলধন বলিয়া নির্দিষ্ট করা হইবে সেই সকল উপাদানকে বুঝাইবে।

(২) আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়ামসহ সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংসে এর সমষ্টি, এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত পরিমাণের কমপক্ষে সমান সংরক্ষিত না হইলে এই আইন কার্যকর হইবার পর হইতে, বিদ্যমান কোন ব্যাংক-কোম্পানী, একাদিক্রমে অনুরূপ সংরক্ষণে ব্যর্থতার ২ (দুই) বৎসর অতিবাহিত হইবার পর, বাংলাদেশে উহার ব্যবসা পরিচালনা করিবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক সমীচীন মনে করিলে বিশেষ ক্ষেত্রে উল্লিখিত মেয়াদ অনধিক ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবে।]

৪৬[ (৩) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধিত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে উক্ত ব্যাংক কোম্পানী নগদে বা দায়হীন অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শনপত্রে অথবা আংশিক নগদে ও আংশিক অনুরূপ নিদর্শনপত্রে অথবা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন সম্পদে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট ৪৭[ উক্ত অর্থ জমা না রাখিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (২) এর] বিধান পালন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না :

তবে আরও শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশের বাহির হইতে তহবিল ৪৮[ আনয়ন] করিয়া বা বাংলাদেশের আমানত হইতে অর্জিত বিদেশে প্রেরণযোগ্য মুনাফা দ্বারা আহরিত সম্পদে উক্ত অর্থ জমা রাখিতে হইবে।]

(৪) ৪৯[ ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে বিলুপ্ত৷]

(৫) যদি কোন কারণে বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার ব্যাংক-ব্যবসা বাংলাদেশে বন্ধ করিয়া দেয়, তাহা হইলে উপ-ধারা (৪) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট উক্ত ব্যাংক কর্তৃক জমাকৃত অর্থ উহার সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত ব্যাংকের বাংলাদেশস্থ পাওনাদারদের পাওনা উক্ত অর্থের উপর প্রথম দায় হইবে।

(৬) ৫০[ কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক সংরক্ষিতব্য বা সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ বা উপাদান ইত্যাদি] নির্ধারণের বিষয়ে কোন বিরোধ দেখা দিলে তত্সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷

৫১[ (৭) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) মোতাবেক আবশ্যক পরিমাণে, হারে ও পন্থায় মূলধন সংরক্ষণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছে তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীকে অনধিক ১ (এক) বৎসরের মধ্যে উক্ত ঘাটতি পূরণের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং এইরূপ নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ব্যর্থতা অব্যাহত থাকিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর বিরুদ্ধে নিম্নবর্ণিত যে কোন অথবা সকল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা:-

(ক) নির্দিষ্ট মেয়াদে বা অনুরূপ ঘাটতি পূরণের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত ব্যাংক কর্তৃক নূতন আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ করা;

(খ) নির্দিষ্ট মেয়াদে বা অনুরূপ ঘাটতি পূরণের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত ব্যাংক কর্তৃক নূতন ঋণ ও অগ্রিম প্রদান নিষিদ্ধ করা;

(গ) উক্ত ব্যর্থতার জন্য সর্বনিম্ন বিশ লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব এক কোটি টাকা জরিমানা আরোপ এবং যদি উক্ত লংঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত লংঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ; এবং

(ঘ) এই আইনের অধীন অন্যান্য শাস্তি বা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।]

৫২[ ব্যাখ্যা- এই ধারায় “ঝুঁকি-ভিত্তিক মূলধন” বলিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সম্পদের ভারিত (Weighted) ঝুঁকির ভিত্তিতে নিরূপিত মোট সম্পদের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হারে রক্ষিতব্য মূলধনকে বুঝাইবে৷]
  
  
 
৫৩[ বিলুপ্ত] 
১৩ক৷ ৫৪[ সম্পদে ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন- ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৯ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷]
  
  
 
আদায়কৃত মূলধন, প্রতিশ্রুত মূলধন, অনুমোদিত মূলধন ও শেয়ার হোল্ডারগণের ভোটাধিকার নিয়ন্ত্রণ 
১৪৷ (১) ৫৫[ বিশেষায়িত] ব্যাংক ব্যতীত বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী পূরণ না করিলে, উহা বাংলাদেশে ব্যবসা আরম্ভ করিতে পারিবেনা :-

(ক) উহার প্রতিশ্রুত মূলধন অনুমোদিত মূলধনের অর্ধেকের কম হইবে না;

(খ) উহার আদায়কৃত মূলধন প্রতিশ্রুত মূলধনের অর্ধেকের কম হইবে না;

(গ) ৫৬[ উহার অনুমোদিত মূলধন] বর্ধিত করা হইলে (ক) ও (খ) দফার শর্তাবলী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়, যাহা দুই বত্সরের বেশী হইবেনা, এর মধ্যে পূরণ করিতে হইবে;

(ঘ) উহার মূলধন শুধুমাত্র সাধারণ শেয়ার সমন্বয়ে গঠিত হইবে;

(ঙ) দফা (চ) এর বিধান সাপেক্ষে, উহার যে কোন শেয়ার হোল্ডারের ভোটাধিকার আদায়কৃত মূলধনে তাঁহার প্রদত্ত অংশের অনুপাতে নির্ধারিত হইবে;

(চ) সরকার ব্যতীত অন্য কোন একক শেয়ার হোল্ডারের ভোটাধিকার সকল শেয়ার হোল্ডারগণের সামগ্রিক ভোটাধিকারের শতকরা পাঁচ ভাগের বেশী হইবে না৷

(২) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বা কোন চুক্তি বা অন্য কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুকনা কেন, কোন ব্যক্তি ৫৭[ ***] কোন ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার হিসাবে রেজিষ্ট্রিভুক্ত হইলে, তাঁহার বিরুদ্ধে তাঁহার শেয়ারের স্বত্ব, অন্য কোন ব্যক্তির উপর ন্যস্ত হইয়াছে এই দাবীতে কোন মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারারক্ষেত্রে এই উপ-ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না, যথা :-



(ক) শেয়ার হস্তান্তর সংক্রান্ত আইন অনুসারে কোন রেজিষ্ট্রিভুক্ত শেয়ার হোল্ডার হইতে কোন শেয়ারের হস্তান্তর গ্রহীতা;

(খ) কোন রেজিষ্ট্রিভুক্ত শেয়ার হোল্ডার কোন নাবালক বা বিকৃত মস্ত্মিস্ক সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে উক্ত শেয়ার ধারণ করেন এই দাবীতে উক্ত নাবালক বা বিকৃত মস্তিস্ক সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি৷

(৩) ৫৮[ * * *] কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এবং তাঁহার পরিবারের সদস্যবর্গ, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীতে এবং অন্য কোন কোম্পানীতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে শেয়ার, সম্পদ ও দায়-দেনা ধারণ করেন উহার পরিমাণ ও মূল্য সংক্রান্ত তথ্য এবং উহার পরিমাণ বা উহার অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে কোন পরিবর্তন হইলে তত্সংক্রান্ত তথ্য, এবং অনুরূপ শেয়ার, সম্পদ ও দায়-দেনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উহার আদেশের দ্বারা তলবকৃত অন্যান্য তথ্য সম্বলিত একটি পূর্ণ বিবরণী উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে এবং সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
  
  
 
ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ে বাধা-নিষেধ ইত্যাদি 
৫৯[ ১৪ক৷ (১) কোন ব্যক্তি, কোম্পানী বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ব্যাংকের শেয়ার কেন্দ্রীভূত করা যাইবে না এবং কোন ব্যক্তি, কোম্পানী বা কোন পরিবারের সদস্যগণ একক, যৌথ বা উভয়ভাবে কোন ব্যাংকের শতকরা দশ ভাগের বেশী শেয়ার ক্রয় করিবেন না৷

(২) ৬০[ কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক যাচিত হইলে উক্ত ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ের সময় ক্রেতা] এই মর্মে শপথপত্র বা ঘোষণাপত্র দাখিল করিবেন যে, তিনি অন্যের মনোনীত ব্যক্তি হিসাবে বা বেনামীতে শেয়ার ক্রয় করিতেছেন না এবং ইতিপূর্বে বেনামীতে কোন শেয়ার ক্রয় করেন নাই৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত শপথপত্র বা ঘোষণাপত্রের বিষয়বস্তু যদি কোন সময় মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তাহা হইলে শপথ বা ঘোষণাকারীর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সকল শেয়ার ৬১[ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে] বাজেয়াপ্ত হইবে৷

(৪) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৫ ( ৬২[ ১৯৯৫ সনের ২৫নং আইন]) কার্যকর হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত কাহারও নিকট উক্ত উপ-ধারায় নির্ধারিত শেয়ারের অতিরিক্ত শেয়ার থাকিলে, উহা উক্ত সংশোধন কার্যকর হওয়ার এক বত্সরের মধ্যে, উক্ত কোম্পানী বা পরিবারের সদস্য নন এমন ব্যক্তি বা উক্ত কোম্পানীতে শেয়ার নাই এমন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রয় করিতে পারিবেন৷

(৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লেখিত অতিরিক্ত শেয়ার যদি উহাতে উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে ও শর্তাধীন বিক্রি করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত অতিরিক্ত শেয়ার সরকারের বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্টকৃত কোন প্রতিষ্ঠানে ন্যস্ত হইবে এবং সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান উক্ত শেয়ারের জন্য উহার ফেস মূল্য বা বাজার মূল্যের মধ্যে যাহা কম হয় সেই মূল্য পরিশোধ করিবে৷

(৬) এই ধারার কোন কিছুই সরকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷

ব্যাখ্যা৷- এই ৬৩[ ধারায়] “পরিবার” অর্থে কোন ব্যক্তির স্ত্রী, স্বামী, পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাই-বোন এবং ঐ ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল সকলকে বুঝাইবে৷]
  
  
 
উল্লেখযোগ্য শেয়ার ধারক 
৬৪[ ১৪খ। (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, একক বা অন্যের সহিত যৌথভাবে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য শেয়ার ধারক হইতে পারিবে না।

(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত পূর্বানুমোদন গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করিতে হইবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক যাচিত তথ্য উহাতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।

ব্যাখ্যা।- ‘উল্লেখযোগ্য শেয়ার ধারক’ বলিতে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, একক বা অন্যের সাথে যৌথভাবে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর মালিকানা স্বত্বের শতকরা পাঁচ ভাগের অধিক শেয়ার ধারণকে বুঝাইবে।]
  
  
 
নূতন পরিচালক নির্বাচন 
১৫৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক, তত্কর্তৃক আদেশ প্রদানের দুই মাসের মধ্যে বা তত্কর্তৃক বর্ধিত সময়ের মধ্যে, ৬৫[ বিশেষায়িত] ব্যাংক ব্যতীত অন্য যে কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে এই ৬৬[ আইনের] বিধান অনুযায়ী উহার নূতন পরিচালক নির্বাচিত করার উদ্দেশ্যে উক্ত কোম্পানীর সাধারণ সভা আহ্বানের নির্দেশ দিতে পারিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্বাচিত পরিচালক, উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হইলে, তাঁহার পূর্বসূরী যে তারিখ পর্যন্ত উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিতেন সেই তারিখ পর্যন্ত পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন৷

(৩) এই ধারার অধীনে যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সম্পর্কে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উপস্থাপন করা যাইবে না৷

৬৭[ (৪) বিশেষায়িত ব্যাংক ব্যতীত অন্য যে কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে উহার পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্তি বা পদায়নের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে এবং এইরূপ নিযুক্ত কর্মকর্তাগণকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি দেওয়া, বরখাস্ত করা বা অপসারণ করা যাইবে না।]

৬৮[ (৫) বাংলাদেশ ব্যাংক, উপ-ধারা (৬) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্তির বিষয়ে অনুমোদন প্রদান করিবে]

৬৯[ (৬) কোন ব্যক্তি কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্ত হইবার যোগ্য হইবেন না, যদি-

(অ) তাহার অন্যূন ১০ (দশ) বৎসরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা না থাকে;

(আ) তিনি ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডিত হন কিংবা জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্যবিধ অবৈধ কর্মকান্ডের সহিত জড়িত ছিলেন বা থাকেন;

(ই) তাহার সম্পর্কে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলায় আদালতের রায়ে কোন বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য থাকে;

(ঈ) তিনি আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট কোন নিয়ামক সংস্থার বিধিমালা, প্রবিধান বা নিয়ামাচার লংঘনজনিত কারণে দণ্ডিত হন;

(উ) তিনি এমন কোনো কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের সহিত যুক্ত থাকেন, যাহার নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল করা হইয়াছে বা প্রতিষ্ঠানটি অবসায়িত হইয়াছে;

(ঊ) তাহার নিজের কিংবা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ বা খেলাপী হন;

(এ) তিনি কোনো সময় আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন।

(৭) ব্যাংক-কোম্পানীর প্রস্তাবিত পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে এই মর্মে ঘোষণা প্রদান করিবেন যে, তিনি উপ-ধারা (৬) এর বিধান অনুসারে পরিচালক হইবার অনুপযুক্ত নহেন:

তবে শর্ত থাকে যে, মনোনীত প্রার্থী নিযুক্তির ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্রটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করিবে।

(৮) উপ-ধারা (৬) এর বিধান এই সম্পর্কিত প্রচলিত অন্যান্য আইনের অতিরিক্ত হিসাবে গণ্য হইবে।

(৯) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন অথবা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সংঘস্মারক বা সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার ১(এক) বৎসর অতিবাহিত হইবার পর ৩ (তিন) জন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ কোন ব্যাংক-কোম্পানীতে সর্বমোট ২০ (বিশ) জনের অধিক পরিচালক থাকিবে না:

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যাংক কোম্পানীর পরিচালক সংখ্যা ২০ (বিশ) জনের কম হইলে স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা অন্যূন দুইজন হইবেঃ

আরো শর্ত থাকে যে, স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের পূর্বে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবেঃ

আরও শর্ত থাকে যে, আইন কার্যকর হইবার ৩ (তিন) বৎসরের মধ্যে এই উপ-ধারার বিধান মোতাবেক সতন্ত্র পরিচালকগণের নিয়োগ নিশ্চিত করিতে হইবে।

ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারায় ‘‘স্বতন্ত্র পরিচালক’’ বলিতে এইরূপ ব্যক্তিকে বুঝাইবে যিনি ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা এবং শেয়ারধারক হইতে স্বাধীন এবং যিনি কেবলমাত্র ব্যাংক-কোম্পানীর স্বার্থে স্বীয় মতামত প্রদান করিবেন এবং ব্যাংকের সহিত কিংবা ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির সহিত যাহার অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যৎ কোন প্রকৃত স্বার্থ কিংবা দৃশ্যমান স্বার্থের বিষয় জড়িত নাই ।

(১০) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন অথবা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সংঘস্মারক বা সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার ১ (এক) বৎসর অতিবাহিত হইবার পর হইতে কোন একক পরিবার হইতে দুইজনের অধিক সদস্য একইসময়ে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিবে না।

(১১) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালকের পদ ত্যাগ করার আবশ্যক হইলে পরিচালকগণের মধ্য হইতে কোন পরিচালক উক্ত পদ ত্যাগ করিবেন তাহা পরিচালকদের পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে নির্ধারিত হইবে এবং পারস্পরিক সমঝোতায় উপনীত হইতে ব্যর্থ হইলে তাহা পরিচালক পর্ষদের সভায় লটারী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হইবে।

(১২) ব্যাংক-কোম্পানীর এমন কোন পরিচালক থাকিবেন না যিনি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা ও উপযুক্ততার শর্তাবলী পূরণ না করেন।

ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিবারের সদস্য হিসাবে স্বামী বা স্ত্রী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই ও বোন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল সকলেই অন্তর্ভুক্ত হইবেন।]
  
  
 
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ পূরণ, ইত্যাদি 
৭০[ ১৫ক৷ (১) এই আইনে বা অন্য কোন প্রচলিত আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পদের নাম যাহাই হউক না কেন, এর শূন্য পদের বিপরীতে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক দায়িত্ব পালনে দায়বদ্ধ থাকিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ ৭১[ একাদিক্রমে] তিন মাসের অধিক সময়ের জন্য শূন্য রাখা যাইবে না৷

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে কোন ব্যাংক কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ পূরণ করা না হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রশাসক নিযুক্ত করিতে পারিবেন এবং উক্ত কোম্পানী তাঁহার বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি বাবদ খরচ বহন করিবে৷]
  
  
 
পরিচালক পদের মেয়াদ, ইত্যাদি 
৭২[ ১৫কক। (১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে অথবা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সংঘস্মারক ও সংঘবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার পর কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পদের সর্বোচ্চ মেয়াদ হইবে ৩ (তিন) বৎসরঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, ব্যতীত অন্য কোন পরিচালক একাদিক্রমে ২ (দুই) মেয়াদের অধিক উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিতে পারিবেন না।

(২) উপ-ধারা (১) অনুসারে কোন পরিচালক একাদিক্রমে ২ (দুই) মেয়াদে পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিলে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পদে পুনঃনির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না।

ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন একটি মেয়াদের আংশিক মেয়াদ পূর্ণ মেয়াদ হিসাবে গণ্য হইবে।]
  
  
 
পর্ষদের ভূমিকা 
৭৩[ ১৫খ। (১) ব্যাংক-কোম্পানীর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও উহার পরিপালনের জন্য পরিচালনা পর্ষদ দায়বদ্ধ থাকিবে।



(২) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী উহার পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সদস্য নহেন এইরূপ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি অডিট কমিটি গঠন করিবে।

(৩) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী উহার পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করিবে।
  
  
 
অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ 
১৫গ। (১) পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যাংক-কোম্পানীতে একটি কার্যকর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করিবে; এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা হইতে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হইবে এবং উহার প্রতিবেদন ব্যাংকের অডিট কমিটির নিকট পেশ করিতে হইবে।

(২) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক কার্য সম্পাদনের জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনা করিতে পারিবে এবং তাহাদের নিকট হইতে নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বা নথি সংগ্রহ করিতে পারিবে।

(৩) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তি একই সময়ে ব্যাংক-কোম্পানীর কোন চুক্তি বা লেনদেনে সংযুক্ত হইতে বা ব্যাংক-কোম্পানীর প্রতিনিধিত্ব করিতে পারিবে না।]
  
  
 
৭৪[ বিলুপ্ত] 
১৬৷ ৭৫[ পরিচালক পদের মেয়াদ সম্পর্কে বাধা-নিষেধ- ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ৭ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷]
  
  
 
পরিচালক পদে শূন্যতা 
৭৬[ ১৭৷ (১) কোন ব্যাংক কোম্পানীর পরিচালক যদি-

(ক) উক্ত ব্যাংক কোম্পানী অথবা অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানী বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত অগ্রিম বা ঋণ বা উক্ত অগ্রিম বা ঋণের কিস্ত্ বা সুদ পরিশোধ করিতে,

(খ) তদ্‌কর্তৃক প্রদত্ত কোন জামিনের জন্য তাঁহার নিকট প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করিতে, অথবা

(গ) তদ্‌কর্তৃক সম্পাদনীয় কোন কর্তব্য, যাহার দায়িত্ব তিনি লিখিতভাবে গ্রহণ করিয়াছেন, সম্পাদনা

করিতে, ব্যর্থ হন, এবং উক্ত ব্যাংক কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক এর মাধ্যমে নোটিশ দ্বারা তাঁহাকে উক্ত অগ্রিম, ঋণ, কিস্ত্, সুদ বা জামিনের টাকা পরিশোধ বা উক্ত কর্তব্য সম্পাদন করিতে নির্দেশ দেয় এবং উক্ত নির্দেশ পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে তিনি উক্তরূপ পরিশোধ বা কর্তব্য সম্পাদন করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার সাথে সাথে তাঁহার পদ শূন্য হইবে৷

(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন নোটিশ প্রাপ্ত হইলে, তিনি, নোটিশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁহার কোন বক্তব্য থাকিলে ঐরূপ বক্তব্য লিখিতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক এর নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং উহার একটি অনুলিপি নোটিশ প্রদানকারী ব্যাংক কোম্পানী বা ক্ষেত্রমত, আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও প্রেরণ করিবেন৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রেরিত বক্তব্য প্রাপ্তির পনর দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক উহার উপর সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে৷

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন গৃহীত বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷

(৫) এই ধারার অধীনে কোন পরিচালকের পদ শূন্য হইলে, শূন্য হওয়া পদের বিপরীতে যে ব্যক্তি পরিচালক ছিলেন, তাঁহার নিকট প্রাপ্য টাকা সংশ্লিষ্ট ৭৭[ ব্যাংক-কোম্পানীতে] তাঁহার শেয়ার সমন্বয়ের মাধ্যমে আদায় করা হইবে এবং উক্তরূপে সমন্বয়ের পর যে টাকা বকেয়া থাকিবে তাহা সরকারী পাওনা হিসাবে গণ্য হইবে এবং Public Demands Recovery Act, 1913 (Ben. Act III of 1913) এর অধীনে আদায়যোগ্য হইবে৷

(৬) এই ধারার অধীনে কোন পরিচালকের পদ শূন্য হইলে, শূন্য হওয়া পদের বিপরীতে যে ব্যক্তি পরিচালক ছিলেন, তিনি, তদ্‌কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার তারিখ হইতে এক বত্সরের মধ্যে, উক্ত ব্যাংক কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হইতে পারিবেন না৷]

৭৮[ (৭) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোনো ব্যাংকে-কোম্পানীর পরিচালক নোটিশ প্রাপ্ত হইলে, তাহার নিকট সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমুদয় পাওনা পরিশোধিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি যেই ব্যাংকে পরিচালক নিয়োজিত ছিলেন সেই ব্যাংকে তাহার নামে ধারণকৃত শেয়ার হস্তান্তর করিতে পারিবেন না।

(৮) এই ধারার অধীন গৃহীত কোন ব্যবস্থা, আদেশ বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৩ এর অধীন এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত ব্যতীত অন্য কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনালে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।]
  
  
 
৭৯[ ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহিত লেনদেন সম্পর্কিত বিধান।] 
১৮৷ (১) অন্য কোন আইন বা সংঘ স্মারকে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় অংশ গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ফিস বা ব্যাংকের ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হওয়ার কারণে পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের দ্বারা তাঁহার উপর আরোপিত কোন বিশেষ দায়িত্ব পালনের জন্য পর্ষদ কর্তৃক স্থিরিকৃত অর্থ ব্যতীত ব্যাংক হইতে আর্থিক বা অন্য কোন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করিবেন না৷

[ (২) ব্যাংক-কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী ও তাহার নিম্নতর দুইস্তর পর্যন্ত কোন কর্মকর্তাকে স্ব স্ব বাণিজ্যিক, আর্থিক, কৃষি, শিল্প এবং অন্যান্য ব্যবসার নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য বিবরণ এবং পারিবারিক ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিবরণ লিখিতভাবে পরিচালনা পর্ষদের নিকট বাৎসরিক ভিত্তিতে প্রদান করিতে হইবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্তরূপ ব্যবসায়িক স্বার্থের বিবরণ প্রদান ছাড়াও, তাহার সহিত যদি এইরূপ কোন ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক থাকে, যিনি ব্যাংক-কোম্পানীর সাথে কোন উল্লেখযোগ্য চুক্তিতে আবদ্ধ কিংবা আবদ্ধ হইতে যাইতেছেন, তাহা হইলে উক্ত চুক্তি অথবা প্রস্তাবিত চুক্তি গোচরে আসিবামাত্র লিখিতভাবে পরিচালনা পর্ষদকে অবহিত করিতে হইবে।

(৪) কোন পরিচালকের এই ধারার অধীন ঘোষণাযোগ্য তথ্য রহিয়াছে এইরূপ কোন বিষয় যদি পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচিতব্য থাকে তাহা হইলে সভার শুরুতেই উক্ত পরিচালক বিষয়টি সম্পর্কে পর্ষদকে অবহিত করিবেন এবং অতঃপর তিনি উক্ত বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ করা হইতে অথবা এই বিষয়ে কোন ভোট প্রদানে বিরত থাকিবেন এবং তাহার উপস্থিতি উক্ত সভার কোরামের জন্য গননা করা যাইবে না।

(৫) স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্বত্বের মূল্যমান, আকার কিংবা আয় অর্জনের পরিমাণ ইত্যাদির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত বিবরণী হইতে কোন উপাদান বাদ দিতে পারিবে এবং উপ-ধারার (৩) এ উল্লিখিত সম্পর্ক বিষয়ে বিধান জারী করিতে পারিবে।

(৬) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধান অনুযায়ী স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিবরণী প্রদান বা কোন গুরুত্ববপূর্ণ সম্পর্ক প্রকাশ করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন শেয়ারধারক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনক্রমে কোন যথাযথ ক্ষমতাসম্পন্ন আদালত আলোচ্য চুক্তিটি, যদি থাকে, বাতিল ঘোষণা করিতে পারিবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত আদেশ দ্বারা, ১ (এক) বৎসরের অধিক নয় এমন যে কোন সময়ের জন্য, উক্ত ব্যক্তিকে সাময়িক বরখাস্ত করিতে অথবা এই আইনের অধীনে অন্য কোন শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে।’’;

(৭) উপ-ধারা (১) এর আওতায় বিবরণী প্রদানকারী কোন ব্যক্তি এবং ব্যাংক-কোম্পানীর কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ব্যাংকের আস্থাভাজন ও অনুগত থাকিবেন এবং স্বীয় স্বার্থের উপরে আমানতকারীদের স্বার্থ এবং ব্যাংক-কোম্পানীর স্বার্থকে স্থান দিবেন।

(৮) ব্যাংক-কোম্পানী এইরূপ কার্যপদ্ধতি প্রবর্তন করিবে যাহাতে কোন পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কোন একজন গ্রাহকের প্রতি দায়-দায়িত্ব অপর কোন গ্রাহক স্বীয় স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়।]
  
  
 
শেয়ার বিক্রীর কমিশন, দালালী বা বাট্টা ইত্যাদি সম্পর্কে বাধা-নিষেধ 
১৯৷ কোম্পানী আইনের ৮১[ ধারা ১৫২ ও ১৫৩] তে ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্বেও, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার শেয়ার বরাদ্দকরণের ব্যাপারে শেয়ারসমূহের বিপরীতে আদায়কৃত মূল্যের শতকরা আড়াই ভাগের বেশী অর্থ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, কমিশন, দালালী, বাট্টা বা পারিশ্রমিক হিসাবে বা অন্য কোন প্রকারে প্রদান করিতে পারিবে না৷
  
  
 
অনাদায়ী মূলধনের উপর ৮২[দায়যুক্তকরণ] অবৈধ 
২০৷ কোন ব্যাংক কোম্পানী উহার কোন অনাদায়ী মূলধনকে ৮৩[ দায়যুক্ত]

করিবে না এবং এইরূপে ৮৪[ দায়যুক্ত] করা হইলে উহা অবৈধ হইবে৷
  
  
 
সম্পদকে অনির্দিষ্ট ৮৫[দায়যুক্তকরণ] (floating charge) অবৈধ 
২১৷ (১) ধারা ৭এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী হইবে না এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত প্রত্যয়নপত্র ব্যতীত, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার কোন কাজ বা সম্পত্তিকে বা উহার কোন অংশকে অনির্দিষ্ট ৮৬[ দায়যুক্ত] করিবে না৷

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে প্রত্যয়নপত্র ব্যতীত উপ-ধারা (১) এ উলিস্্নখিত কোন ৮৭[ দায়যুক্ত] অবৈধ হইবে৷

(৩) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রত্যয়নপত্র প্রদান করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলে, সং—গুব্ধ ব্যাংক-কোম্পানী, অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের বিষয় উহাকে অবহিত করিবার তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে, উক্ত অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের বিরুদ্ধে ৮৮[ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা-পর্ষদের নিকট পুনর্বিবেচনার আবেদন] করিতে পারিবে৷

৮৯[ ***]
  
  
 
লভ্যাংশ (dividend) প্রদানের উপর বাধা-নিষেধ 
৯০[ ২২। বিশেষায়িত ব্যাংক ব্যতীত অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার শেয়ারের উপর কোন লভ্যাংশ প্রদান করিবে না, যদি-

(ক) উহার প্রাথমিক ব্যয়, সাংগঠনিক ব্যয়, শেয়ার বিক্রি ও দালালীর কমিশন, লোকসান এবং অন্যান্য ব্যয়সহ মূলধনী ব্যয়ে পরিণত হইয়াছে এইরূপ সকল ব্যয় সম্পূর্ণরূপে অবলোপন না করা হইয়া থাকে, অথবা

(খ) উহা ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়।]
  
  
 
সাধারণ পরিচালক নিয়োগে বাধা-নিষেধ 
২৩৷ ৯১[ (১) অন্য কোন আইন বা সংশ্লিষ্ট কোন কোম্পানীর সংঘ স্মারক ও সংঘ বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন,-

৯২[ (ক) কোন ব্যক্তি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক হইলে একই সময়ে তিনি অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকিবেন না। তবে এই আইন কার্যকর হইবার পর হইতে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে কোন বীমা কোম্পানীর পরিচালক থাকিতে পারিবেন;]

(খ) বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতিরেকে, কোন ব্যাংক কোম্পানীর এমন কোন পরিচালক থাকিবেন না, যিনি-

(অ) উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর বহিঃহিসাব নিরীতগক, আইন উপদেষ্টা, উপদেষ্টা বা অন্য কোনভাবে লাভজনক পদের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন;

(আ) অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানীর উপদেষ্টা;

(ই) এমন ৯৩[ কতিপয় কোম্পানীর পরিচালক যে কোম্পানীসমূহ একত্রে] উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের মোট শেয়ারের বিপরীতে মোট ভোটের ২০% এর অধিক ভোট প্রদানের অধিকারী ৯৪[ ;

(ঈ) অপর কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পক্ষে পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হইয়াছেন:]

তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার বিধান সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ৯৫[ বিশেষায়িত ব্যাংকের পরিচালকের] ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷

ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “বীমা কোম্পানী” অর্থ Insurance Act, 1938 (IV of 1938) এর section 2 এর clause (8) এ সংজ্ঞায়িত insurance company৷]

৯৬[ (১ক) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী পরিচালক থাকিতে পারেন না এমন কোন ব্যক্তি যদি কোন ব্যাংক কোম্পানীর পরিচালক থাকেন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পরিচালক পদ হইতে অপসারণ করিবে ৯৭[ |
***]]

(২) এই ৯৮[ আইন] প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্ব হইতে কোন ব্যাংক-কোম্পানীতে কর্মরত পরিচালক যদি এমন কতিপয় কোম্পানীর পরিচালক হন যেসব কোম্পানী ৯৯[একত্রে] উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের মোট শেয়ারের বিপরীতে মোট ভোটের ২০% এর অধিক ভোট প্রদানের অধিকারী, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ প্রবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে,-

(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালকের পদ ত্যাগ করিবেন, অথবা

(খ) কোম্পানীগুলির মধ্যে এমন কতিপয় কোম্পানীর পরিচালক পদে থাকার সিদ্ধান্ত্ম গ্রহণ করিবেন যে সকল কোম্পানী উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীতে উহাদের মোট শেয়ার বলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের শেয়ারের বিপরীতে ভোটের মোট সংখ্যার ২০% এর অধিক ভোট প্রদানের অধিকারী নহে; এবং অন্যান্য কোম্পানীর পরিচালকের পদ ত্যাগ করিবেন৷
  
  
 
১০০[ সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি] 
২৪৷ (১) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী একটি ১০১[ সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি] গঠন করিবে, এবং শেয়ার প্রিমিয়াম একাউন্টে রতিগত অর্থসহ উক্ত তহবিলের অর্থ যদি উহার আদায়কৃত মূলধন, অথবা বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য এতদুদ্দেশ্যে সময় সময় যে পরিমাণ ১০২[ ***] নির্ধারণ করে ১০৩[ তাহা অপেক্ষা কম হয়] তাহা হইলে ব্যাংক-কোম্পানী ধারা ৩৮ এর অধীন প্রস্তুতকৃত উহার লাভ-তগতির হিসাবে যে মুনাফা দেখাইয়াছে উহা হইতে কোন টাকা সরকারের নিকট হস্তান্তর, বা লভ্যাংশ হিসাবে ঘোষণা করার পূর্বে অন্যুন ২০% এর সমপরিমাণ টাকা ১০৪[ সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতিতে] হস্তান্তর করিবে৷

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী ১০৫[ সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি] বা শেয়ার প্রিমিয়াম একাউন্ট হইতে কোন অর্থ কোন কাজে লাগাইবার জন্য পৃথক করিয়া রাখিলে তত্সম্পর্কে উক্তরূপ পৃথকীকরণের তারিখ হইতে ২১ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে অবহিত করিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্তরূপ অবহিত করার সময়-সীমা বৃদ্ধি করিতে পারিবে, বা অনুরূপ অবহিতকরণে বিলম্ব হইয়া থাকিলে উক্ত বিলম্ব মার্জনা করিতে পারিবে৷
  
  
 
সংরক্ষিত নগদ তহবিল 
২৫৷ ১০৬[ (১) তফসিলি ব্যাংক ব্যতীত প্রতিটি ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশে সংরক্ষিত নগদ তহবিল হিসাবে এই পরিমাণ নগদ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক বা উহার প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকে মওজুদ রাখিবে যাহা যে কোন কার্যদিবসের সমাপ্তিতে উহার সমুদয় মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়ের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হারের কম হইবে না:



তবে শর্ত থাকে যে, কোন বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এবং উহাতে এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, সংরক্ষিত নগদ তহবিল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা রহিত করিতে পারিবে।



ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিশোধিত মূলধন, বা সংরক্ষিত সঞ্চিতিসমূহ বা লাভ-ক্ষতির হিসাবে প্রদর্শিত আকলন স্থিতি, বা বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে গৃহীত কোন ঋণ, ‘‘দায়’’ এর অন্তর্ভুক্ত হইবে না।]

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান মোতাবেক ১০৭[ সংরক্ষিত নগদ তহবিল] সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন কোন তথ্য তলব করিবে, তফসিলী ব্যাংক ব্যতীত প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী সেই তথ্য সম্বলিত একটি বিবরণী উক্ত কোম্পানীর দুইজন কর্মকর্তার স্বাতগরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে৷

(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (২) এর বিধান মোতাবেক বিবরণী দাখিল করিতে ব্যর্থ হইলে উক্ত ব্যর্থতার প্রতি দিনের জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনূর্ধ্ব ১০৮[ পঁচিশ হাজার টাকা] পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷

(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত বিবরণী হইতে যদি দেখা যায় যে, উহা দাখিল করিবার নির্ধারিত তারিখের পূর্বের যে কোন দিবসের কাজের সমাপ্তিতে বিবরণ দাখিলকারী ব্যাংক-কোম্পানী মওজুদ অর্থ উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ন্যুনতম নগদ অর্থ অপেতগা কম ছিল, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত কোম্পানীকে উক্ত ঘাটতির উপর উহাকে ব্যাংক রেট অপেতগা ৩% ভাগ বেশী হারে উক্ত দিবসের জন্য জরিমানামূলক সুদ প্রদানের জন্য আদেশ দিতে পারিবে, এবং অনুরূপ পরবর্তী কোন বিবরণী হইতেও যদি দেখা যায় যে, উহা দাখিলের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্বের যে কোন দিবসের কাজের সমাপ্তিতেও উক্ত কোম্পানীর মওজুদ অর্থ উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ন্যুনতম নগদ অর্থ অপেতগা কম ছিল, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত কোম্পানীকে উক্ত ঘাটতির উপর উহাকে ব্যাংক রেট অপেতগা ৫% বেশী হারে দিনগুলির জন্য জরিমানামূলক সুদ প্রদানের আদেশ দিতে পারিবে৷

(৫) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক দাখিলকৃত বিবরণীর ভিত্তিতে উপ-ধারা (৪) এর অধীন যদি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক ব্যাংক রেটের উপর শতকরা ৫% ভাগ বেশী হারে জরিমানামূলক সুদ প্রদেয় হয়, এবং তত্পরবর্তী বিবরণী হইতে যদি দেখা যায় যে, উহার নিকট উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ন্যুনতম নগদ অর্থ অপেতগা কম অর্থ আছে তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক তত্কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ হইতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নূতন আমানত গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ অমান্য করিয়া কোন আমানত গৃহীত হইলে আমানত গ্রহণের প্রত্যেক তারিখের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে, উহাকে প্রদেয় অনূর্ধ ১০৯[ পঞ্চাশ হাজার টাকা] পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবে৷

(৬) এই ধারার অধীন আরোপিত কোন জরিমানা, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদায় করিতে হইবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে যদি উহা আদায় করা না হয় তাহা হইলে উহা সরকারী দাবী (public demand) হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷
  
  
 
সাবসিডিয়ারী কোম্পানী 
২৬৷ ১১০[ ***] কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত কোন উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানী গঠন করিতে ১১১[ বা সাবসিডিয়ারী কোম্পানীতে পরিণত করার উদ্দেশ্যে কোন বিদ্যমান কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণমূলক শেয়ার ক্রয় করিতে] পারিবে না, যথা:-

(ক) কোন ট্রাষ্ট পরিচালনা ও কার্যকর করা;

(খ) নির্বাহক বা ট্রাষ্টী হিসাবে বা অন্য কোন প্রকারে কোন সম্পত্তি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করা;

(গ) আমানতের নিরাপত্তা বিধানের জন্য নিরাপদ ভল্টের ব্যবস্থা করা;

(ঘ) ১১২[ শরীয়াহ] নীতিমালা অনুসারে ব্যাংক-ব্যবসায় পরিচালনা করা;

(ঙ) বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত পূর্বানুমতিক্রমে,-

(অ) কেবলমাত্র বাংলাদেশের বাহিরে ব্যাংক-ব্যবসা পরিচালনা করা;

(আ) অনিবাসীগণের নিকট হইতে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্ত এবং অবাধে হস্তান্তরযোগ্য আমানতের ভিত্তিতে ব্যাংক-ব্যবসা পরিচালনা করা;
১১৩[ (ই) স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসাবে বা সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন হতে নিবন্ধন গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে এইরূপ কোন প্রকার ব্যবসায় পরিচালনা করা;]

১১৪[ (চ) বাংলাদেশ ব্যাংক, যে সকল ব্যবসাকে বাংলাদেশে ব্যাংক-ব্যবসার প্রসার ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক বা জনস্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয় বা অন্য কোনভাবে উপকারী বলিয়া মনে করে, সেই সকল ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহণ করা৷]

১১৫[ ***]
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক অন্য কোন কোম্পানীর শেয়ার ধারণ 
১১৬[ ২৬ক। (১) ধারা ২৬ এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী অন্য কোন কোম্পানীর শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে নিমণবর্ণিত পরিমাণের অধিক শেয়ার ধারণ করিবে না, যথা:-

(ক) ধারণকৃত শেয়ার বাজারমূল্যে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংস এর মোট পরিমাণের পাঁচ শতাংশ,

(খ) উক্ত কোম্পানীর আদায়কৃত মূলধনের দশ শতাংশ:

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন কার্যকর হইবার তিন বৎসরের মধ্যে প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী এমনভাবে উহার পুঁজিবাজার বিনিয়োগ কোষ পুনর্গঠন করিবে যাহাতে ধারণকৃত সকল প্রকার শেয়ার, কর্পোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের মোট বাজারমূল্য এবং পুঁজিবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত নিজস্ব সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা কোম্পানীসমূহ বা অন্য কোন কোম্পানী বা কোম্পানীসমূহে প্রদত্ত ঋণসুবিধা, এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত কোন প্রকার তহবিলে প্রদত্ত চাঁদার পরিমাণ সমষ্টিগতভাবে উহার আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংস এর মোট পরিমাণের ২৫ (পঁচিশ) শতাংশের অধিক না হয়।

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজার কোন কোম্পানীর পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট থাকেন বা উহাতে তাহার কোন স্বার্থ থাকে, তাহা হইলে, এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসর মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার পর, সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজার উক্ত কোম্পানীতে কোন শেয়ার ধারণ করিতে পারিবে না।

(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনূর্ধ বিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবে এবং যদি উক্ত লংঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত লংঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডনীয় হইবে।
  
  
 
ঋণ-সীমার সাধারণ সীমাবদ্ধতা 
২৬খ। এই আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন,

(১) কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে প্রদত্ত বা প্রদেয় সকল ঋণ সুবিধার আসল অংকের মোট পরিমাণ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান মোতাবেক রক্ষিত মূলধনের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত হারের অধিক হইবে না:

তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত সীমা কোন অবস্থাতেই শতকরা ২৫ ভাগের অধিক হইবে না।

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত বা প্রদেয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত সংজ্ঞা অনুযায়ী নির্ণীত বৃহদাংক ঋণের সর্বমোট পরিমাণ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর মোট ঋণ ও অগ্রিমের সেই শতাংশ অপেক্ষা অধিক হইবে না যাহা এতদুদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হইবে।

(৩) সরকারকে অথবা সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নিশ্চয়তার বিপরীতে প্রদত্ত বা প্রদেয় ঋণ কিংবা ১ (এক) বৎসরের চাইতে কম মেয়াদের আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এবং (২) এ বর্ণিত বিধানের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।

(৪) কোন ব্যাংকিং গ্রুপের ক্ষেত্রে এই ধারায় বর্ণিত সীমাসমূহ কোন পদ্ধতিতে প্রয়োগ হইবে তাহা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এই ধারার অধীনে নির্দেশিত হইবে।

ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘গ্রুপ’’ বলিতে কোন ঋণগ্রহীতা এবং তাহার সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত অন্য যে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যাহাদের একজনের আর্থিক স্বচ্ছলতা অন্যজনের আর্থিক স্বচ্ছলতাকে প্রভাবিত করে, অথবা তাহাদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের কারণে একজনের দায় বা সুবিধা অন্যজনের উপর বর্তায়, এইরূপ সকলকে বুঝাইবে।
  
  
 
ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সহিত লেনদেন 
২৬গ। (১) কোন ব্যাংক কোম্পানী উক্ত ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির সহিত বা তাহার স্বার্থের অনুকূলে এইরূপ কোন লেনদেন করিবে না যাহার শর্তাবলী ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট নহে এমন কোন গ্রাহকের সহিত সম্পাদিত লেনদেনের শর্তাবলী অপেক্ষা সহজতর।

(২) উপরি-উক্ত বিধান সত্ত্বেও, কোন ব্যাংক কোম্পানী কর্তৃক ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বা তাহাদের স্বার্থের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণ-সুবিধার মোট পরিমাণ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর টিয়ার-১ মূলধনের শতকরা ১০ ভাগ এর অধিক হইবে না।

ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘টিয়ার-১ মূলধন’’ অর্থ ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত মূলধন সংরক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালায় সংজ্ঞায়িত টিয়ার-১ মূলধন।

(৩) বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে এতদুদ্দেশ্যে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ন্যূনতম অংকের ঋণের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য সকল ক্ষেত্রে ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তিকে ঋণ প্রদানের পূর্বে পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে এবং ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা তাহার স্বার্থের অনুকূলে প্রদত্ত প্রতিটি ঋণের বিষয়ে যথাশীঘ্র পর্ষদকে অবহিত করিতে হইবে।

(৪) এই ধারার বিধান লংঘন করিয়া ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা তাহার স্বার্থের অনুকূলে ঋণ প্রদান করা হইলে উহা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করিতে হইবে এবং এইরূপ লংঘন পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের জ্ঞাতসারে ঘটিয়া থাকিলে তাহারা এককভাবে ও যৌথভাবে উক্ত ঋণের আসল, সুদ ও অন্যান্য সমুদয় চার্জ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন।

(৫) ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির সহিত বা তাহার স্বার্থের অনুকূলে ঋণ প্রদানের বিষয়ে এতদুদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশনায় উল্লিখিত সংজ্ঞা কিংবা অতিরিক্ত শর্তাদি পরিপালনীয় হইবে।

(৬) বাংলাদেশে এক বা একাধিক শাখা পরিচালনাকারী বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধিত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে না।

ব্যাখ্যা।- এই ধারায় ‘‘ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি’’ অর্থে বুঝাইবে-

(ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কিংবা উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক;

(খ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কিংবা উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারকের স্বামী বা স্ত্রী;

(গ) এমন কোন কোম্পানী যেখানে ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক বা উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক একজন পরিচালক বা উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক;

(ঘ) কোন কোম্পানীতে কোন ব্যাংক-কোম্পানী উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ারধারণ করিলে উক্ত কোম্পানীর কোন উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক;

(ঙ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত বিধান অনুযায়ী এমন কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যিনি বা যাহারা দফা (ক)-(ঘ) এ বর্ণিত সম্পর্কের ন্যায় কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সহিত সম্পর্কিত।
  
  
 
ব্যাংক-কর্মচারীর ঋণ-সীমা 
২৬ঘ। কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বা উহার সাবসিডিয়ারী কোম্পানীসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে এতদুদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত শর্ত ও সীমার ব্যত্যয় করিয়া কোন ঋণ-সুবিধা প্রদান করিবে না।]
  
  
 
ঋণ ও অগ্রিম প্রদানের উপর বাধা-নিষেধ 
২৭৷ ১১৭[ (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানী,-

(ক) উহার নিজস্ব শেয়ারকে জামানত হিসাবে রাখিয়া কোন ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না;’’

(খ) ইহার কোন পরিচালককে ‘‘জামানতী ঋণ বা অগ্রিম’’ ব্যতীত অন্য কোনরূপ ঋণ বা অগ্রিম মঞ্জুর করিবে না বা ইহার কোন পরিচালক কর্তৃক দায় গ্রহণের ভিত্তিতে ‘‘জামানতী ঋণ বা অগ্রিম’’ ব্যতীত ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না;

(গ) বিনা জামানতে নিমণবর্ণিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন ঋণ বা অগ্রিম মঞ্জুর করিবে না, অথবা এই সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দায় গ্রহণের ভিত্তিতে কোন ঋণ ও অগ্রিম প্রদান করিবে না,-

(অ) ইহার কোন পরিচালকের পরিবারের কোন সদস্য;

(আ) এমন কোন বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা প্রাইভেট কোম্পানী যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা উহার কোন পরিচালকের পরিবারের কোন সদস্য পরিচালক, মালিক বা অংশীদার রহিয়াছেন;

(ই) এমন কোন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী, যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা উহার কোন পরিচালকের পরিবারের কোন সদস্য কর্তৃক কোনভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যাহাতে উক্ত ব্যক্তিদের এমন পরিমাণ শেয়ার থাকে যাহা দ্বারা তাহারা অন্যূন বিশ শতাংশ ভোটদান ক্ষমতার অধিকারী হন।]

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পরিচালক ব্যতীত অন্যান্য পরিচালকগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদন ব্যতিরেকে, কোন ১১৮[ ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা] প্রদান করিবে না,-

(ক) উহার কোন পরিচালক, বা

(খ) এমন কোন ব্যক্তি, বাণিজ্য-প্রতিষ্ঠান, কোন কোম্পানী, যাহার সহিত বা যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক-অংশীদার, পরিচালক বা জামীনদাতা হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছে৷

ব্যাখ্যা৷- এই ১১৯[ ধারায়] ‘পরিচালক' বলিতে পরিচালরে স্ত্রী, স্বামী, পিতা, মাতা, ১২০[ পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন, ১২১[ এবং ঐ পরিচালকের উপর নির্ভরশীল সকলকে]] বুঝাইবে৷

(৩) ১২২[ ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ১৯ ধারাবলে বিলুপ্ত৷]

(৪) ১২৩[ প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক], প্রত্যেক মাস শেষ হওয়ার পূর্বে, উহার পূর্ববর্তী মাসের একটি বিবরণী বিধিদ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে, এবং উক্ত বিবরণীতে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের উল্লেখ থাকিবে,-

(ক) এমন কোন প্রাইভেট বা পাবলিক কোম্পানীকে মঞ্জুরীকৃত ঋণ বা অগ্রিম যাহাতে ব্যাংক-কোম্পানীটি বা উহার কোন পরিচালক উক্ত কোম্পানীর পরিচালক হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছেন; এবং

(খ) এমন পাবলিক কোম্পানীকে মঞ্জুরীকৃত ঋণ বা অগ্রিম যাহাতে ব্যাংক-কোম্পানীটি বা উহার কোন পরিচালক ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি বা জামিনদার হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছেন৷

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন দাখিলকৃত কোন বিবরণী পরীতগান্ত্মে যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উহার আমানতকারীগণের স্বার্থ হানি করিয়া উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান করিয়াছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত আদেশ দ্বারা এই প্রকার আর কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান না করার জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং অনুরূপ ঋণ বা অগ্রিম প্রদানের উপর বাধা-নিষেধ আরোপ করিতে পারিবে, এবং উক্ত আদেশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই প্রকার প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিম আদায় নিশ্চিত করিবার জন্যও উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে৷
  
  
 
দেনাদার কোম্পানীর পরিচালকের উপর বিধি-নিষেধ 
১২৪[ ২৭ক৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ঋণদাতা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১২৫[ ঋণ বা বিনিয়োগ অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের একস্তর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন] ব্যতীত কোন দেনাদার কোম্পানীর কোন পরিচালকের পদত্যাগ কার্যকর হইবে না এবং কোন পরিচালক তাঁহার শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না৷
  
  
 
খেলাপী ঋণ গ্রহীতার তালিকা, ইত্যাদি 
২৭কক৷ (১) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সময় সময়, উহার খেলাপী ঋণ গ্রহীতাদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সকল ব্যাংক-কোম্পানী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করিবে৷

(৩) কোন খেলাপী ঋণ গ্রহীতার অনুকূলে কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনরূপ ঋণ সুবিধা প্রদান করিবে না৷

(৪) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, খেলাপী ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক-কোম্পানী বা, ক্ষেত্রমত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রচলিত আইন অনুসারে মামলা দায়ের করিবে৷]
  
  
 
ঋণ মওকুফের উপর বাধা-নিষেধ 
২৮৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার নিকট হইতে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত ১২৬[ ঋণ বা উহার অংশ বা উহার উপর অর্জিত সুদ] মওকুফ করিবে না,-

(ক) উহার কোন পরিচালক, এবং তাঁহার পরিবারের সদস্যবর্গ;

(খ) এমন কোন বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যাহাতে ব্যাংক-কোম্পানীটির কোন পরিচালক, জামিনদার, পরিচালক-অংশীদার, ম্যানেজিং এজেন্ট হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছেন; এবং

(গ) এমন কোন ব্যক্তি যাহার সহিত উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক, অংশীদার বা জামিনদার হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছে৷

১২৭[ (২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘনক্রমে কোনরূপ মওকুফ করা হইলে উহা অবৈধ হইবে, এবং অনুরূপ মওকুফের জন্য উহার যে সকল পরিচালক বা কর্মকর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তাহাদের প্রত্যেকে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং অনুর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদন্ডে বা অনূর্ধ্ব তিন লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।]

১২৮[ ব্যাখ্যা।- এই ধারায় ‘‘পরিচালক’’ বলিতে পরিচালকের স্ত্রী, স্বামী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন এবং ঐ পরিচালকের উপর নির্ভরশীল সকলকে বুঝাইবে।]
  
  
 
মন্দ বা কু-ঋণ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিশেষ বিধান 
১২৯[ ২৮ক৷ এই আইন বা অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক কোম্পানী কর্তৃক উহার নিকট হইতে গৃহীত কোন ঋণ, অগ্রীম বা অন্য কোন পাওনা অবলোপন (write off) করা হইলেও, উক্ত অবলোপন সংশ্লিষ্ট ঋণ, অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণের তেগত্রে অন্তরায় হইবে না৷]
  
  
 
অগ্রিম প্রদান নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা 
২৯৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, অগ্রিম প্রদানের ব্যাপারে সাধারণভাবে সকল ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক বা বিশেষভাবে কোন নির্দিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক অনুসরণীয় কিছু নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজনীয় অথবা সমীচীন, তাহা হইলে উহা অনুরূপ নীতি নির্ধারণ করিতে পারিবে, এবং এইরূপ কোন নীতি নির্ধারিত হইলে, তাহা সকল অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী অনুসরণ করিতে বাধ্য থাকিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতায় সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণভাবে সকল ব্যাংক-কোম্পানী বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানী বা বিশেষ শ্রেণীর ব্যাংক-কোম্পানীকে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহে বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণীয় নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে,-

(ক) প্রদেয় ঋণের সর্বোচ্চ সীমা;

(খ) অগ্রিমের মোট পরিমাণ এবং স্বল্প পরিমাণের বা অন্যবিধ ঋণের মধ্যে বজায়তব্য অনুপাত;

(গ) যে সকল উদ্দেশ্যে অগ্রিম প্রদেয় বা প্রদেয় নয়;

(ঘ) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা কোন বিশেষ শ্রেণীর ব্যাংক-কোম্পানী বা ব্যক্তি বা ব্যক্তি-গোষ্ঠীকে প্রদেয় অগ্রিমের সর্বোচ্চ সীমা;

১৩০[ (ঙ) অগ্রিমের জন্য জামানত এবং রতিগতব্য মার্জিন, এবং]

(চ) অগ্রিমের উপর আরোপনীয় সুদের হার৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর দফা ১৩১[ (ক) হইতে (চ)] তে উল্লেখিত বিষয়ে কোন নির্দেশ পালনে কোন ব্যাংক-কোম্পানী ব্যর্থ হইলে তজ্জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, তত্কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট জমা দিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী অনুরূপ নির্দেশ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, পালন করিতে বাধ্য থাকিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, যে পরিমাণ অর্থের ব্যাপারে উক্ত ব্যর্থতা সংঘটিত হইয়াছে তাহা অপেক্ষা বেশী পরিমাণ অর্থ জমা দিবার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে না৷

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ বা উহার অংশ বিশেষ যে কোন সময় বাংলাদেশ ব্যাংক, লিখিত আদেশ দ্বারা, জমাদানকারী ব্যাংক-কোম্পানীর বরাবরে, নিঃশর্তে বা শর্ত সাপেক্ষে, অবমুক্ত করিয়া দিতে পারিবে৷
  
  
 
সুদের হার সম্পর্কে আদালতের এখ্‌তিয়ার 
৩০৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানী এবং ইহার কোন দেনাদারের মধ্যে লেনদেনে ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক ধার্য্যকৃত সুদ অতিমাত্রায় বেশী ছিল ১৩২[ এবং ইসলামী ১৩৩[ শরীয়াহ] মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংকের ব্যবসায়িক লেনদেনে উচ্চ মুনাফা বা ভাড়ার হার ছিল শুধুমাত্র এই কারণে] উক্ত লেনদেনের বিষয়টি কোন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে না৷
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানীর লাইসেন্স 
৩১৷ (১) অতঃপর বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত, কোন ১৩৪[ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী] বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতীত বাংলাদেশে কোন ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবে না৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন লাইসেন্স প্রদানের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক উহার বিবেচনায় সংগত যে কোন শর্ত আরোপ করিতে পারিবে৷

(৩) এই ১৩৫[ আইন] প্রবর্তনের সময় বিদ্যমান কোন ব্যাংক-কোম্পানী উক্ত প্রবর্তন হইতে ছয় মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে, এবং অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশে উহার ব্যাংক ব্যবসা আরম্ভ করিবার পূর্বে, এই ধারার অধীন লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, উপধারা (১) এর কোন কিছুই এই আইন প্রবর্তনের সময় বিদ্যমান কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা চালাইয়া যাইতে কোন বাধা হিসাবে গণ্য হইবে না, যদি-

(ক) এই ধারার অধীন উহার আবেদন বিবেচনাধীন থাকে, বা

(খ) লাইসেন্স মঞ্জুর করা যাইবে না এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উহাকে নোটিশের মাধ্যমে জানাইয়া দেওয়া না হইয়া থাকে :

আরও শর্ত থাকে যে, ধারা ১৩৬[ ১৩] এ উল্লেখিত বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে এই আইন প্রবর্তনের দুই বত্সর, এবং উক্ত ধারায় উল্লেখিত বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে উক্ত প্রবর্তনের ছয় মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে, বা উক্ত ধারার শর্তাংশ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বর্ধিত সময় অতিবাহিত হইবার পূর্বে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত নোটিশ প্রদান করিবে না৷

(৪) এই ধারার অধীন লাইসেন্স প্রদানের পূর্বে নিম্নবর্ণিত সকল বা কোন শর্ত পূরণ করা হইয়াছে কি না তত্সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর নথিপত্র পরিদর্শনের মাধ্যমে বা অন্য কোনভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে সন্তুষ্ট হইতে হইবে, যথা :-

(ক) কোম্পানী উহার বর্তমান ও ভবিষ্যত্ আমানতকারীদের দাবী পূর্ণভাবে মিটাইতে সতগম;

(খ) কোম্পানীর কাজকর্ম উহার বর্তমান বা ভবিষ্যত্ আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে না বা হইবার সম্ভাবনা নাই;

১৩৭[ (গ) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধিত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, কোম্পানীটি যে দেশে নিবন্ধনকৃত সেই দেশের সরকার বা আইন বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে সেই সকল সুবিধা প্রদান করে যে সব সুবিধা বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোম্পানীটিকে বাংলাদেশ সরকার বা বাংলাদেশী আইন প্রদান করে, এবং কোম্পানীটি বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোম্পানীর ব্যাপারে এই আইনের যে সকল বিধান প্রযোজ্য সে সকল বিধান মানিয়া চলে।]

(৫) এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে প্রদত্ত লাইসেন্স বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্নলিখিত কারণে বাতিল করিতে পারে, যথা :-

(ক) যদি উক্ত কোম্পানী বাংলাদেশে উহার ব্যাংক ব্যবসা বন্ধ করিয়া দেয়;

(খ) যদি কোন সময় ১৩৮[ উপ-ধারা (২)] এর অধীনে আরোপিত কোন শর্ত উক্ত কোম্পানী পালন করিতে ব্যর্থ হয়; বা

(গ) যদি কোন সময় উক্ত কোম্পানী উপ-ধারা (৪)এ উল্লেখিত কোন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয় :

তবে শর্ত থাকে যে, দফা (খ) ও (গ) এর অধীন কোন লাইসেন্স বাতিল করিবার পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাধীনে উক্ত দফাসমূহের বিধানাবলী পালন বা পূরণ করিবার জন্য প্রয়োজনীয় পদতেগপ গ্রহণের সুযোগ প্রদানজনিত বিলম্ব উক্ত কোম্পানীর আমানতকারীদের বা জনস্বার্থের পরিপন্থী হইবে না, তাহা হইলে উক্ত বিধানাবলী পালন বা পূরণ করিবার সুযোগ দিবে৷

(৬) এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্তের ফলে কোন ব্যাংক-কোম্পানী সংতক্ষুব্ধ হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত উহাকে গোচরীভূত করিবার তারিখের ত্রিশ দিনের মধ্যে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী ১৩৯[ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা-পর্ষদের নিকট তাহা পুনর্বিবেচনার আবেদন] করিতে পারিবে৷

১৪০[ ***]
  
  
 
নূতন ব্যবসা কেন্দ্র চালু বা বর্তমান ব্যবসা কেন্দ্র স্থানান্তরের উপর বাধা-নিষেধ 
৩২৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত পূর্ব অনুমোদন ব্যতিরেকে-

(ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশের কোথাও কোন নূতন ব্যবসা কেন্দ্র চালু করিবে না এবং বিদ্যমান ব্যবসা কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করিবে না; এবং

(খ) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশের বাহিরে কোন নূতন ব্যবসা কেন্দ্র চালু করিবে না এবং বাংলাদেশের বাহিরে বিদ্যমান ব্যবসা কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করিবে না৷

(২) কোন প্রদর্শনী, মেলা, সম্মেলন বা অনুরূপ অন্য কোন অনুষ্ঠান উপলত্মেগ জনসাধারণকে সাময়িকভাবে ব্যাংকের সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে অনধিক এক মাসের জন্য নূতন ব্যবসা কেন্দ্র চালু করা হইলে সেই ত্মেগত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ ব্যবসা চালু করিবার এক সপ্তাহের মধ্যে তত্সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে জানাইতে হইবে৷

(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত অনুমতি প্রদানের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনবোধে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন বিষয়ে ধারা ৪৪ এর অধীন পরিদর্শনের মাধ্যমে বা অন্য কোনভাবে ১৪১[ জানিয়া নিতে] পারিবে৷
  
  
 
সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ সংরক্ষণ 
৩৩৷ (১) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী চলতি বাজার দরে বাংলাদেশের অভ্যন্ত্মরে এই পরিমাণ নগদ অর্থ বা স্বর্ণ বা দায়মুক্ত অনুমোদিত সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র সংরত্মগণ করিবে যাহার মূল্য উহার যে কোন কার্য দিবসের সমাপ্তিতে উহার সমুদয় মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়ের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হারের কম হইবে না৷

ব্যাখ্যা৷- এই ধারায় “দায়হীন অনুমোদিত সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র” বলিতে এইরূপ সম্পত্তির অনুমোদিত নিদর্শন-পত্রকেও বুঝাইবে, যাহা উক্ত ব্যাংক কর্তৃক কোন অগ্রিম বা অন্যবিধ ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট জমা রাখা হইয়াছে; তবে এইরূপ নিদর্শন-পত্রের মূল্যের সেই পরিমাণ এই সংজ্ঞার অন্ত্মর্ভুক্ত হইবে যে পরিমাণ অর্থ উক্ত নিদর্শন-পত্রের বিপরীতে গ্রহণ করা হয় নাই৷

১৪২[ (২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক Bangladesh Bank Order,1972 (P.O No. 127 of 1972) এর section 36 কিংবা ধারা ২৫ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট চলতি হিসাবে রক্ষিত নগদ জমার অতিরিক্ত অর্থ এবং নিজের নিকট বা বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন প্রতিনিধি ব্যাংকের নিকটে চলতি হিসাবে জমা অর্থ এবং/বা বাংলাদেশ ব্যাংকে লাভ-ক্ষতির ভাগাভাগি ভিত্তিক জমা হিসাবে রক্ষিত অর্থ বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত অন্য কোন হিসাবে রক্ষিত অর্থ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অর্থ গণনার ক্ষেত্রে নগদ অর্থ হিসাবে গণ্য হইবে।



ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারায় ‘‘প্রতিনিধি ব্যাংক’’ বলিতে কোন তফসিলি ব্যাংক-কোম্পানীর এমন শাখাকে বুঝাইবে যাহা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ক্লিয়ারিং হাউজ পরিচালনা করে।]

(৩) সম্পদ ও দায় নিরূপণ পদ্ধতি এবং শ্রেণীভিত্তিতে সংরক্ষণযোগ্য সম্পদের অনুপাত বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে;

ব্যাখ্যা৷- এই ধারায় “দায়হীন অনুমোদিত সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র” বলিতে এইরূপ সম্পত্তির অনুমোদিত নিদর্শন-পত্রকেও বুঝাইবে, যাহা উক্ত ব্যাংক কর্তৃক কোন অগ্রিম বা অন্যবিধ ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট জমা রাখা হইয়াছে; তবে এইরূপ নিদর্শন-পত্রের মূল্যের সেই পরিমাণ এই সংজ্ঞার অন্ত্মর্ভুক্ত হইবে যে পরিমাণ অর্থ উক্ত নিদর্শন-পত্রের বিপরীতে গ্রহণ করা হয় নাই৷

(ক) এই ধারা মোতাবেক সংরক্ষিত উহার সম্পদ; এবং

(খ) মাসের প্রতি বৃহস্পতিবারের সমাপ্তিতে এবং কোন বৃহস্পতিবার Negotiable Instruments Act, 1881 (XXVI of 1881) এর অধীনে সরকারী ছুটির দিন থাকিলে, উহার পূর্ববর্তী কার্যদিবসের সমাপ্তিতে, বাংলাদেশের অভ্যন্ত্মরে উহার মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়৷

(৫) যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী নির্ধারিত বিনিময়যোগ্য সম্পদ সংরক্ষণ করিতে কোন সময়ে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী উল্লিখিত সম্পদের ঘাটতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রদানের জন্য ধার্যকৃত ১৪৩[ ***] হারে জরিমানা দিতে বাধ্য থাকিবে।
  
  
 
বাংলাদেশের অভ্যন্তরস্থ সম্পদ 
৩৪৷ (১) যে কোন কার্য দিবসের সমাপ্তিতে প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানীর বাংলাদেশের অভ্যন্ত্মরস্থ সম্পদের মূল্য বাংলাদেশের অভ্যন্ত্মরে উহার বিদ্যমান মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়ের সেই পরিমাণ অপেত্মগা কম থাকিবে না যাহা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত ১৪৪[ শতাংশ] কোন অবস্থাতেই উক্ত দায়ের ৮০% এর বেশী হইবে না৷

(২) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী, প্রতিটি মাস শেষ হইবার পূর্বে, উহার পূর্ববর্তী মাসের একটি বিবরণী, যাহাতে নিম্নলিখিত তথ্যাদি থাকিবে, নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে, যথা:-

(ক) এই ধারা মোতাবেক উহার সংরক্ষিত সম্পদ;

(খ) মাসের প্রতি বৃহস্পতিবারের সমাপ্তিতে এবং কোন বৃহস্পতিবার Negotiable Instruments Act, 1881 (XXVI of 1881) এর অধীনে সরকারী ছুটির দিন থাকিলে, উহার পূর্ববর্তী কার্যদিবসের সমাপ্তিতে, বাংলাদেশের অভ্যন্ত্মরে উহার মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়৷

(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-

(ক) নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিল বা জামানত বাংলাদেশের বাহিরে ধারণকৃত হওয়া সত্বেও উহা বাংলাদেশের অভ্যন্ত্মরস্থ সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবে, যদি-

(অ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত মুদ্রায় কোন রপ্তানী বিল বাংলাদেশে দাবীকৃত হয় বা কোন আমদানী বিল বাংলাদেশে দাবীকৃত ও পরিশোধযোগ্য হয়; এবং

(আ) কোন সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে কোন সম্পদকে যদি যথার্থ অর্থে সম্পদ বলিয়া গণ্য করা না যায়, তাহা হইলে উহা উক্তরূপ সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবে না৷

১৪৫[ (খ) ‘‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দায়’’ অর্থে আদায়কৃত মূলধন ও সংরক্ষিত সঞ্চিতিসমূহ বা ব্যাংক-কোম্পানীর লাভ-ক্ষতির হিসাবে উল্লিখিত আকলন স্থিতি অন্তর্ভুক্ত হইবে না।]
  
  
 
অদাবীকৃত আমানত এবং মূল্যবান সামগ্রী 
৩৫৷ (১) যেক্ষেত্রে-

(ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন বাংলাদেশী শাখায় সরকার, নাবালক বা আদালতের অর্থ ব্যতীত অন্য কাহারো ১৪৬[ ***] পরিশোধযোগ্য অর্থের ব্যাপারে নিম্ন উল্লিখিত তারিখ হইতে দশ বৎসর পর্যন্ত যোগাযোগ করা না হয়, যথা :-

(অ) নির্দিষ্ট মেয়াদী আমানতের ক্ষেত্রে, উক্ত মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার তারিখ হইতে, এবং

(আ) অন্য কোন আমানতের ক্ষেত্রে, সর্বশেষ লেনদেন বা হিসাব বিবরণীর সর্বশেষ প্রাপ্তি স্বীকার বা উক্ত বিবরণীর জন্য সর্বশেষ অনুরোধের তারিখ হইতে; বা

(খ) কোন আমানতের উপর প্রদেয় ডিভিডেন্ড, বোনাস, লাভ বা পরিশোধযোগ্য অন্য কোন অর্থ যে তারিখে প্রদানযোগ্য বা দাবীযোগ্য হয় সে তারিখ হইতে দশ বত্সর পর্যন্ত্ম অপরিশোধকৃত থাকে, বা দাবী করা না হয়;বা

(গ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর এক শাখা কর্তৃক উহার অন্য শাখার নিকট ১৪৭[ ***] পরিশোধযোগ্য চেক, ড্রাফ্‌ট বা বিনিময় দলিল, প্রেরণ করা হইলে, উক্ত চেক, ড্রাফ্‌ট বা দলিল ইস্যু, প্রত্যয়ন বা গ্রহণ করার তারিখ হইতে দশ বত্সর পর্যন্ত উহাদের বাবদ অর্থ প্রদান না করা হয়; বা

(ঘ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় রক্ষিত অনুমোদিত সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র, শেয়ার, পণ্য বা কোন মূল্যবান সামগ্রী, অতঃপর যৌথভাবে এবং এককভাবে মূল্যবান সামগ্রী বলিয়া উল্লিখিত, আমানতকারী কর্তৃক সর্বশেষ পরিদর্শন বা স্বীকৃতি প্রদানের তারিখ হইতে দশ বত্সর পর্যন্ত্ম পরিদর্শিত বা স্বীকৃত না হয়;

সেই ক্ষেত্রে উক্ত অর্থ, চেক, ড্রাফ্‌ট বা বিনিময় দলিলের পাওনাদার বা পাওনাদারের পত্মেগ কোন ব্যক্তিকে এবং মূল্যবান সামগ্রীর আমানতকারীকে তাঁহার দেওয়া বা প্রেরিত সর্বশেষ ঠিকানায় প্রেরিত ব্যাংক-কোম্পানীর প্রাপ্তি স্বীকার রশিদসহ রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযোগে তিন মাসের লিখিত নোটিশ প্রেরণ করিবে ১৪৮[ ;

ড্রাফট বা বিনিময় দলিলের পাওনাদারের ঠিকানা পাওয়া না গেলে আবেদনকারীর ঠিকানায় অনুরূপ নোটিস প্রেরণ করিবে।]

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নোটিশ প্রেরণের তিনমাস অতিক্রান্ত্ম হওয়ার পরেও যদি উহার প্রাপ্তি স্বীকার পত্র বা কোন উত্তর না আসে, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী, ক্ষেত্রমত, নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে, যথা :-(ক)

উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত অর্থের ত্মেগত্রে সুদসহ উক্ত অর্থের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক-কে প্রদান করিবে;

(খ) উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত চেক, ড্রাফ্‌ট বা বিনিময় দলিলের ক্ষেত্রে, উহা উপস্থাপিত হইলে যে পরিমাণ অর্থ, সুদ থাকিলে তাহাসহ, উক্ত ব্যাংক কর্তৃক প্রদেয় হইত, সেই পরিমাণ অর্থ ও সুদ বাংলাদেশ ব্যাংক-কে প্রদান করিবে;

(গ) উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত মূল্যবান সামগ্রীর ক্ষেত্রে, উহা যে দেনা, দলিল বা ব্যবস্থাধীনে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর জিম্মায় রক্ষিত আছে সেই দেনা, দলিল বা ব্যবস্থার শর্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট হস্তান্তর করিবে; এবং অনুরূপভাবে প্রদান বা হস্তান্তরের পর উক্ত অর্থ, চেক, ড্রাফ্‌ট বা বিনিময় দলিল বা মূল্যবান সামগ্রী সম্পর্কে উক্ত কোম্পানীর আর কোন দায় দায়িত্ব থাকিবে না৷

১৪৯[ (ঘ) বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা প্রদানের পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী তাহাদের ওয়েবসাইটে প্রেরিত অদাবীকৃত আমানত ও মূল্যবান সামগ্রীর তালিকা ১ (এক) বৎসর যাবৎ প্রকাশ করিবে।]

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদেয় নোটিশ,-

(ক) কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, উহার যে কোন সদস্য বা ম্যানেজারের নিকট, কোন হিন্দু যৌথ পরিবারের ক্ষেত্রে, উহার কোন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যের নিকট, এবং ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত অন্য কোন সমিতির ক্ষেত্রে, উহার মূখ্য কর্মকর্তার নিকট, প্রেরণ করা যাইবে;

(খ) উহার প্রাপক কর্তৃক যথাযথভাবে ক্ষমতা প্রদত্ত প্রতিনিধকে বা, উক্ত প্রাপক মৃত হইলে, তাঁহার বৈধ প্রতিনিধকে, বা উক্ত প্রাপক দেউলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকিলে, তাঁহার স্বত্ব-নিয়োগীকে, প্রদান করা যাইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, প্রাপক কর্তৃক প্রতিনিধি নিয়োগের বা প্রাপকের মৃত্যু বা তাঁহার দেউলিয়া ঘোষিত হইবার বিষয়টি ব্যাংক-কোম্পানীর গোচরে থাকিতে হইবে;

(গ) চেক বা ড্রাফ্‌ট বা বিনিময় বিলের যুগ্ম-পাওনাদার বা একাধিক সুবিধা প্রাপক থাকিলে, বা মূল্যবান সামগ্রী একাধিক ব্যক্তির নামে রক্ষিত থাকিলে, তাঁহাদের যে কোন একজনকে প্রদান করা হইলে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(ঘ) উহার খাম বা আবরণীটিতে যথাযথভাবে প্রাপকের ঠিকানা লিখিত, ডাক-টিকেট লাগানো এবং উহা ডাক বাক্সে ফেলা হইয়া থাকিলে, উক্ত নোটিশ অন্য কোন ব্যক্তির নিকট পৌঁছানো সত্বেও অথবা উহার প্রাপকের মৃত্যু, মস্ত্মিস্ক-বিকৃতি, বা দেউলিয়া হওয়া সত্বেও, যদি ব্যাংক-কোম্পানী উক্ত বিষয়ে নোটিশ প্রদানের পূর্বে অবহিত না হইয়া থাকে, অথবা নোটিশ সম্বলিত উক্ত খামটি বা আবরণীটি ডাক বিভাগ কর্তৃক “প্রাপককে পাওয়া গেল না” এই মর্মে বা অনুরূপ অন্য কোন মর্মে কোন বিবৃতি লিপিবদ্ধ হওয়া সত্বেও, উক্ত খাম বা আবরণী যে তারিখে ডাক বাক্সে ফেলা হইয়াছিল সেই তারিখের পর হইতে পনর দিন পরে, উক্ত নোটিশ যথাযথভাবে জারী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৪) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পত্মেগ লিখিত কোন চিঠির উপর ঠিকানা লেখা, ডাক টিকিট লাগানো এবং উহা ডাকযোগে প্রেরণের জন্য দায়িত্বসম্পন্ন কর্মচারীর দস্ত্মখতে যদি এই মর্মে প্রত্যয়ন থাকে যে, উপধারা (১) এর অধীন প্রদেয় নোটিশ সম্বলিত খামে বা আবরণীটিতে যথাযথভাবে ঠিকানা লেখা বা ডাক টিকিট লাগানো হওয়ার পর উহা ডাক বাক্সে ফেলা হইয়াছে, তাহা হইলে অনুরূপ প্রত্যয়ন উক্ত নোটিশ প্রদানের বিষয়ে চূড়ান্ত্ম সাত্মগ্য হিসাবে গণ্য হইবে৷

(৫) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংক-কে উপ-ধারা (২) এর অধীনে অর্থ প্রদানের সংগে সংগে, সংশ্লিষ্ট ঋণের শর্তাবলীতে বা কোন দলিলে বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্বেও, উক্ত অর্থের উপর কোন সুদ প্রদেয় বা লাভ-ক্ষতি গণনা করা হইবে না৷

(৬) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক-কে উপ-ধারা (২) এর অধীনে কোন অর্থ প্রদান বা দলিল বা মূল্যবান সামগ্রী হস্ত্মান্ত্মরের পর উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী এতদ্‌সংক্রান্ত্ম স্বাক্ষর কার্ড, স্বাক্ষরের কর্তৃত্ব সম্পর্কিত দলিল এবং অন্যান্য দলিল সংরক্ষণ করিবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে অনুরূপ সংরক্ষণের প্রয়োজন নাই বলিয়া না জানানো পর্যন্ত্ম উহাদিগকে অব্যাহতভাবে সংরক্ষণ করিবে৷

(৭) Limitation Act, 1908 (IX of 1908) বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের কোন কিছুই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর দায় ক্ষুণ্ন করিবে না৷

(৮) উপ-ধারা (১) অনুসারে, গণনা করিয়া দশ বত্সর অতিবাহিত হইবার পর যে সব দাবীহীন অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী অপরিশোধিত, বা ক্ষেত্রমত, অফেরত্ অবস্থায় কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট থাকে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী, প্রত্যেক পঞ্জিকা বত্সর শেষ হইবার ত্রিশ দিনের মধ্যে, বিধিদ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে, সেই সকল অর্থ বা সামগ্রীর একটি বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে৷

(৯) উপ-ধারা (২) এর অধীনে যে সকল অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত হইবে, উহাদের একটি তালিকা উক্ত ব্যাংক, সরকারী গেজেটে এবং অন্যুন দুইটি দৈনিক পত্রিকায়, প্রতি তিন মাসে একবার করিয়া ১৫০[ অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে] এক বত্সর ধরিয়া প্রকাশ করিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক যদি এই মর্মে সিদ্ধান্ত্ম গৃহীত হয় যে, তত্কর্তৃক নির্ধারণকৃত কোন অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রীর জন্য তালিকা প্রকাশ করার প্রয়োজন নাই, তাহা হইলে অনুরূপ দাবীহীন অর্থ বা সামগ্রীর জন্য তালিকা প্রকাশ করার প্রয়োজন হইবে না৷

(১০) যে ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট জমা রাখে সেই ব্যাংক-কোম্পানী, অনুরূপভাবে জমা রাখিবার পর হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের উক্ত অর্থ বা সামগ্রীর উপর পূর্বস্বত্ব বা পাল্টাদাবী বা উহাকে পৃথক করিয়া রাখার দাবী করিতে পারে৷

(১১) উপ-ধারা (২) এর অধীন জমাকৃত অর্থ বা হস্ত্মান্ত্মরিত মূল্যবান সামগ্রীর অধিকারী বলিয়া কোন ব্যক্তি দাবী করিলে তিনি তাঁহার দাবী বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট উপস্থাপন করিতে পারিবেন৷

(১২) উপ-ধারা (১০), (১৩) ও (১৫) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপ-ধারা (১০) ও উপ-ধারা (১১) এর অধীন উপস্থাপিত দাবীর উপর বাংলাদেশ ব্যাংক তত্কর্তৃক সমীচীন বলিয়া বিবেচিত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং উপ-ধারা (১১) এর অধীন উত্থাপিত কোন দাবীর প্রেত্মিগতে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন অর্থ প্রদান বা মূল্যবান সামগ্রী বিলি করিলে উহার গ্রহীতার প্রাপ্তি রশিদ ঐ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব মোচন করিবে৷

(১৩) বাংলাদেশ ব্যাংকে উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত অর্থ বা হস্তান্তরিত মূল্যবান সামগ্রী সম্পর্কে অনুরূপ প্রদান বা হস্তান্তরের পর হইতে ১৫১[ দুই বৎসরের] মধ্যে যদি কোন বিরোধ কোন আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকে এবং উক্ত বিরোধ সম্পর্কে আদালত হইতে বা অন্য কোন সূত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক অবহিত হয়, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত অর্থ বা সামগ্রী নিজের তত্বাবধানে রাখিবে এবং আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উহার বিলি বন্দোবস্ত করিবে৷

(১৪) উপ-ধারা (১০), (১৩) এবং (১৫) এর বিধান সাপেক্ষে, উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত অর্থ বা হস্তান্তরিত মূল্যবান সামগ্রী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর হইতে ১৫২[ দুই] বত্সরের মধ্যে উক্ত অর্থ বা সামগ্রী সম্পর্কে যদি কোন দাবী উত্থাপতি না হয় বা কোন তরফ হইতে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে অবহিত করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত ১৫৩[ দুই] বত্সর অতিবাহিত হইবার পর হইতে উক্ত অর্থ বা সামগ্রীর উপর কাহারো কোন দাবী থাকিবে না এবং উহা সরকারের সম্পত্তি হইবে এবং সরকারের উপর উহা ন্যস্ত হইবে৷

১৫৪[ (১৫) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক চেক, ড্রাফট বা বিনিময় বিলের কোন পাওনাদার বা সুবিধা প্রাপককে বা যে ব্যক্তির নামে কোন মূল্যবান সামগ্রী রহিয়াছে সেই ব্যক্তিকে নোটিস প্রদানের সম্পর্কে উপ-ধারা (১) এ বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অদাবীকৃত অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রীর তালিকা প্রকাশ সম্পর্কে উপ-ধারা (৯) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আপাততঃ বাংলাদেশে বসবাস না করার ক্ষেত্রে ও তাহা ব্যাংকের গোচরে থাকিলে, কোন আমানত, দলিল বা মূল্যবান সামগ্রীর বিলি-বন্দোবস্তের ব্যাপারে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও নিয়মাবলী অনুসরণ করিতে হইবে।]

(১৬) উপ-ধারা (২) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক গৃহীত কোন অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রীর ব্যাপারে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পূর্বস্বত্ব, পাল্টা দাবী বা পৃথক করিয়া রাখার দাবী অনুমোদন, পূরণ বা অন্য কিছু, বা ক্ষেত্রমত, কোন ব্যক্তির অধিকার সম্পর্কিত বিষয়ে উপ-ধারা (১২) মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত্ম চূড়ান্ত্ম হইবে, এবং উক্ত সিদ্ধান্ত্ম সম্পর্কে, উপ-ধারা (১৭) তে বিধৃত পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোনভাবে কোন আদালত, ট্রাইবুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের সম্মুখে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা চলিবে না৷

(১৭) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উপ-ধারা (১২) এর অধীন প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত্মের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি উক্ত সিদ্ধান্ত্মের বিরুদ্ধে, সিদ্ধান্ত্ম প্রদানের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে, উক্ত ব্যাংকের গভর্ণর কর্তৃক নির্দিষ্ট কোন কর্মকর্তা, যিনি সিদ্ধান্ত্ম প্রদানকারী কর্মকর্তা অপেক্ষা উচ্চতর পদমর্যাদা সম্পন্ন হইবেন, এর নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন৷

(১৮) উপ-ধারা (১০) বা (১১) এর অধীন উত্থাপিত কোন দাবী বা উপ-ধারা (১৭) এর অধীন দায়েরকৃত কোন আপীল মীমাংসা বা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ ব্যাংক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে এবং কোন মামলার বিচারের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহে বাংলাদেশ ব্যাংক ঐ সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে যে সকল ক্ষমতা Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908) এর অধীন কোন দেওয়ানী আদালতের রহিয়াছে, যথা :-

(ক) কোন ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ এবং শপথের মাধ্যমে তাঁহার সাক্ষ্য গ্রহণ;

১৫৫[ (খ) প্রামাণিক দলিল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি উপস্থাপনে বাধ্যকরণ;]

(গ) সাত্মগীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য কমিশন নিয়োগ৷

(১৯) এই ধারার অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিষ্পত্তিযোগ্য কোন কার্যধারা Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর Section 228 এর বিধান মোতাবেক Judicial proceeding হিসাবে গণ্য হইবে এবং এই ধারার অধীন উক্ত কোন কার্যধারার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর Section 480 এর বিধান মোতাবেক একটি Civil Court হিসাবে গণ্য হইবে৷

(২০) এই ধারার অধীন কোন কার্যধারায় কোন দলিল দাখিল, প্রদর্শন বা লিপিভুক্ত করার জন্য বা বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে কোন দলিল গ্রহণের জন্য কোন কোর্ট ফি প্রদান করিতে হইবে না৷
  
  
 
ষান্মাসিক বিবরণী ইত্যাদি 
৩৬৷ ১৫৬[ (১) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী উহার সম্পদ ও দায় সম্পর্কে প্রতি বৎসরে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে একটি বিবরণী নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে।]

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত নোটিশ দ্বারা সাধারণভাবে সকল ব্যাংক-কোম্পানীকে এবং বিশেষভাবে কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উহাদের দ্বারা পরিচালিত অন্য কোন ব্যবসাসহ ব্যাংক-ব্যবসা সম্পর্কিত বিবরণী ও তথ্যাদি দাখিল করার নির্দেশ দিতে পারিবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) তে প্রদত্ত ত্মগমতার সামগ্রিকতাকে ত্মগুণ্ন না করিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক সময় সময় শিল্প, বাণিজ্য ও কৃষি ত্মেগত্রে ব্যাংক-কোম্পানীর বিনিয়োগের উপর তথ্য আহ্বান করিতে পারিবে৷
  
  
 
তথ্যাদি প্রকাশের ক্ষমতা 
১৫৭[ ৩৭। বাংলাদেশ ব্যাংক, জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করিলে, ধারা ২৭কক এর উপ-ধারা (১) এর আওতায় প্রাপ্ত খেলাপী ঋণ গ্রহীতাদের তালিকা এবং এই আইনের অধীন সংগৃহীত ৩০ দিনের অধিক সময় অনাদায়ী ঋণ ও অগ্রিম সম্পর্কিত কোন তথ্য কিংবা ব্যাংক ব্যবসা সম্পর্কিত যে কোন তথ্য একীভূত অবস্থায় বা অন্য কোনভাবে প্রকাশ করিতে পারিবে।]
  
  
 
হিসাব ও ব্যালেন্সসীট 
৩৮৷ (১) বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী কোন ১৫৮[ ইংরেজী পঞ্জিকা বৎসর] অতিবাহিত হইবার পর উক্ত বত্সরে উহা, বা উহার শাখা কর্তৃক, কৃত ব্যবসা সম্পর্কে একটি ব্যালেন্সসীট ও লাভ-ত্মগতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন বত্সরের শেষ কার্যদিবসে যেভাবে দাঁড়ায় সেইভাবে প্রথম তফসিলের ফরমে, যতদূর সম্ভব, প্রস্তুত করিবে৷
১৫৯[ (১ক) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যাংকিং কোম্পানীর কর্তব্য হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে প্রস্ত্ততকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি উপস্থাপন করা।

(১খ) বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর রেজিস্ট্রার ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘জনস্বার্থ সংস্থা’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপস্থাপিত আর্থিক বিবরণী বা অনুরূপ বিবরণী বা প্রতিবেদন গ্রহণ করিবেন না, যদি না উহা তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ উপস্থাপিত হয়।]

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যালেন্সসীট, লাভ-ক্ষতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন-

(ক) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বা প্রধান কর্মকর্তা এবং উহার পরিচালকের সংখ্যা তিনজনের বেশী হইলে, অন্যুন তিনজন পরিচালক, এবং তিনজন হইলে, সকল পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে;

(খ) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার বাংলাদেশস্থ প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক বা প্রতিনিধি এবং উক্ত ব্যবস্থাপক বা প্রতিনিধি হইতে পরবর্তী নীচের অন্য একজন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে৷

(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যালেন্সশীট, এবং লাভ-ত্মগতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল সম্পর্কে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ফরমটি কোম্পানী আইনের ১৬০[তফসিল-১১] হইতে ভিন্নতর হওয়া সত্বেও, উক্ত ব্যালেন্সশীট, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, উক্ত আইনের বিধানাবলীর ততটুকু প্রযোজ্য হইবে যতটুকু এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সংগতিপূর্ণ হয়৷

(৪) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম তফসিলের ১৬১[ ফরম ও নির্দেশনাসমূহ] সংশোধন করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ সংশোধনের অন্যুন তিন মাস পূর্বে উক্তরূপ সংশোধনের ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারী করিতে হইবে৷

১৬২[ ***]
  
  
 
নিরীক্ষা 
৩৯৷ (১) Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P. O. No. 2 of 1973) বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন অনুসারে কোম্পানীর অডিটর হওয়ার যোগ্য যে কোন ব্যক্তি ব্যাংক-কোম্পানী নিরীক্ষণের জন্য যোগ্য বলিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হইলে, ধারা ৩৮ এর অধীন প্রস্তুতকৃত ব্যালেন্সশীট অনুসারে ব্যাংক কোম্পানীর লাভ ও ক্ষতির হিসাব ও আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করিতে পারিবে৷

(২) কোম্পানী আইনের ১৬৩[ ধারা ২১৩] এর দ্বারা কোম্পানীর অডিটরদের উপর যে ক্ষমতা, দায়িত্ব, দায় ও শাস্ত্মি অর্পণ বা আরোপ করা হইয়াছে সেই ক্ষমতা, দায়িত্ব দায় ও শাস্তি উপ-ধারা (১)এ উল্লিখিত নিরীক্ষকের উপর বর্ণিত ও আরোপিত থাকিবে৷

(৩) কোম্পানী আইনের অধীন প্রয়োজনীয় বিষয়াবলী ছাড়াও কোন নিরীক্ষক তাঁহার প্রতিবেদনে নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলী উল্রেখ করিবেন, যথা :-

(ক) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানীর আর্থিক অবস্থা ও সংশ্লিষ্ট সময়ের লাভ-ক্ষতি সঠিকভাবে প্রতিফলিত হইয়াছে কিনা;

(খ) আর্থিক প্রতিবেদন সাধারণ হিসাব পদ্ধতি অনুসারে সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হইয়াছে কিনা;

(গ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রচলিত বিধি ও আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত হিসাব সংক্রান্ত্ম নিয়মকানুন মোতাবেক প্রণীত হইয়াছে কিনা;

(ঘ) যে সকল অগ্রিম এবং অন্যান্য সম্পদ আদায় সম্পর্কে সন্দেহ রহিয়াছে সেইগুলির জন্য পর্যাপ্ত সংস্থান রাখা হইয়াছে কিনা;

১৬৪[ (ঘঘ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় যে পরিমাণ নির্ধারণ ১৬৫[ করা হয়] সেই পরিমাণের অধিক টাকায় অগ্রিম বা ঋণের পরিশোধ সন্তোজনক কিনা;]

১৬৬[ (ঙ) আর্থিক প্রতিবেদন দেশে প্রচলিত বিধিবিধান ও হিসাবমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্দেশিত হিসাবমান অনুযায়ী নির্ধারিত মানসম্পন্ন হইয়াছে কিনা;]

(চ) ব্যাংক-কোম্পানীর শাখা অফিসগুলি কর্তৃক প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র এবং হিসাবসমূহ সঠিকভাবে সংরক্ষিত ও একত্রীভূত করা হইয়াছে কিনা;

(ছ) নিরীক্ষক কর্তৃক প্রার্থীত তথ্যাদি এবং ব্যাখ্যা সন্ত্মোষজনক হইয়াছে কিনা;

১৬৭[ (ছছ)অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজের জন্য অনুসৃত পদ্ধতির পর্যাপ্ততা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংস্কারের সুপারিশ;



(ছছছ) ব্যাংক-কোম্পানী কিংবা উহার কোন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক সংঘটিত যে কোন জালিয়াতি, বা কোন অনিয়ম, বা প্রশাসনিক কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি বা ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য ক্ষতিকর কোন কিছু পরিলক্ষিত হইলে তাহা;



(ছছছছ) ব্যাংক-কোম্পানীর সাবসিডিয়ারীর ক্ষেত্রে ঐ সকল সাবসিডিয়ারী কোম্পানী নিরীক্ষিত হইয়াছে কি না ও তাহার হিসাব সঠিকভাবে একত্রীভূত করতঃ ব্যাংক-কোম্পানীর আর্থিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে কি না;]

(জ) অন্য এমন সব বিষয় যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের গোচরীভূত করা উচিত বলিয়া নিরীক্ষক মনে করেন৷

(৪) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় যদি কোন নিরীক্ষক এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে,-

(ক) এই আইনের কোন বিধান গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হইয়াছে বা উহা পালনে গুরুতর অনিয়ম ঘটিয়াছে;

(খ) প্রতারণা বা অসততার দরুণ ফৌজদারী অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে;

(গ) লোকসানের দরুণ ১৬৮[ ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষিত মূলধন আবশ্যক মূলধনের] পঞ্চাশ শতাংশের নীচে নামিয়া গিয়াছে;

(ঘ) পাওনাদারদের পাওনা প্রদানের নিশ্চয়তা বিঘ্নিত হওয়াসহ অন্য কোন গুরুতর অনিয়ম ঘটিয়াছে; অথবা

(ঙ) পাওনাদারগণের পাওনা মিটাইবার জন্য কোম্পানীর সম্পদ যথেষ্ট কি না সে সম্পর্কে সন্দেহ রহিয়াছে;

তাহা হইলে তিনি অবিলম্বে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে অবহিত করিবেন৷

১৬৯[ (৫) কোম্পানী আইন বা অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা মোতাবেক ব্যাংক-কোম্পানীতে নিয়োজিত কোন নিরীক্ষক উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এ বর্ণিত বিষয়, বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত বিষয়, ব্যতীত উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীতে অন্য কোন প্রকার কর্মকান্ড বা সেবা প্রদানে লিপ্ত হইতে পারিবে নাঃ



তবে শর্ত থাকে যে, ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা ব্যাংকের কোন এজেন্ট বা কোন প্রতিনিধি এবং ব্যাংকের সহিত আমানত ব্যতীত অন্য কোনরূপ স্বার্থের সংশ্লেষ রহিয়াছে এমন ব্যক্তি ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীক্ষক বা নিরীক্ষকদলের কোন সদস্য হইতে পারিবেন না।



(৬) বাংলাদেশ ব্যাংক এতদুদ্দেশ্যে বিধান জারী করিয়া একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পর নিরীক্ষকগণের পালাবদল বাধ্যতামূলক করিতে পারিবে।]
  
  
 
বিশেষ নিরীক্ষা 
১৭০[ ৩৯ক৷ (১) ধারা ৩৯ এর অধীন নিরীক্ষা বা ধারা ৪৪ এর অধীন পরিদর্শন প্রতিবেদন বিবেচনা করিয়া বা অন্য কোনভাবে প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হইবার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কার্যাবলী বা কার্যাবলীর বিশেষ কোন অংশ নিরীক্ষা করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক ধারা ৩৯(১) এ উল্লিখিত ব্যক্তি দ্বারা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কার্যাবলী বা কার্যাবলীর অংশ বিশেষ নিরীক্ষা করাইতে পারিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বিশেষ নিরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীক্ষককে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবেন৷]
  
  
 
নিরীক্ষককে অযোগ্য ঘোষণা 
১৭১[ ৩৯খ৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হইবার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোন ব্যাংক কোম্পানীর নিরীক্ষা কাজে নিয়োজিত কোন নিরীক্ষক তাঁহার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করিয়াছেন বা তাঁহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইয়াছেন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে গঠিত কমিটির তদন্ত ও সুপারিশের ভিত্তিতে উক্ত নিরীক্ষককে বাংলাদেশ ব্যাংক, অনধিক দুই বত্সরের জন্য, কোন ব্যাংক কোম্পানী নিরীক্ষার অযোগ্য ঘোষণা করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ঘোষণা প্রদানের পূর্বে সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষককে কারণ দর্শানোর যুক্তিসংগত সুযোগ দিতে হইবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন ঘোষণার ফলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এর নিকট, উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষণার আদেশ প্রদানের পনর দিনের মধ্যে, আপীল পেশ করিতে পারিবে এবং এই ব্যাপারে উক্ত পর্ষদের সিদ্ধান্ত্মই চূড়ান্ত্ম হইবে৷]
  
  
 
বিবরণী দাখিল 
৪০৷ ধারা ৩৮ এ উল্লিখিত হিসাব, ব্যালেন্সশীট ও প্রতিবেদন এবং পরিচালক-পর্ষদ কর্তৃক, বা ক্ষেত্রমত, কোম্পানীর সাধারণ সভায় শেয়ার হোল্ডার কর্তৃক অনুমোদিত নিরীক্ষা প্রতিবেদন নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রকাশ করা হইবে এবং উক্ত হিসাব, ব্যালেন্সশীট, ও প্রতিবেদন যে সময় সম্পর্কিত সেই সময় শেষ হইবার ১৭২[ দুই] মাসের মধ্যে উহাদের প্রতিটির তিনটি করিয়া প্রতিলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক বিবরণী দাখিলের উক্ত সময়সীমা অনধিক ১৭৩[ দুই] মাস পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবে৷
  
  
 
রেজিষ্ট্রারের নিকট ব্যালেন্সশীট ইত্যাদি প্রেরণ 
৪১৷ ধারা ৪০ এর বিধান অনুসারে কোন ব্যাংক-কোম্পানী কোন বত্সরে ইহার আর্থিক প্রতিবেদন, লাভ-ক্ষতির হিসাব, ব্যালেন্সশীট এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করিলে, যদি ইহা প্রাইভেট কোম্পানী হইয়া থাকে তাহা হইলে, উক্ত ব্যালেন্সশীট, হিসাব ও প্রতিবেদনের তিনটি করিয়া অনুলিপি একই সংগে রেজিষ্ট্রারের নিকটেও প্রেরণ করা যাইতে পারিবে, এবং অনুরূপ অনুলিপি প্রেরিত হইলে, কোম্পানী আইনের উক্ত ১৭৪[ ধারা ১৯০] এর বিধান মোতাবেক উক্ত কোম্পানী কর্তৃক উক্ত ব্যালেন্সশীট, হিসাব ও প্রতিবেদনের অনুলিপি রেজিষ্ট্রারের নিকট পুনরায় প্রেরণের প্রয়োজন হইবে না, এবং উক্ত অনুলিপিগুলির উপর উক্ত ১৭৫[ ধারা] অনুযায়ী ফিস প্রদেয় হইবে এবং অন্য সকল বিষয়েও উক্ত ১৭৬[ ধারা] এর অধীন অনুলিপি দাখিল করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
  
  
 
বাংলাদেশে কার্যরত ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক নিরীক্ষীত ব্যালেন্সশীট প্রদর্শন 
১৭৭[ ৪২। বাংলাদেশে কার্যরত কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে ধারা ৩৮ এর অধীন প্রস্ত্ততকৃত ইহার সর্বশেষ ব্যালেন্সশীট এবং লাভক্ষতির হিসাব ব্যাংকের আমানতকারী, শেয়ারহোল্ডার ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য ব্যবহারকারীগণ ব্যাংক সম্পর্কে যাহাতে সহজে তথ্য লাভ করিতে পারেন সেই জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিলের এক সপ্তাহের মধ্যে বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় বাংলা দৈনিক ও একটি ইংরেজী দৈনিক পত্রিকায় প্রচার ও ব্যাংকের ওয়েবসাইটে উক্ত বিবরণী প্রকাশ করিতে হইবে এবং উক্তরূপ প্রকাশ উহার পরবর্তী ব্যালেন্সশীট ও হিসাব একইভাবে প্রকশিত না হওয়া পর্যন্ত উহা অব্যাহত থাকিবে।]
  
  
 
হিসাব সংক্রান্ত বিধানাবলীর ভবিষ্যাপেক্ষতা 
৪৩৷ এই আইন প্রবর্তিত হওয়ার পূর্বে যে হিসাব-বর্ষ সমাপ্ত হইয়াছে উহার ব্যাপারে এই আইনের কোন কিছুই কোন ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাব প্রস্তুত ও নিরীক্ষা এবং হিসাব বা নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না এবং এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইহা প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বিদ্যমান আইন অনুসারে উক্ত হিসাব প্রস্তুত ও নিরীক্ষা করা হইবে এবং হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করা হইবে৷
  
  
 
পরিদর্শন 
৪৪৷ (১) কোম্পানী আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্বেও, বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময়ে উহার এক বা একাধিক কর্মকর্তার দ্বারা কোন ব্যাংক-কোম্পানী ও উহার খাতাপত্র এবং হিসাব পরিদর্শন করিতে পারিবে এবং ১৭৮[ ***] এবং এইরূপ পরিদর্শন সমাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত পরিদর্শনের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবরাহ করিবে৷

(২) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্বেও, এবং উপ-ধারা (১) এর বিধান ক্ষুণ্ন না করিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় ইহার এক বা একাধিক কর্মকর্তা দ্বারা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর খাতাপত্র ও হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করাইতে পারিবে এবং ১৭৯[ বাংলাদেশ ব্যাংক আবশ্যক মনে করিলে উক্ত পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রস্ত্ততকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবরাহ করিত পারিবে] ৷

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকার্য বা উপ-ধারা (২) এর অধীন পরীক্ষাকার্য পরিচালনাকারী ব্যক্তির চাহিদা মোতাবেক ও তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর খাতাপত্র, হিসাব বা অন্যান্য দলিল দাখিল করা এবং উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কে কোন বিবৃতি বা তথ্য প্রদান করা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা বহিরাগত নিরীক্ষকের দায়িত্ব হইবে৷

(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকার্য বা উপ-ধারা (২) এর অধীন পরীক্ষাকার্য পরিচালনাকারী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর যে কোন পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা ইহার বহিরাগত নিরীক্ষককে শপথ পাঠ করাইয়া উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর বিষয়াবলী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷

১৮০[ (৫) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীন কোন পরিদর্শন বা পরীক্ষাকার্য সম্পন্ন করার পর উক্ত প্রতিবেদন বিবেচনান্তে যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কার্যাবলী উহার আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, লিখিত আদেশ দ্বারা-

(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক নূতন আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ করিতে পারিবে;

(খ) ধারা ৬৪ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের উদ্দেশ্যে আবেদন দাখিল করিতে পারিবে;

(গ) আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক যেইরূপ সংগত মনে করে সেইরূপ আদেশ প্রদান কিংবা কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।]

১৮১[ (৬) বাংলাদেশ ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীকে যুক্তিসংগত নোটিশ প্রদানের পর, তৎকর্তৃক প্রস্ত্ততকৃত প্রতিবেদন বা উহার অংশ বিশেষ প্রকাশ করিতে পারিবে।



ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘ব্যাংক-কোম্পানী’’ বলিতে-

(ক) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে অবস্থিত উহার সকল শাখাকে বুঝাইবে; এবং

(খ) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের ভিতরে বা বাহিরে অবস্থিত উহার সকল শাখা ও সাবসিডিয়ারী কোম্পানীকে বুঝাইবে।]

ব্যাখ্যা৷- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “ব্যাংক-কোম্পানী” বলিতে-

(ক) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে অবস্থিত উহার সকল শাখাকে বুঝাইবে; এবং

(খ) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের বাহিরে উহার সকল (সাবসিডিয়ারী ব্যাংক-কোম্পানী এবং বাংলাদেশের ভিতরে বা বাহিরে অবস্থিত উহার সকল) শাখাকে বুঝাইবে৷

(৭) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী দাবী করে যে, কোন আদালত, বা বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যতীত, অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তলবকৃত কোন বিবরণ বা তথ্য এমন গোপনীয় যে উহাদের হস্ত্মান্ত্মর বা প্রকাশের মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে তথ্য প্রকাশ হইয়া পড়িবে, তাহা হইলে সেই ব্যাংক-কোম্পানী কোন আদালত বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত না হওয়া পর্যন্ত্ম উক্ত বিবরণ প্রদান করিতে বা তথ্য প্রকাশ করিতে বাধ্য থাকিবে না, যথা :-

(অ) প্রকাশিত ব্যালেন্সশীটে প্রদর্শিত হয় নাই এইরূপ সংরক্ষিত তহবিল; বা

(আ) আদায়যোগ্য নহে বা আদায়যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ আছে এমন ঋণ যাহা উহাতে প্রদর্শিত হয় নাই৷
  
  
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ দানের ক্ষমতা 
৪৫৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে,-

(ক) জনস্বার্থে, বা

(খ) মুদ্রানীতি এবং ব্যাংক-নীতির উন্নতি বিধানের জন্য, বা

(গ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী বা ব্যাংক-কোম্পানীর স্বার্থের পত্মেগ ত্মগতিকর কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য; বা

(ঘ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য,

সাধারণভাবে সকল ব্যাংক-কোম্পানীকে, অথবা বিশেষ কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ প্রদান করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ নির্দেশ জারী করিতে পারিবে; এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী উক্ত নির্দেশ পালন করিতে বাধ্য থাকিবে৷

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক স্বেচ্ছায় অথবা উহার নিকট পেশকৃত কোন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবে; এবং এইরূপ বাতিলকরণ বা পরিবর্তন শর্তসাপেক্ষে হইতে পারিবে৷

১৮২[ (৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধানাবলী সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসহ সকল ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য হইবে।]
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ইত্যাদির অপসারণের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা 
৪৬৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা কোন পরিচালক বা ১৮৩[ প্রধান নির্বাহী কর্তৃক] , কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার ১৮৪[ আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর] কার্যকলাপ রোধকল্পে বা জনস্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লত্মেগ্য, উক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, অপসারণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, আদেশের মাধ্যমে, উক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক, প্রধান নির্বাহীকে তাঁহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আদেশ প্রদানের পূর্বে যাহার বিরম্্নদ্ধে উক্ত আদেশ প্রদান করা হইবে তাঁহাকে উহার বিরম্্নদ্ধে কারণ প্রদর্শনের জন্য যুক্তিসংগত সুযোগ দিতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, অনুরূপ সুযোগ প্রদানজনিত বিলম্ব উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারী বা জনস্বার্থে ত্মগতিকর হইবে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উপরোক্ত সুযোগ প্রদানের

সময়ে বা উহার পরে যে কোন সময় বা উক্ত উপ-ধারার অধীন কোন কারণ প্রদর্শিত হইয়া থাকিলে, তাহা বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায়, লিখিত আদেশের মাধ্যমে, নির্দেশ দিতে পারে যে,-

(ক) উক্ত চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী উক্ত লিখিত আদেশ কার্যকর হইবার তারিখ হইতে চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী হিসাবে কার্য করিবেন না, বা কোম্পানীর ব্যবস্থাপনায়, প্রত্যত্মগ বা পরোত্মগভাবে, অংশগ্রহণ করিবেন না; এবং

(খ) বাংলাদেশ ব্যাংক এতদুদ্দেশ্যে যে ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে নিযুক্ত করিবে সেই ব্যক্তি উক্ত কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা, ত্মেগত্রমত, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী হিসাবে কার্য করিবেন৷

(৩) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী উপ-ধারা (১) এর অধীন অপসারিত হন তাহা হইলে তিনি উক্ত কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা, ত্মেগত্রমত, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী পদে বহাল থাকিবেন না, এবং উক্ত আদেশে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য যাহা তিন বত্সরের বেশী হইবে না, তিনি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনায়, প্রত্যত্মগ বা পরোত্মগভাবে, সংযুক্ত হইবেন না বা অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না৷


(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী,-

(ক) তাঁহার নিযুক্তি-পত্রে নির্ধারিত শর্তাধীনে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সন্তুষ্টি সাপেত্মেগ এবং তত্কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত্ম, যাহা এক বত্সরের বেশী হইবে না, উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন; এবং


(খ) তাঁহার পদের দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে কৃত কোন কিছুর জন্য আর্থিকভাবে বা অন্য কোনভাবে দায়ী হইবেন না৷

(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীনে অপসারিত কোন ব্যক্তি উক্তরূপ অপসারণের কারণে কোন ত্মগতিপূরণ দাবী করিতে পারিবেন না৷

১৮৫[ (৬) সরকার কর্তৃক মনোনীত বা নিযুক্ত ১৮৬[ কোন চেয়ারম্যান বা পরিচালক], যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এর ক্ষেত্রে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, ১৮৭[ উক্তরূপ চেয়ারম্যান বা পরিচালকের] আচরণ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের নিকট কোন প্রতিবেদন পেশ করিলে সরকার উহা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করিবে৷]
  
  
 
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক-পর্ষদ বাতিল করার ক্ষমতা 
৪৭৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে,-

(ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক-পর্ষদ, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, ১৮৮[ এর] কার্যকলাপ উহার বা উহার আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী বা ক্ষতিকর; বা

(খ) ধারা ৪৬(১) এ উলিস্্নখিত যে কোন বা সকল কারণে, উক্ত পর্ষদ বাতিল করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, লিখিতভাবে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, আদেশ দ্বারা উক্ত পর্ষদ বাতিল করিতে পারিবে; এবং উক্ত আদেশে উলিস্্নখিত তারিখ হইতে উক্ত বাতিল আদেশ কার্যকর হইবে এবং উক্ত আদেশে যে মেয়াদের উলেস্্নখ থাকিবে সেই মেয়াদ পর্যন্ত্ম আদেশটি বলবত্ থাকিবে৷

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের মেয়াদ সময় সময় বর্ধিত করিতে পারে, তবে বর্ধিত মেয়াদসহ উক্ত মেয়াদ দুই বত্সরের বেশী হইবে না৷

(৩) পরিচালক-পর্ষদ বাতিল থাকার সময়কালে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে সময় সময় নিযুক্ত ব্যক্তি পর্ষদের যাবতীয় ত্মগমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবে৷

(৪) ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (২), (৩), (৪) ও (৫) এর বিধানসমূহ উহাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ, এই ধারার অধীন প্রদত্ত আদেশের ব্যাপারে প্রযোজ্য হইবে৷

১৮৯[ (৫) উপ-ধারার (৩) এর বিধানাবলী সত্বেও উক্তরূপ নিয়োজিত কোন ব্যক্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে বিধানাবলী জারী করিতে পারিবেঃ

(ক) উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতার সীমা;

(খ) উক্ত ব্যক্তির কাজের সহিত সম্পর্কিত ব্যয়ের বিষয়;

(গ) উক্ত ব্যক্তির নিয়োগ বাতিল;

(ঘ) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি উক্ত ব্যক্তির দায়বদ্ধতা; এবং

(ঙ) সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্মের জন্য উক্ত ব্যক্তির দায়-মুক্তি।]
  
  
 
সীমাবদ্ধতা 
৪৮৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি ধারা ৪৬ অথবা ৪৭ এর অধীনে কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন না :

তবে শর্ত থাকে যে, এতদুদ্দেশ্যে ১৯০[ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক] গঠিত স্থায়ী কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে গভর্ণর উপরোক্ত আদেশ প্রদান করিবেন৷

(২) ধারা ৪৬ অথবা ৪৭ এর অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরের কোন আদেশের ফলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের নিকট আপীল পেশ করিতে পারিবে এবং এই ব্যাপারে উক্ত পর্ষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷

(৩) এই ধারা বা ধারা ৪৬ বা ৪৭ এর অধীন গৃহীত কোন ব্যবস্থা, আদেশ বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার প্রশ্ন উত্থাপন করিতে পারিবে না এবং অনুরূপ কোন ব্যবস্থা, আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের সমক্ষে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
  
  
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধিকতর ক্ষমতা ও কার্যাবলী 
৪৯৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক,-

(ক) সাধারণভাবে সকল বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানীকে কোন নির্দিষ্ট বা বিশেষ শ্রেণীর লেনদেনে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক বা নিষেধ করিতে পারিবে;

(খ) সাধারণভাবে সকল বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানীকে উহাদের বা উহার ১৯১[ ব্যবসা] সংক্রান্ত্ম কোন বিশেষ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোন কার্যক্রম গ্রহণ না করার জন্য বা করার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে;

(গ) সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী সমূহের অনুরোধক্রমে এবং ধারা ১৯২[ ৭৫] এর বিধান সাপেক্ষে, উহাদের একত্রীকরণের প্রস্ত্মাবে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে বা অন্য কোনভাবে সহায়তা প্রদান করিতে পারিবে;

(ঘ) ধারা ৪৪ এর অধীন কোন পরিদর্শন চলাকালে বা উহা সমাপ্ত হইবার পর, লিখিত আদেশ দ্বারা এবং উহাতে উল্লিখিত শর্তাধীনে,-

(অ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বিষয়াবলী বা উহা হইতে উদ্ভূত কোন বিষয় বিবেচনার জন্য উহার পরিচালকগণের সভা আহবান করিতে বা অনুরূপ কোন বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন কর্মকর্তার সহিত আলোচনা করিতে উহার যে কোন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে;

(আ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক-পর্ষদ, বা উহার কোন কমিটি বা ব্যক্তিসংঘের সভার কার্যধারা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্ত কর্মকর্তাকে উক্ত সভায় বক্তব্য পেশ করার সুযোগ প্রদানের জন্য ব্যাংক-কোম্পানীকে, এবং উক্ত সভার কার্যধারার উপরে একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করার জন্য উক্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিতে পারিবে;

(ই) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক-পর্ষদ, বা উহার কোন কমিটি বা ব্যক্তিসংঘের যে কোন সভা সংক্রান্ত নোটিশ ও অন্যান্য চিঠিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দিষ্ট কোন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণের জন্য কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে;

(ঈ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বা উহার কোন শাখার কার্যাবলী কি প্রকারে পরিচালিত হইতেছে তাহা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক উহার কোন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করিতে পারিবে;

(উ) উক্ত পরিদর্শন চলাকালে বা উহা সমাপ্ত হইবার পর উহার দ্বারা উদঘাটিত কোন বিষয়দৃষ্টে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনায় কোন পরিবর্তন প্রয়োজন বলিয়া বিবেচনা করিলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে উক্ত পরিবর্তন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যকর করার নির্দেশ দিতে পারিবে ১৯৩[ ;

(ঙ) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, দেশের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা বা পেমেন্ট সিষ্টেমস্ এর সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে এ সংক্রান্ত যে কোন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সাধারণভাবে সকল বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে;

(চ) ঋণ শৃঙ্খলার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণভাবে সকল ব্যাংক-কোম্পানী বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানী বা বিশেষ শ্রেণীর ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য ঋণ শ্রেণীকরণ ও সঞ্চিতি সংরক্ষণ, ঋণ মওকুফ, পুনঃতফসিলীকরণ কিংবা পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিষয়সমূহে বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণীয় নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।]

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার গতি ও উন্নতি বিধানকল্পে উহার কার্যাবলী সম্পর্কে সরকারের নিকট একটি বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করিবে এবং উক্ত প্রতিবেদনে ব্যাংক-ব্যবসাকে সমগ্র দেশে জোরদার করার জন্য গ্রহণীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে পরামর্শ থাকিবে৷
  
  
 
কতিপয় ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে কতিপয় বিধান প্রযোজ্য হইবে না 
৫০৷ (১) ধারা ১৩, ১৪(১), ২৪, ২৫, ৩৩ এবং ৩৪ এর বিধানাবলী নিম্্নবর্ণিত ব্যাংক-কোম্পানীসমূহের ত্মেগত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা :-

(ক) ধারা ৩১ এর অধীন যে কোম্পানীর লাইসেন্সের আবেদন প্রত্যাখ্যান বা লাইসেন্স বাতিল করা হইয়াছে;

(খ) কোন আদালত কর্তৃক অনুমোদিত আপোষ মীমাংসা, ব্যবস্থা বা স্কীম দ্বারা, বা তত্সম্পর্কিত কার্যধারায় প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা যে কোম্পানী কর্তৃক নূতন আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ হইয়াছে;

(গ) মেমোরেন্ডাম অব এ্যাসোসিয়েশনে কোন পরিবর্তনের ফলে যে কোম্পানী কর্তৃক নূতন আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ হইয়াছে৷

(২) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উপ-ধারা (১) এ উলিস্্নখিত কোন ব্যাংক-কোম্পানী তত্কর্তৃক গৃহীত আমানত সম্পূর্ণভাবে অথবা উহার পত্মেগ সম্ভবপর সর্বোচ্চ পরিমাণে পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা, উক্ত কোম্পানী এই আইনের ব্যবহৃত অর্থে ব্যাংক-কোম্পানী নহে বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবে এবং এইরূপ ঘোষণার পর হইতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ত্মেগত্রে এই আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে উক্ত কোম্পানী কর্তৃক সম্পাদিত ও সম্পাদনীয় কোন কিছুর ত্মেগত্রে উক্ত ঘোষণা কার্যকর হইবে না৷
  
  
তৃতীয় খন্ড
কোম্পনী ইত্যাদির বেআইনি ব্যাংক-ব্যবসা
 
কতিপয় তথ্য, ইত্যাদি তলব করিবার ক্ষমতা 
৫১৷ ১৯৪[ অন্য কোন আইনে বা এই আইনের অন্যত্র যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন ব্যক্তি ধারা ৩১ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘনক্রমে জনসাধারণের নিকট হইতে আমানত গ্রহণ করিতেছে বা ব্যাংক-ব্যবসা পরিচালনা করিতেছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক,-]

(ক) উক্ত ১৯৫[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে], বা ব্যাংক-ব্যবসা করিতেছেন বা কোন সময় করিয়াছিলেন বা উহার সহিত সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন কোন ব্যক্তিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, উপরিউক্তরূপ ব্যবসার সহিত সম্পর্কিত উক্ত ১৯৬[ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির] অবগতিতে, দখলে, জিম্মায় বা নিয়ন্ত্রণে আছে এমন কোন তথ্য, দলিল বা নথিপত্র দাখিল করার নির্দেশ দিতে পারিবে;

(খ) উক্ত ১৯৭[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির] বা ব্যাংক-ব্যবসা করিতেছেন বা কোন সময় করিয়াছিলেন বা উহার সহিত সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন কোন ব্যক্তির যে কোন অংগনে প্রবেশ করিয়া তল্লাশী করিতে এবং উহাদের বা উহাদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর দখল, নিয়ন্ত্রণ বা জিম্মায় রহিয়াছে ব্যাংক-ব্যবসা সংক্রান্ত এমন সব বই, হিসাবের খাতাপত্র, দলিল বা নথিপত্র আটক করিতে যে কোন ব্যক্তিকে ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে;

(গ) দফা (খ) তে উল্লিখিত কোন বহি, হিসাবের খাতাপত্র, দলিল বা নথিপত্র পরিদর্শন বা পরীক্ষা করিতে পারিবে; এবং উক্ত দফায় উল্লিখিত যে কোন ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে;

(ঘ) উক্ত ১৯৮[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি] বা দফা (খ) তে উল্লিখিত যে কোন ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে, ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (১), (২), (৪) ও (৫) এ বাংলাদেশ ব্যাংক-কে প্রদত্ত ক্ষমতাবলীর যতটুকু প্রযোজ্য হয় ততটুকু প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
  
  
 
ঘোষণা প্রদানের ক্ষমতা 
৫২৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক, এতদুদ্দেশ্যে যেইরূপ সংগত মনে করে (সেইরূপ তদন্তের পর, যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে) যে, কোন ১৯৯[ কোম্পানী] বা ধারা ৫১ তে উল্লিখিত কোন ২০০[ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি] ধারা ২০১[ ৩১(১)] এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া ব্যাংক-ব্যবসা পরিচালনা করিতেছেন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই মর্মে একটি ঘোষণা প্রদান করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ঘোষণা প্রদানের পূর্বে উক্ত ২০২[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে] প্রস্ত্মাবিত ঘোষণার বিরুদ্ধে উহার বা তাঁহার বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ দিতে হইবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন ঘোষণা দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করিতে হইবে এবং, এইরূপ প্রকাশনার পর, উক্ত ২০৩[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান] বা উহার প্রধান নির্বাহী বা উহার কোন পরিচালক, ম্যানেজার, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা প্রতিনিধি, বা ধারা ৫৪ এর উপ-ধারা (১), (৩) বা (৪) অথবা ধারা ৫৫তে উল্লিখিত অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত ঘোষণা সম্পর্কে অবহিত নহেন এই প্রকার কোন অজুহাত দেখাইতে পারিবেন না৷

(৩) এই খণ্ডের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোন ঘোষণা উহাতে উল্লিখিত কোন বিষয়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত্ম সাক্ষ্য হইবে৷
  
  
 
ধারা ৫২ এর অধীন প্রদত্ত ঘোষণার পরিণতি 
৫৩৷ কোন ২০৪[ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান] বা অন্য কোন ব্যক্তি সম্পর্কে ধারা ৫২(১) এর অধীন কোন ঘোষণা প্রকাশিত হইলে, উক্ত ২০৫[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি] উহার বা তাঁহার সকল কাজ ও লেনদেন হইতে বিরত থাকিবে, এবং উক্ত ঘোষণা প্রকাশনার পর, উক্ত ২০৬[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি], বা উহার বা তাঁহার পক্ষে কার্যরত কোন ব্যক্তি, বা অনুরূপভাবে কার্যরত বলিয়া বিবেচিত কোন ব্যক্তির সহিত কোন লেনদেন করা হইলে, উক্ত লেনদেন অকার্যকর হইবে৷
  
  
 
নগদ জমা এবং সম্পদ সংরক্ষণ ইত্যাদি 
৫৪৷ ২০৭[ (১) ধারা ৫৩ তে যাহাই বিধৃত থাকুক না কেন, কোন কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন ব্যক্তি সম্পর্কে ধারা ৫২(১) এর অধীন কোন ঘোষণা প্রকাশিত হইলে, উক্ত কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বা উহার বা তাঁহার পক্ষে কোন ব্যক্তির দখলে, তত্ত্বাবধানে, নিয়ন্ত্রণে বা জিম্মায় আছে এমন সব টাকা-পয়সা, স্থাবর সম্পত্তি, শেয়ার, সম্পত্তির স্বত্ব-দলিল বা অন্য কোন দলিল, যত শীঘ্র সম্ভব, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত কোন ব্যাংক-কোম্পানী, বা বাংলাদেশ ব্যাংক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত কোন ব্যক্তির নিকট জমা রাখিতে হইবে।]

(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী উহাতে উল্লিখিত কোন ব্যক্তি যদি কোন টাকা পয়সা, স্থাবর সম্পত্তি, শেয়ার, সম্পত্তির স্বত্ব-দলিল বা অন্য কোন দলিল ধারা ৫২(১) এর অধীন প্রদত্ত ঘোষণা প্রকাশিত হওয়ার দুই দিনের মধ্যে জমা রাখিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যে কোন অঙ্গণে প্রবেশ করিতে, উহা তল্লাশী করিতে এবং উক্ত টাকা পয়সা, সম্পত্তি, শেয়ার, স্বত্ব-দলিল বা অন্য দলিল আটক করিয়া উপ-ধারা (১) অনুযায়ী জমা রাখিতে পারিবেন৷

(৩) ধারা ৫৬ এর অধীন আবেদনের ভিত্তিতে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত সরকারী অবসায়ক, সরকারী আমমোক্তার, অস্থায়ী-রিসিভার বা সরকারী রিসিভার কর্তৃক ধারা ৫২(১) এর অধীন ঘোষণায় উল্লিখিত কোন ২০৮[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির] সকল বহি, হিসাবের খাতাপত্র, দলিল, নথিপত্র এবং সম্পদের দখল বা তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত ২০৯[ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী] বা পরিচালক বা উক্ত ২১০[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির] ম্যানেজার, কর্মকর্তা এবং প্রতিনিধি, বা অন্য কোন ব্যক্তি যাহার দখলে বা তত্ত্বাবধানে, নিয়ন্ত্রণে বা জিম্মায় উক্ত বহি, হিসাবের খাতাপত্র, দলিল, নথিপত্র বা সম্পদ থাকে উহা রক্ষণ করিবেন, এবং উক্তরূপ রক্ষিত অবস্থায় উহার কোন লোকসান বা ক্ষতি হইলে তজ্জন্য তিনি দায়ী থাকিবেন৷

(৪) ধারা ৫২ (১) এর অধীন ঘোষণায় উল্লিখিত কোন ২১১[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির] নিকট ঋণী রহিয়াছে এমন যে কোন ব্যক্তি উক্ত ঘোষণা প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে উক্ত কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ বা আদালতের রায় প্রদানের তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে উপ-ধারা (১) এ বিধৃত পদ্ধতিতে ঋণ পরিশোধ করিবেন এবং তত্সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন৷

(৫) ধারা ৫২(১) এর অধীন ঘোষণায় উল্লিখিত কোন কোম্পানী বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা, আপীল বা দরখাস্ত অথবা অনুরূপ মামলা, আপীল বা দরখাস্ত হইতে উদ্ভূত কোন কার্যধারা এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে বিচারাধীন থাকিলে, ধারা ৫২(২) এর অধীনে ঘোষণা প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে উক্ত কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ বা আদালতের রায় প্রদানের তারিখ পর্যন্ত সময়কাল Limitation Act, 1908 (IX of 1908) এ বিধৃত তামাদিকাল গণনার ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হইবে৷
  
  
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট সম্পদ এবং দায় সম্বলিত বিবৃতি দাখিল 
৫৫৷ কোন ২১২[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান] বা ব্যক্তি সম্পর্কে ধারা ৫২ এর অধীন ঘোষণা প্রকাশিত হইবার তিন দিনের মধ্যে বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে উক্ত ২১৩[ কোম্পানীর বা প্রতিষ্ঠানের] প্রধান নির্বাহী এবং প্রত্যেক পরিচালক, এবং উক্ত ২১৪[ কোম্পানীর বা প্রতিষ্ঠানের] বা ব্যক্তির ম্যানেজার, কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি, এবং উক্ত ২১৫[ কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির] বিরুদ্ধে যে কোন দাবীদার, তাঁহার হেফাজতে উক্ত ২১৬[ কোম্পানীর বা প্রতিষ্ঠানের] বা ব্যক্তির যে সকল সম্পদ রক্ষিত আছে তত্সম্পর্কে একটি বিবৃতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবেন৷
  
  
 
অবসায়ন ইত্যাদির জন্য আনুষংগিক বিধান 
৫৬৷ (১) ধারা ৫২(১) এর অধীন কোন ঘোষণা কোন ব্যক্তি বিশেষ বা কোম্পানীর সম্পর্কে না হইয়া কোন ব্যক্তি সমষ্টি সম্পর্কে হইয়া থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি সমষ্টি কোম্পানী আইনের ২১৭[ নবম খণ্ড] এর অধীনে অবসায়নযোগ্য অনিবন্ধনকৃত কোম্পানী হিসাবে গণ্য হইবে৷

(২) কোন নিবন্ধনকৃত বা অনিবন্ধনকৃত কোম্পানী সম্পর্কে ধারা ৫২(১) এর অধীন কোন ঘোষণা প্রকাশিত হইলে উক্ত প্রকাশনার তারিখ হইতে সাত দিনের মধ্যে বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে বর্দ্ধিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পেশকৃত দরখাস্ত্মের ভিত্তিতে হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত কোম্পানী সম্পর্কে অবসায়নের আদেশ দিতে পারিবে৷

(৩) ধারা ৬৪, ৬৬ ও ৭৬ ব্যতীত ষষ্ঠ খণ্ড এবং সপ্তম খণ্ডের বিধানাবলীর যতটুকু কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের ত্মেগত্রে প্রযোজ্য হয় ততটুকু উপ-ধারা (২) এর অধীন পেশকৃত দরখাস্ত্ম এবং উহার অনুবর্তী কার্যধারার ত্মেগত্রে প্রযোজ্য হইবে৷

(৪) ২১৮[ দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন)] এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৫২(১) এর অধীনে প্রদত্ত কোন ঘোষণা কোন ব্যক্তি বিশেষ সম্পর্কিত হইলে, উক্ত ঘোষণা উক্ত ব্যক্তিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য একটি যথেষ্ট কারণ হিসাবে বিবেচিত হইবে, এবং তাঁহাকে দেউলিয়া ঘোষণা করিবার ক্ষমতাসম্পন্ন আদালত, উক্ত ধারার উপ-ধারা (২) এর অধীন ঘোষণাটি প্রকাশিত হইবার সাত দিনের মধ্যে বা সরকার কর্তৃকএতদুদ্দেশ্যে বর্ধিত সময়ের মধ্যে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পেশকৃত দরখাস্ত্মের ভিত্তিতে এবং অন্য কোন প্রমাণ ছাড়াই উক্ত ব্যক্তিকে দেউলিয়া ঘোষণা করিয়া আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত দেউলিয়ার সম্পত্তি বন্টন ও পরিচালনার ব্যাপারে উক্ত ২১৯[ আইন] এর বিধানাবলী অনুসরণ করা হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, পরবর্তীতে উক্ত আদেশ রদ করিতে বা উক্ত ব্যক্তির দায় সম্পর্কিত কোন আপোষ রত্মগা বা অন্য কোন ব্যবস্থা অনুমোদন করিতে উক্ত আদালতের কোন ক্ষমতা থাকিবে না৷
  
  
চতুর্থ খন্ড
ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কিত কতিপয় তৎপরতার উপর বিধি-নিষেধ
 
ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কিত কতিপয় তত্পরতার শাস্তি 
৫৭৷ (১) কোন ব্যক্তি-

(ক) ব্যাংক-কোম্পানীর কোন দপ্তরে বা কার্যস্থলে আইনানুগভাবে অন্য কোন ব্যক্তির প্রবেশে বা তথা হইতে বহির্গমনে বা তথায় কোন কার্য্য সম্পাদনে বাধা সৃষ্টি করিবেন না; অথবা

(খ) ব্যাংক-কোম্পানীর কোন দপ্তরে বা কার্যস্থলে উগ্রভাবে কোন মিছিল করিবেন না, বা ব্যাংক-কোম্পানীর স্বাভাবিক কার্যকলাপে ও লেনদেনে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী বা ব্যাঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত কোন কার্য করিবেন না; বা

(গ) ব্যাংক-কোম্পানীর উপরে উহার আমানতকারীর আস্থা নষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে কোন কিছু করিবেন না৷

(২) কোন ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে উপ-ধারা (১) এর বিধান ভঙ্গ করিলে, তিনি অনূর্ধ দুই বত্সরের কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ ২২০[ দুই লক্ষ] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৩) এই ধারায় “ব্যাংক-কোম্পানী” বলিতে বাংলাদেশ ব্যাংক-কেও বুঝাইবে৷
  
  
পঞ্চম খন্ড
ব্যাংক-কোম্পানীর [***] অধিগ্রহণ
 
ব্যাংক-কোম্পানীর ২২১[ ***] অধিগ্রহণ 
৫৮৷ ২২২[ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে রিপোর্ট প্রাপ্তির পর যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে,-



(ক) ধারা ২৯ বা ধারা ৪৫ এর অধীন ব্যাংক-নীতি সম্পর্কিত লিখিত নির্দেশনা পালন করিতে কোন ব্যাংক-কোম্পানী একাধিকবার ব্যর্থ হইয়াছে, বা



(খ) আমানতকারীদের ক্ষতি হইতে পারে এমন পদ্ধতিতে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হইতেছে, এবং



(অ) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থে,



(আ) ব্যাংক-নীতির স্বার্থে, কিংবা



(ই) সাধারণভাবে বা কোন বিশেষ এলাকায় ঋণ প্রদানের জন্য উন্নততর ব্যবস্থার স্বার্থে;



উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী অথবা উহার এক বা একাধিক শাখা অথবা উহার অধীনস্থ কোন প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন;



তাহা হইলে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত আলোচনাক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা, উক্ত আদেশে নির্ধারিত তারিখ হইতে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী অথবা উহার এক বা একাধিক শাখা অথবা উহার অধীনস্থ কোন প্রতিষ্ঠান, অতঃপর অধিগৃহীত ব্যাংক বলিয়া উল্লিখিত, অধিগ্রহণ করিতে পারিবে।



ব্যাখ্যা।- এই খন্ডে, বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, ‘‘অধিগৃহীত ব্যাংক’’ বলিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অধিগৃহীত এক বা একাধিক শাখা অথবা উহার অধীনস্থ কোন প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে।]

(২) এই অংশের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিগৃহীত ব্যাংকের ২২৩[ ***] সকল সম্পদ ও দায় নির্ধারিত তারিখে সরকারের নিকট হস্তান্তরিত এবং সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে৷

(৩) অধিগৃহীত ব্যাংকের সকল অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধাদি এবং উহার নগদ সঞ্চিত তহবিল, বিনিয়োগ, গচ্ছিত অর্থসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তিতে অধিগৃহীত ব্যাংকের অন্যান্য সকল স্বার্থ এবং অধিকার, যাহা নির্ধারিত তারিখের পূর্বে উক্ত ব্যাংকের দখলে বা অধিকারে ছিল, এবং উহার সকল হিসাবের বই, রেকর্ডপত্র, দলিল দস্তাবেজ, এবং উহার সকল প্রকার দেনা, দায় ও দায়িত্ব অধিগৃহীত ব্যাংকের ২২৪[ ***] সম্পদ ও দায়ের অন্তর্ভুক্ত হইবে৷

(৪) উপ-ধারা (২) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, সরকারের উপর ন্যস্ত অধিগৃহীত ব্যাংকের ২২৫[ ***] সম্পদ ও দায় সরকারের উপর ন্যস্ত হওয়া বা ন্যস্ত থাকার পরিবর্তে উহা এই অংশের অধীন প্রণীত কোন স্কীম এর আওতায় প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানী বা কর্পোরেশন, অতঃপর এই খণ্ডে হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক বলিয়া উল্লিখিত, এর উপর ন্যস্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়, তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশের দ্বারা, এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, উক্ত২২৬[ ***] সম্পদ ও দায় উক্ত আদেশ প্রকাশনার তারিখ বা উহাতে উল্লিখিত অন্য কোন তারিখ হইতে, হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের উপর ন্যস্ত হইবে৷

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন অধিগৃহীত ব্যাংকের ২২৭[ ***] সম্পদ ও দায় হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের উপর ন্যস্ত হইলে, ন্যস্ত হওয়ার তারিখ হইতে হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক অধিগৃহীত ব্যাংকের হস্তান্তর গ্রহীতা বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত তারিখ হইতে অধিগৃহীত ব্যাংক সম্পর্কিত সকল অধিকার ও দায় হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের অধিকার ও দায় বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৬) এই খণ্ডে স্পষ্ট বিধান না থাকিলে বা তদধীনে অনুরূপ বিধান করা না হইলে, নির্ধারিত তারিখের পূর্বে বিদ্যমান বা কার্যকর যে কোন ধরনের চুক্তি, লিখিত প্রতিশ্রুতি, আম্‌মোক্তারনামা, আইনানুগ প্রতিনিধির সম্মতিপত্র এবং অন্যান্য সকল প্রকার দলিল, যাহাতে অধিগৃহীত ব্যাংক একটি পক্ষ বা যাহা অধিগৃহীত ব্যাংকের অনুকূলে সম্পাদিত হইয়াছে সরকার বা হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে বা অনুকূলে সম্পূর্ণরূপে বলবত্ এবং কার্যকর হইবে যেন উহাতে অধিগৃহীত ব্যাংকের স্থলে, সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক পক্ষ ছিল এবং উহা সরকার বা হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে বা অনুকূলে সম্পাদিত হইয়াছিল৷

(৭) যদি নির্ধারিত তারিখে অধিগৃহীত ব্যাংকের দ্বারা দায়েরকৃত বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন মোকদ্দমা, আপীল বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা বিচারের অপেক্ষায় থাকে, তাহা হইলে উহা চালু থাকিবে এবং উহা সরকার বা, ক্ষেত্রমত, অধিগৃহীত ব্যাংকের দ্বারা বা বিরুদ্ধে রুজু হইয়াছিল বলিয়া গণ্য হইবে৷
  
  
 
সরকারের স্কীম প্রণয়নের ক্ষমতা 
৫৯৷ (১) সরকার, এই খণ্ডের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ২২৮[ ধারা ৫৮ এর আওতায় অধিগৃহীত কোন ব্যাংকের ব্যাপারে], বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় স্কীম প্রণয়ন করিতে পারিবে৷

(২) বিশেষতঃ উপরিউল্লিখিত ক্ষমতার সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া, উক্ত স্কীমে নিম্নলিখিত সকল অথবা যে কোন বিষয়ে বিধান থাকিতে পারে, যথা :-

(ক) অধিগৃহীত ব্যাংকের ২২৯[ ***] সম্পদ ও দায় যে কর্পোরেশন বা কোম্পানীর নিকট হস্তান্তরিত হইবে উহার গঠন, মূলধন, নাম ও দপ্তর;

(খ) হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংকের প্রথম ব্যবস্থাপনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এর গঠন, এবং সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় ও সমীচীন বলিয়া বিবেচিত উক্ত বোর্ডের সহিত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়;

(গ) যে শর্তে অধিগৃহীত ব্যাংকের কর্মচারীগণ চাকুরীতে নিয়োজিত ছিল সেই শর্তে তাঁহাদিগকে সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংকের চাকুরীতে বহাল রাখার বিষয়;

(ঘ) কোন ব্যক্তি, নির্ধারিত তারিখে অধিগৃহীত ব্যাংক হইতে বা কোন ভবিষ্য তহবিল, পেনশন বা অন্য তহবিল হইতে বা উক্ত তহবিল পরিচালনাকারী কোন কর্তৃপত্মগ হইতে পেনশন বা চাকুরীর মেয়াদ সমাপ্তিজনিত বা সহানুভূতিমূলক ভাতা বা অন্য কোন সুবিধা পাইতে অধিকারী হইলে বা নির্ধারিত তারিখে এবং উহার পূর্ব হইতে পাইতে থাকিলে, তাঁহাকে সেই পেনশন, ভাতা বা সুবিধা, উহা প্রদানের শর্ত মানিয়া চলা সাপেক্ষে, সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তরগ্রহীতা-ব্যাংক কর্তৃক প্রদান করা বা প্রদান অব্যাহত রাখার বিষয়;

(ঙ) এই খণ্ডের বিধান মোতাবেক অধিগৃহীত ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারগণকে, এবং অধিগৃহীত ব্যাংক বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী হইলে, উক্ত অধিগৃহীত ব্যাংক-কে, তাঁহাদের বা উহার দাবীর পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পদ্ধতি নির্ধারণ;

(চ) অধিগৃহীত ব্যাংকের ২৩০[ ***] কোন সম্পদ বা দায়ের কোন অংশবিশেষ বাংলাদেশের বাহিরে কোন দেশে থাকিলে উহা সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের নিকট কার্যকরভাবে হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা;

(ছ) সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের নিকট অধিগৃহীত ব্যাংকের ব্যবসা, সম্পদ এবং দায় এর কার্যকর ও পূর্ণ হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় অনুবর্তী, আনুষংগিক এবং সম্পূরক বিষয়৷

(৩) সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই ধারার অধীন প্রণীত কোন স্কীমে প্রয়োজনীয় সংযোজন বা উহার সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে পারিবে৷

(৪) এই ধারার অধীন প্রণীত সকল স্কীম সরকারী গেজেটে প্রকাশ করা হইবে৷

(৫) এই ধারার অধীন সকল স্কীম প্রণয়নের পর উহার অনুলিপি, যথাশীঘ্র সম্ভব, জাতীয় সংসদে পেশ করিতে হইবে৷

(৬) এই ২৩১[ আইনের] অন্য কোন বিধানে বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন, চুক্তি, রোয়েদাদ বা অন্য কোন দলিলে ভিন্নরূপ কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও, স্কীম সম্পর্কিত এই অংশের বিধানাবলী কার্যকর হইবে৷

(৭) এই ধারার অধীন প্রণীত স্কীম সরকার বা হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংক, এবং অধিগৃহীত ব্যাংক ও হস্তান্তরগ্রহীতা ব্যাংকের সকল সদস্য, পাওনাদার, আমানতকারী ও কর্মচারী এবং অধিগৃহীত-ব্যাংক বা হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের ব্যাপারে বা সম্পর্কে অধিকার, দায় বা ক্ষমতাসম্পন্ন অন্য সকল ব্যক্তির উপর বাধ্যতামূলক হইবে৷
  
  
 
অধিগৃহীত-ব্যাংকের শেয়ার-হোল্ডারগণকে ক্ষতিপূরণ প্রদান 
৬০৷ (১) নির্ধারিত তারিখের অব্যবহিত পূর্বে কোন ব্যক্তি অধিগৃহীত-ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার হিসেবে রেজিষ্ট্রিভুক্ত থাকিলে, উক্ত ব্যক্তিকে এবং, ২৩২[ কোন ব্যাংক-কোম্পানীর শাখা কিংবা অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে, অধিগৃহীত ব্যাংকের সম্পদ ও দায়] হস্তান্তরের জন্য সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক, বিধিদ্বারা নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী স্থিরীকৃত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর কোন কিছুই অধিগৃহীত ব্যাংকের কোন শেয়ার হোল্ডার এবং সেই শেয়ারে স্বার্থ আছে এমন কোন ব্যক্তির পারস্পরিক অধিকার ক্ষুণ্ন করিবেনা; এবং উক্ত ব্যক্তি তাঁহার শেয়ার সম্পর্কিত অধিকার উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থিরীকৃত ক্ষতিপূরণের উপর প্রয়োগ করিতে পারিবেন, কিন্তু সরকার বা হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে উহা প্রয়োগ করিতে পারিবেন না৷

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদেয় ক্ষতিপূরণ প্রাথমিকভাবে সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে, উক্ত উপ-ধারার অধীন প্রণীত বিধি অনুসারে স্থির করিবে এবং উক্ত উপ-ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ প্রাপকগণকে তাঁহাদের প্রাপ্য সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ গ্রহণের প্রস্তাব করিবে৷

(৪) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী প্রস্ত্মাবিত ত্মগতিপূরণ যদি কোন ব্যক্তির নিকট গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহা হইলে তিনি, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত্ম হওয়ার পূর্বে, সরকারের নিকট এই মর্মে লিখিত অনুরোধ করিবেন যে, বিষয়টি যেন ৬১ ধারা অধীন গঠিত ট্রাইব্যুনালের নিকট পেশ করা হয়৷

(৫) অধিগৃহীত ব্যাংকের পরিশোধকৃত মূলধনের কমপত্মেগ এক-চতুর্থাংশ মূল্যের সমপরিমাণ শেয়ার হোল্ডারগণের নিকট হইতে বা অধিগৃহীত ব্যাংক বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন কোম্পানী হইলে, অধিগৃহীত ব্যাংকের নিকট হইতে, উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন অনুরোধ পাইলে, সরকার বিষয়টির উপর সিদ্ধান্ত্ম প্রদানের জন্য উহা ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রেরণ করিবে৷

(৬) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন অনুরোধ পাওয়া না গেলে, উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রস্ত্মাবিত ত্মগতিপূরণ অথবা, অনুরূপ কোন অনুরোধ প্রাপ্তির পর উহা উপ-ধারা (৫) এর বিধান অনুসারে ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রেরিত হইলে, তত্কর্তৃক স্থিরীকৃত ত্মগতিপূরণ হইবে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদেয় ত্মগতিপূরণ এবং উক্ত ত্মগতিপূরণ চূড়ান্ত্ম এবং সংশিস্্নষ্ট সকলের উপর বাধ্যতামূলক হইবে৷
  
  
 
ট্রাইব্যুনালের গঠন 
৬১৷ (১) এই খণ্ডের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার একজন চেয়ারম্যান ও অপর দুইজন সদস্য সমন্বয়ে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করিতে পারিবে৷

(২) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হইবেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি ২৩৩[ হাইকোর্ট বিভাগের] বিচারপতি হিসাবে কর্মরত আছেন বা ছিলেন, এবং উহার অন্য দুইজন সদস্যদের মধ্যে একজন হইবেন এমন ব্যক্তি যিনি সরকারের বিবেচনায় ব্যাংক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং অন্যজন হইবেন Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No. No. 2 of 1973) তে যে অর্থে "Chartered Accountant" শব্দগুলি ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট৷

(৩) যদি কোন কারণে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্যের পদ শূন্য হয়, তাহা হইলে সরকার, উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুসারে অন্য একজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিয়া উক্ত শূন্য পদ পূরণ করিতে পারিবে; এবং উক্ত পদ শূন্য হওয়ার সময় ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন কোন কার্যধারা যে পর্যায়ে ছিল সেই পর্যায় হইতে উক্ত কার্যধারা পূনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের সম্মুখে অব্যাহত থাকিবে৷

(৪) এই খণ্ডের অধীন প্রদেয় ত্মগতিপূরণ নির্ণয় করিবার উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল উহাকে কোন বিষয়ে সহায়তা করার জন্য উক্ত বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান বা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবে৷
  
  
 
ট্রাইব্যুনালের দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা 
৬২৷ (১) ট্রাইব্যুনালের নিকট নিষ্পন্নাধীন কার্যধারায় নিম্্নবর্ণিত বিষয়সমূহে উহা সেই সকল ত্মগমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে যে সকল ত্মগমতা কোন দেওয়ানী আদালত Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908) এর অধীনে উক্ত বিষয়সমূহে প্রয়োগ করিতে পারে, যথা :-

(ক) আদালতে উপস্থিত হইবার জন্য কোন ব্যক্তির উপর সমন জারী এবং তাঁহাকে আদালতে উপস্থিত হইতে বাধ্য করা এবং শপথ গ্রহণ করাইয়া তাঁহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা;

(খ) দলিল দাখিল, দলিল উদ্‌ঘাটন ও উদ্‌ঘাটিত দলিল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান;

(গ) এফিডেভিটের মাধ্যমে সাত্মগ্য গ্রহণ;

(ঘ) সাত্মগীর জবানবন্দী গ্রহণ এবং দলিলাদি পরীত্মগার জন্য কোন ব্যক্তিকে ত্মগমতা প্রদান৷

(২) উপ-ধারা (১) এবং আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ট্রাইব্যুনাল-

(ক) সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক গোপনীয় বলিয়া দাবী করে এইরূপ কোন হিসাব বহি বা দলিল দাখিল করার জন্য, বা

(খ) উক্ত কোন বহি বা দলিলকে ট্রাইব্যুনালের নিষ্পন্নাধীন কার্যধারায় উহার নথিপত্রের অংশে পরিণত করার জন্য, বা

(গ) ট্রাইব্যুানালে নিষ্পন্নাধীন কার্যধারায় কোন পত্মগকে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত বহি বা দলিল পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়ার জন্য, সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর কোন বাধ্যবাধকতামূলক আদেশ প্রদান করিতে পারিবে না৷
  
  
 
ট্রাইব্যুনালের কার্যপদ্ধতি 
৬৩৷ (১) ট্রাইব্যুনাল উহার নিজস্ব কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷

(২) ট্রাইব্যুনাল কোন বিষয়ে আংশিক বা সম্পূর্ণ তদন্ত্ম রূদ্ধদ্বার কত্মেগ সম্পন্ন করিতে পারিবে৷

(৩) ট্রাইব্যুনালের কোন আদেশে অসাবধানতাবশতঃ বা দৈবাত্ কোন বিচ্যুতি ঘটিবার বা কোন কিছু বাদ পড়িবার ফলে যত্সামান্য বা সংখ্যাগত ত্রম্্নটি থাকিলে, ট্রাইব্যুনাল উহা স্বেচ্ছায় বা কোন পত্মেগর আবেদনের পরিপ্রেত্মিগতে শুদ্ধ করিতে পারিবে৷
  
  
ষষ্ঠ খন্ড
ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাবসা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা ও অবসায়ন
 
সাময়িকভাবে ব্যবসা বন্ধ রাখা 
৬৪৷ (১) সাময়িকভাবে দায় পরিশোধে অক্ষম কোন ব্যাংক-কোম্পানীর আবেদনক্রমে, হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত কোম্পানীর বিরুদ্ধে সকল ২৩৪[ সকল আইনগত কার্যধারা], তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাধীনে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত রাখার আদেশ দিতে পারিবে, যাহার একটি অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, এবং হাইকোর্ট বিভাগ সময় সময় উক্ত সময়সীমা বর্ধিত করিতে পারিবে৷ কিন্তু এই বর্ধিত সময়ের মেয়াদ সর্বমোট ছয় মাসের অধিক হইবে না৷

(২) আবেদনকারী ব্যাংক-কোম্পানী উহার দেনা পরিশোধ করিতে পারিবে এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত একটি রিপোর্ট আবেদনপত্রের সহিত সংযোজিত না হইলে উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, আবেদনপত্রের সহিত উক্তরূপ রিপোর্ট সংযোজিত না থাকিলেও হাইকোর্ট বিভাগ, যথাযথ কারণ থাকিলে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে এই ধারার অধীন প্রতিকার প্রদান করিতে পারিবে এবং এইরূপ প্রতিকার প্রদান করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে একটি রিপোর্ট তলব করিবে, এবং উক্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির পর হাইকোর্ট বিভাগ উহার আদেশ বাতিল করিতে পারিবে বা অন্য কোন যথাযথ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আবেদনপত্র দাখিল করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ একজন বিশেষ কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং আবেদনকারী ব্যাংক-কোম্পানী যে সকল সম্পদ, বহি, দলিল, মালামাল এবং আদায়যোগ্য দাবীর অধিকারী বা অধিকারী বলিয়া ধারণা করা হয়, সেসব কিছুই উক্ত কর্মকর্তা তত্ত্মগণাত্ নিজের তত্ত্বাবধানে বা নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করিবেন, এবং উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করিয়া হাইকোর্ট বিভাগ অন্য যে ত্মগমতা তাঁহাকে অর্পণ করিবে সেই ত্মগমতাও তিনি প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷

(৪) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আদেশ প্রদান করা হয় এবং যদি বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত ব্যাংকের কার্যকলাপ উহার আমানতকারীগণের স্বার্থবিরোধী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং এইরূপ আবেদনপত্র দাখিল করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত উপ-ধারার অধীন প্রদত্ত স্থগিত আদেশের মেয়াদ আর বর্ধিত করিবে না৷
  
  
 
হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অবসায়ন 
৬৫৷ (১) ধারা ৬৪(১) তে প্রদত্ত ত্মগমতাকে ত্মগুণ্ন না করিয়া, এবং কোম্পানী আইনের ২৩৫[ ধারা ২২৮, ২৪১ এবং ৩৭২] এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য আদেশ প্রদান করিবে, যদি-

(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উহার ঋণ পরিশোধ করিতে অত্মগম হয়;

(খ) উক্ত কোম্পানী অবসায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারা বা ধারা ৬৪ এর অধীন আবেদন করে৷

(২) ধারা ৪৪(৫)(খ) এর অধীন নির্দেশিত হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত নির্দেশে উলিস্্নখিত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য এই ধারার অধীন দরখাস্ত্ম দাখিল করিবে৷

(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীনে আবেদন করিতে পারে,-

(ক) যদি উক্ত কোম্পানী,-

(অ) ধারা ১৩ এর অধীন প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করিতে ব্যর্থ হইয়া থাকে; বা

(আ) ধারা ৩১ এর বিধানজনিত কারণে বাংলাদেশে ব্যাংক-ব্যবসা চালাইবার অধিকার হারাইয়া থাকে;

(ই) ধারা ৪৪(৫)(ক) অথবা Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. No. 127 of 1972) এর Article 36(5)(b) এর অধীনে প্রদত্ত আদেশ দ্বারা নূতনভাবে আমানত গ্রহণ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা পাইয়া থাকে; বা

(ঈ) ধারা ১৩ তে বিধৃত পূরণীয় শর্ত ব্যতিরেকে এই ২৩৬[ আইনের] অধীন প্রয়োজনীয় অন্যান্য শর্ত পূরণ করিতে ব্যর্থ হইয়া থাকে এবং লিখিত নোটিশের মাধ্যমে উক্ত ব্যর্থতার কথা উহাকে অবহিত করার পরও তাহা অব্যাহত রাখে;

(এ) এই ২৩৭[ আইনের] কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়া থাকে এবং উহাকে লিখিত নোটিশের মাধ্যমে উক্ত লঙ্ঘন সম্পর্কে অবহিত করা সত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক সময় সময় এতদুদ্দেশ্যে যে মেয়াদ নির্ধারণ করে তাহা অতিক্রান্ত্ম হওয়ার পরেও উক্ত লঙ্ঘন অব্যাহত রাখে; অথবা

(খ) যদি বাংলাদেশ ব্যাংক এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে,-

(অ) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কে আদালত অনুমোদিত কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থা, উহার সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে, সন্ত্মোষজনকভাবে কার্যকর করা সম্ভব নহে; বা

(আ) এই ২৩৮[ আইনের] বিধানাবলীর অধীন বা মোতাবেক উহার নিকট প্রেরিত রিটার্ণ, প্রতিবেদন বা তথ্য হইতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর দেনা পরিশোধে উহার অত্মগমতা প্রকাশ পাইয়াছে; বা

(ই) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অস্ত্মিত্ব অব্যাহত রাখা উহার আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী৷ (৪) কোম্পানী আইনের ২৩৯[ ধারা ২৪২] এর বিধান ত্মগুণ্ন না করিয়া, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার দেনা পরিশোধে অত্মগম বলিয়া গণ্য হইবে; যদি-

(ক) উক্ত কোম্পানীর অফিস বা শাখা আছে এমন স্থানে উহার কোন দেনা পরিশোধের জন্য কোন আইনানুগ দাবী পেশ করা হয়, কিন্তু দুই কার্য দিবসের মধ্যে উক্ত দেনা পরিশোধে উহা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিয়া থাকে; বা

(খ) অন্য কোথাও উক্ত দাবী পেশ করা হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উহার দেনা পরিশোধে অত্মগম; বা

(গ) বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিতভাবে এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে ব্যাংক-কোম্পানীটি উহার দেনা পরিশোধ করিতে অসমর্থ৷

(৫) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন দরখাস্ত্ম সুপ্রীম কোর্টের রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিবে৷
  
  
 
আদালত-অবসায়ক 
৬৬৷ (১) ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ন মামলার সংখ্যা ও তত্সংশিস্্নষ্ট কাজের পরিমাণ বিবেচনা করিয়া সরকার যদি অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত অবসায়নের কার্যধারা পরিচালনা এবং তত্সংক্রান্ত্ম বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক আরোপিত অন্যান্য দায়িত্ব সম্পাদন করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের সহিত একজন আদালত অবসায়ক সংযুক্ত করা প্রয়োজন ও সমীচীন, তাহা হইলে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদে একজন আদালত-অবসায়ক নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আদালত অবসায়ক নিযুক্ত হইলে এবং হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক-কোম্পানী অবসায়নের জন্য আদেশ প্রদান করিলে, কোম্পানী আইনের ২৪০[ ধারা ২৫০ অথবা ২৫৫] এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আদালত অবসায়ক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সরকারী অবসায়ক হইবে৷

(৩) যদি কোন আদালত অবসায়ক হাইকোর্ট বিভাগের সহিত সংযুক্ত থাকেন এবং এই ২৪১[ আইন] প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বা উক্তরূপ সংযুক্তির তারিখের পূর্বে, উহাদের মধ্যে, যাহা পরবর্তী, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য কোন কার্যধারা চালু থাকে, যাহাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বা আদালত অবসায়ক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি সরকারী অবসায়ক হিসাবে নিযুক্ত আছেন তাহা হইলে কোম্পানী আইনের ২৪২[ ধারা ২৫৬] এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে ব্যক্তি সরকারী অবসায়ক নিযুক্ত হইয়াছেন তিনি উক্ত প্রবর্তন, বা ত্মেগত্রমত, সংযুক্তির তারিখে তাঁহার পদ ত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্ত শূন্য পদে আদালত অবসায়ক সরকারী অবসায়ক হিসাবে নিযুক্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত অবসায়ককে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক-কে এতদ্‌সম্পর্কে শুনানীর সুযোগ দেওয়ার পর হাইকোর্ট বিভাগ যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত আদালত অবসায়কের নিযুক্তি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থের জন্য ত্মগতিকর হইতে পারে, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ পূর্বের সরকারী অবসায়ককে তাঁহার কার্য চালাইয়া যাইবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
  
  
 
বাংলাদেশ ব্যাংক ইত্যাদির অবসায়ক হিসাবে নিয়োগ 
৬৭৷ কোম্পানী আইনের ২৪৩[ ধারা ৫৩ অথবা ২৫৫] এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ব্যাংক কোম্পানীর অবসায়ন কার্য ধারায় হাইকোর্ট বিভাগের নিকট বাংলাদেশ ব্যাংক-কে বা কোন ব্যক্তি বিশেষকে সরকারী অবসায়ক হিসাবে নিযুক্ত করিবার আবেদন করে, তাহা হইলে সাধারণতঃ উক্ত আবেদন মঞ্জুর করা হইবে, এবং উক্ত কার্যধারায় কোন অবসায়ক পূর্ব হইতে কার্যরত থাকিলে, তাঁহার পদ উক্ত সরকারী অবসায়ক নিযুক্তির তারিখ হইতে শূন্য হইবে৷
  
  
 
অবসায়কের উপর কোম্পানী আইন প্রয়োগ 
৬৮৷ (১) কোম্পানী আইনের অবসায়ক সম্পর্কিত বিধানাবলী, এই ২৪৪[ আইনের] বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, ধারা ২৪৫[ ৬৬ বা ৬৭] এর অধীন নিযুক্ত অবসায়কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷

(২) এই খণ্ডে এবং সপ্তম খণ্ডে “সরকারী অবসায়ক” এর উল্লেখ থাকিলে, উহাতে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ক অন্তর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবে৷
  
  
 
কার্যধারা স্থগিত করা সম্পর্কে বাধা-নিষেধ 
৬৯৷ কোম্পানী আইনের ২৪৬[ ধারা ২৫৩] তে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ন কার্যধারা উক্ত কোম্পানীর আমানতকারীদের দাবী সম্পূর্ণ পরিশোধ করার জন্য গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত্ম স্থগিত রাখার আদেশ দান করিবে না৷
  
  
 
সরকারী অবসায়ক কর্তৃক প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল 
৭০৷ কোম্পানী আইনের ২৪৭[ ধারা ২৫৯] তে ভিন্নতর কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, যে ক্ষেত্রে এই ২৪৮[ আইন] প্রবর্তনের পূর্বে বা পরে কোন ব্যাংক-কোম্পানী অবসায়নের জন্য আদেশ দেওয়া হইয়াছে, সেক্ষেত্র সরকারী অবসায়ক উক্ত আদেশ প্রদানের দুই মাসের মধ্যে বা আদেশটি উক্তরূপ প্রবর্তনের পূর্বে প্রদান করা হইয়া থাকিলে উক্ত প্রবর্তনের দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্ট প্রদান করিবে, যাহাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :-

২৪৯[ (ক) কোম্পানী আইনের উল্লিখিত ধারার প্রয়োজন মোতাবেক সেই সকল তথ্য যাহা তাহার নিকট রহিয়াছে;]

(খ) রিপোর্ট প্রদানের তারিখে তাহার হেফাজত বা নিয়ন্ত্রণে রত্মিগত উক্ত কোম্পানীর নগদ সম্পদের পরিমাণ;

(গ) উক্ত দুই মাস অতিক্রান্ত্ম হইবার পূর্বে সম্ভাব্য নগদ সম্পদ সংগ্রহের পরিমাণ :

তবে শর্ত থাকে যে, হাইকোর্ট বিভাগ, প্রয়োজনবোধে, কোন বিশেষ ত্মেগত্রে উক্ত দুই মাস সময়সীমা আরও এক মাস বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷
  
  
 
অগ্রাধিকারসম্পন্ন দাবীদার ইত্যাদির প্রতি নোটিশ 
৭১৷ (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ প্রদানের ১৫ দিনের মধ্যে বা উক্ত আদেশ, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, উক্ত প্রবর্তনের তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে সরকারী অবসায়ক, আমানতকারীর প্রতি দায়-দায়িত্ব ব্যতীত, উক্ত কোম্পানীর কর্জ বা অন্যান্য দায়ের একটি হিসাব প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি নোটিশ জারী করিয়া কোম্পানী আইনের ২৫০[ ধারা ৩২৫] এর অধীন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাওনার দাবীদারদের এবং কোম্পানীর নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত বা নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত নয় এমন পাওনাদারদিগকে, নোটিশ প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে তাঁহাদের দাবীর পরিমাণের একটি হিসাব তাঁহার নিকট প্রেরণের জন্য আহ্বান করিবেন৷

(২) কোম্পানী আইনের ২৫১[ ধারা ৩২৫] এর অধীন প্রাপ্যের কোন দাবীদারের নিকট উপ-ধারা (১) মোতাবেক প্রেরিত নোটিশে এই মর্মে উলেস্্নখ করিতে হইবে যে, যদি উহা জারীর এক মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে সরকারী অবসায়কের নিকট দাবীর বিবরণ প্রেরণ করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত দাবী অন্যান্য ঋণের দাবীর তুলনায় অগ্রাধিকার সম্পন্ন দাবী হিসাবে উক্ত ২৫২[ ধারার] আওতায় পরিশোধযোগ্য দাবী বলিয়া গণ্য হইবে না, এবং উহা ব্যাংক-কোম্পানীর সাধারণ ঋণ হিসাবে গণ্য হইবে৷

(৩) নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত পাওনাদারের নিকট উপ-ধারা (১) মোতাবেক প্রেরিত নোটিশে, উহা জারীর তারিখ হইতে এক মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে, তাঁহাকে তাঁহার জামানতের মূল্যায়ন করার জন্য বলা হইবে এবং উহাতে এই মর্মেও উলেস্্নখ করা হইবে যে, উক্ত সময়সীমা অতিবাহিত হইবার পূর্বে জামানতের মূল্যায়নসহ তাঁহার দাবীর একটি বিবরণ প্রেরণ করা না হইলে সরকারী অবসায়ক নিজেই উক্ত জামানতের মূল্যায়ন করিবেন এবং উক্তরূপ মূল্যায়ন পাওনাদার মানিতে বাধ্য থাকিবেন৷

(৪) যদি কোন দাবীদার বা পাওনাদার উপ-ধারা (১) মোতাবেক প্রেরিত নোটিশে প্রদত্ত নির্দেশ পালন করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে,-

(ক) দাবীদারের ত্মেগত্রে, তাঁহার দাবী অন্যান্য দাবীর তুলনায় অগ্রাধিকারসম্পন্ন দাবী হিসাবে পরিশোধযোগ্য হইবে না, বরং ব্যাংক-কোম্পানীর সাধারণ ঋণ হিসাবে গণ্য হইবে;

(খ) পাওনাদারের ত্মেগত্রে, তাঁহার জামানতের মূল্যায়ন সরকারী অবসায়ক নিজেই করিবেন এবং অনুরূপ মূল্যায়ন পাওনাদার মানিতে বাধ্য থাকিবেন৷
  
  
 
পাওনাদারদের সভা আহ্বান ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা রহিত করার ক্ষমতা 
৭২৷ কোম্পানী আইনের ২৫৩[ ধারা ২৬১ এবং ২৬৬] তে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, যদি হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক কোম্পানীর অবসায়ন কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকাকালে, অযথা বিলম্ব ও খরচ পরিহার করার প্রয়োজনে যথাযথ বিবেচনা করিলে, উক্ত কোম্পানীর দাবীদার বা অন্যান্য পাওনাদারদের সভা আহ্বান বা কমিটি নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা রহিত করিতে পারিবে৷
  
  
 
হিসাবের খাতাদৃষ্টে আমানতকারীদের জমা প্রমাণিত গণ্য 
৭৩৷ ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাবের খাতায় কোন আমানতকারীর নামে যে টাকা জমাকৃত রহিয়াছ বলিয়া উলেস্্নখ থাকে, সেই টাকার জন্য আমানতকারী তাঁহার দাবী উক্ত কোম্পানীর অবসায়ন কার্যধারায় উত্থাপন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করা হইবে; এবং কোম্পানী আইনের ২৫৪[ ধারা ২৭৪] এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি সরকারী অবসায়ক উক্তরূপ জমার সঠিকতা সম্পর্কে সন্দেহ করিবার কারণ আছে ইহা না দেখান, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ উক্তরূপ দাবী প্রমাণিত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লইবেন৷
  
  
 
আমানতকারীগণের অগ্রাধিকারভিত্তিক পাওনা প্রদান 
৭৪৷ ২৫৫[ (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের কার্যধারায় অবসায়নের আদেশ এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, অনুরূপ প্রবর্তনের ৩ (তিন) মাসের মধ্যে বা, উক্ত আদেশ অনুরূপ প্রবর্তনের পর প্রদত্ত হইলে, আদেশ প্রদানের ৩ (তিন) মাসের মধ্যে, সরকারী অবসায়ক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত ছকে ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন বীমাকৃত অবসায়িত ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীগণের আমানতের তালিকা আমানত বীমা ট্রাষ্টি বোর্ডের নিকট দাখিল করিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, অবসায়ক উক্তরূপ আমানতের পরিমাণ নির্ধারণকালে আইনগতভাবে আমানতকারীর নিকট বীমাকৃত ব্যাংকের কোন পাওনা থাকিলে উহা বাদ দিয়া আমানতকারীর পাওনা নির্ধারণ করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান মোতাবেক অগ্রাধিকারভিত্তিক পাওনা সময়ে সময়ে ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০ এর আওতায় অথবা উক্ত আইনের আওতায় জারীকৃত বিধান বা নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত অঙ্ক এবং শর্তে পরিশোধ করা হইবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান মোতাবেক আমানতকারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিক পাওনা পরিশোধের পর সরকারি অবসায়ক কোম্পানী আইনের ধারা ৩২৫ তে উল্লিখিত সেই সকল অগ্রাধিকারভিত্তিক পাওনা প্রদান করিবেন বা প্রদানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন যে সকল পাওনা সম্পর্কে, ধারা ৭১ এর অধীন প্রদত্ত নোটিসের প্রেক্ষিতে, উহা জারীর তারিখ হইতে ১ (এক) মাসের মধ্যে, দাবী উত্থাপন করা হইয়াছে।

(৪) উপ-ধারা (২) ও (৩) অনুসারে আমানতকারীগণের এবং অগ্রাধিকারসম্পন্ন দাবীদারগণের পাওনা পরিশোধ করার পর, সরকারী অবসায়ক-

(ক) ধারা ৭১ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত পাওনাদারগণের পাওনা পরিশোধ করিবেন বা প্রদানের পর্যাপ্ত সংস্থান রাখিবেন;

(খ) অন্যান্য সকল সাধারণ পাওনাদারদের পাওনা সম্পদের সহিত অনুপাত বজায় রাখিয়া উপ-ধারা (৭) এ বর্ণিত ক্রমানুযায়ী পরিশোধ করিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, সরকারি অবসায়ক যখনই নগদ টাকার আকারে ব্যাংক-কোম্পানীর সম্পদ সংগ্রহ করিতে পারিবেন তখনই উপ-ধারা (৪) এর দফা (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত পাওনাদারগনের পাওনা সংগৃহীত সম্পদের সহিত অনুপাত বজায় রাখিয়া প্রদান করিবেন।

(৫) সরকারী অবসায়ক যাহাতে কোম্পানীর সর্বাধিক সম্পদ নগদ টাকার আকারে নিজের রক্ষণাবেক্ষণে আনিতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে তিনি নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত পাওনাদারদিগকে প্রদত্ত অনুমোদিত জামানত নিম্নলিখিত ভাবে দায়মুক্ত করিতে পারিবেন, যথাঃ—

(ক) উক্ত পাওনাদারের পাওনার পরিমাণ, পাওনাদারের নিজের মূল্যায়ন, বা ক্ষেত্রমত, সরকারি অবসায়কের মূল্যায়ন অনুযায়ী উক্ত জামানতের মূল্য অপেক্ষা বেশী হইলে, সেই মূল্য পরিশোধ করিয়া; এবং

(খ) অনুরূপ মূল্যায়নে পাওনাদারের পাওনা উক্ত জামানতের মূল্যের সমান বা কম হইলে, পাওনা টাকা পরিশোধ করিয়া:

তবে শর্ত থাকে যে, সরকারী অবসায়ক যদি পাওনাদার কর্তৃক মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হন, তাহা হইলে তিনি মূল্যায়ন করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।

(৬) উপ-ধারা (২), (৩), (৪) ও (৫) এর বিধান মোতাবেক পাওনা পরিশোধের জন্য কোন দাবীদার, পাওনাদার বা আমানতকারীকে যদি পাওয়া না যায় বা তাহাকে যদি তৎক্ষণাৎ খুঁজিয়া পাওয়া না যায়, তাহা হইলে সরকারী অবসায়ক, উক্ত পাওনা পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

(৭) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত পাওনাসমূহকে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর পাওনা হিসাবে গণ্য করা হইবে, এবং বর্ণিত ক্রমানুযায়ী পাওনাসমূহ পরিশোধিত হইবে, যথাঃ-

(ক) উপ-ধারা (২) এর অধীন পরিশোধিতব্য বীমাকৃত আমানতের পাওনা;

(খ) উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত কোম্পানী আইনের ধারা ৩২৫ এর অধীন অগ্রাধিকার ভিত্তিক দাবীদারদের পাওনা;

(গ) উপ-ধারা (৪) এর দফা (ক) ও উপ-ধারা (৫) এর বর্ণনা অনুযায়ী নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত পাওনাদারগণের পাওনা;

(ঘ) আমানতকারীগণের হিসাবে উপ-ধারা (২) এর অধীন পরিশোধিত অর্থের অতিরিক্ত স্থিতির বিপরীতে প্রদেয় পাওনা;

(ঙ) অন্যান্য সকল সাধারণ পাওনাদারদের পাওনা;

(চ) আমানত বীমা তহবিল হইতে বীমাকৃত আমানতকারীগণের অনুমোদিত পাওনা পরিশোধ বাবদ প্রদত্ত অর্থ সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রদেয় অর্থ।’’;

(৮) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে বা কোন চুক্তি বা অন্য কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৭) এর দফা (খ), (গ), (ঘ), (ঙ) ও (চ) এ উল্লিখিত প্রত্যেক শ্রেণীর পাওনাদারগণকে তাহাদের নিজেদের মধ্যে সমতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হইবে এবং যদি পাওনা পরিশোধের জন্য প্রাপ্ত সম্পদ পর্যাপ্ত হয়, তাহা হইলে তাহাদের পূর্ণ পাওনা প্রদান করা হইবে, এবং উক্ত সম্পদ অপর্যাপ্ত হইলে সমান অনুপাতে তাহাদের পাওনা হ্রাস করা হইবে।]
  
  
 
স্বেচ্ছায় অবসায়নে বাধা-নিষেধ 
৭৫৷ কোম্পানী আইনের ২৫৬[ ধারা ২৮৬] তে ভিন্নতর কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার পাওনাদারদের ঋণ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করিতে সমর্থ, এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিতভাবে প্রত্যয়ন না করিলে ধারা ৩১ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর স্বেচ্ছা অবসায়ন করা যাইবে না; এবং স্বেচ্ছা অবসায়নের কার্যধারার কোন পর্যায়ে যদি ব্যাংক-কোম্পানী উহার কোন দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ কোম্পানী আইনের ২৫৭[ ধারা ৩১৪ এবং ৩১৫] এর বিধান ত্মগুণ্ন না করিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে উক্ত কোম্পানীর অবসায়নের জন্য আদেশ দিবে৷
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানী এবং পাওনাদারদের মধ্যে আপোষ-মীমাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থার উপর বাধা-নিষেধ 
৭৬৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক-কোম্পানী এবং উহার পাওনাদার বা তাঁহাদের কোন শ্রেণীর মধ্যে, বা উক্ত কোম্পানী এবং উহার সদস্য বা সদস্য-শ্রেণীর মধ্যে, কোন আপোষ মীসাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থা অনুমোদন করিবে না, বা অনুরূপ কোন মীমাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থায় কোন সংশোধন অনুমোদন করিবে না, যদি না বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে, উক্ত মীমাংসা, বিশেষ ব্যবস্থা বা উহাদের সংশোধন কার্যকর করার অযোগ্য নহে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর পাওনাদারদের স্বার্থেও পরিপন্থী নহে৷

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে বা উহার কোন পরিচালকের আচরণ সম্পর্কে কোম্পানী আইনের ২৫৮[ ধারা ৩২৫] এর অধীন কোন আবেদন দাখিল করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংক-কে উক্ত ব্যাংকের অবস্থা এবং পরিচালকদের আচরণ সম্পর্কে তদন্ত্ম করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং যদি অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া হইয়া থাকে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুরূপ তদন্ত্ম করিয়া হাইকোর্ট বিভাগে একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবে৷
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ এবং ব্যাংক-কোম্পানীর পূনর্গঠন বা একত্রীকরণ 
৭৭৷ (১) এই খণ্ডের পূর্ববর্তী বিধান অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন বা কোন চুক্তি বা অন্য কোন দলিলে যাহাই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার (moratorium) আদেশ প্রদান করার কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে সেইরূপ আদেশ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন বিবেচনা করিয়া উহা মঞ্জুর করিলে সরকার আদেশ দ্বারা, কোন নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য এবং শর্তাধীনে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা ২৫৯[ স্থগিতকরণসহ] উহার বিরম্্নদ্ধে কোন পদত্মেগপ গ্রহণ বা আইনগত কার্যধারার প্রবর্তন নিষিদ্ধ করিতে বা এইরূপ পদত্মেগপ বা কার্যধারা স্থগিত করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত সময় অনধিক ছয় মাস পর্যন্ত্ম বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ বিধান অনুযায়ী ব্যতীত বা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ ব্যতীত, উক্ত আদেশ বলবত্ থাকার কারণে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন আমানতকারীর পাওনা পরিশোধ করিবে না বা কোন পাওনাদারদের প্রতি উহার কোন দায় পরিশোধ বা দায়িত্ব পালন করিবে না৷

(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ বলবত্ থাকাকালে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, জনস্বার্থে বা আমানতকারীগণের স্বার্থে বা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার স্বার্থে বা দেশের সামগ্রিক ব্যাংক-ব্যবস্থার স্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পূনর্গঠনের বা অন্য কোন ব্যাংক প্রতিষ্ঠান, অতঃপর এই ধারার হস্ত্মান্ত্মর গ্রহীতা ব্যাংক বলিয়া উলেস্্নখিত, এর সহিত উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণের জন্য স্কীম প্রণয়ন করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুরূপ স্কীম প্রণয়ন করিতে পারিবে৷

(৫) উপরোল্লিখিত স্কীমে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয় থাকিতে পারে, যথা :-

(ক) পূনর্গঠিত, ব্যাংক-কোম্পানী বা, ত্মেগত্রমত, হস্ত্মান্ত্মর গ্রহীতা ব্যাংকের গঠন, নাম, নিবন্ধনকরণ, কার্যধারা, মূলধন, সম্পদ, ত্মগমতা, অধিকার, স্বার্থ, কর্তৃত্ব, দায়, কর্তব্য এবং দায়িত্ব;

(খ) ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণের ত্মেগত্রে, স্কীমে নির্ধারিত শর্ত মোতাবেক হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা-ব্যাংকের নিকট উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা, সম্পত্তি, সম্পদ এবং দায় এর হস্ত্মান্ত্মর;

(গ) পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানীর বা, ত্মেগত্রমত, হস্ত্মান্ত্মরগ্রহীতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তন বা নূতন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ, এবং কোন কর্তৃপত্মগ কর্তৃক কিভাবে এবং কি শর্তে উক্ত পরিবর্তন করা হইবে সেই বিষয়, এবং নূতন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগের ত্মেগত্রে, কোন মেয়াদের জন্য নিয়োগ করা হইবে সেই বিষয়;

(ঘ) মূলধন পরিবর্তনের জন্য এবং পূনর্গঠন বা একত্রীকরণ কার্যকর করার উদ্দেশ্যে পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানী বা, ত্মেগত্রমত, হস্ত্মান্ত্মরগ্রহীতা ব্যাংকের সংঘ-স্মারক সংশোধন;

(ঙ) ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে গৃহীত যে সকল পদত্মেগপ বা কার্যধারা অনিস্পত্তিকৃত ছিল তাহা পূনর্গঠিত, ব্যাংক-কোম্পানীর বা, ক্ষেত্রমত, হস্ত্মান্ত্মরগ্রহীতা ব্যাংক, কর্তৃক অব্যাহত থাকার বিষয়;

(চ) জনস্বার্থে, অথবা ব্যাংক-কোম্পানীর সদস্য, আমানতকারী বা অন্যান্য পাওনাদারগণের স্বার্থে, অথবা, ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা চালু রাখার স্বার্থে, বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে প্রয়োজন মনে করে সেইভাবে উক্ত সদস্য, আমানতকারী বা পাওনাদারগণের প্রাক-পূনর্গঠন বা প্রাক-একত্রীকরণ স্বার্থ বা দাবী হ্রাসকরণ;

(ছ) আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদারগণের দাবী পূরণকল্পে,-

(১) ব্যাংক-কোম্পানী পূনর্গঠিত করা বা একত্রীকরণের পূর্বে উহাতে বা উহার বিরম্্নদ্ধে তাঁহাদের স্বার্থ বা অধিকার এর ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ; বা

(২) ব্যাংক-কোম্পানীতে বা উহার বিরম্্নদ্ধে তাঁহাদের স্বার্থ বা দাবী দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে, হ্রাসকৃত স্বার্থ বা দাবীর ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ;

(জ) পূনর্গঠন বা একত্রীকরণের পূর্বে ব্যাংক-কোম্পানীতে সদস্যদের যে পরিমাণ শেয়ার ছিল সেই পরিমাণ শেয়ার, বা দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে হ্রাসকৃত শেয়ারের ভিত্তিতে প্রদেয় শেয়ার পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানীতে বা, ত্মেগত্রমত, হস্ত্মান্ত্মরগ্রহীতা-ব্যাংকে উক্ত সদস্যগণকে বরাদ্দকরণ, এবং কোন সদস্যকে শেয়ার বরাদ্দ করা সম্ভব না হওয়ার ত্মেগত্রে, তাঁহাদের পূর্ণ দাবী পূরণকল্পে-

(১) পূনর্গঠন বা একত্রীকরণের পূর্বে ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ারে তাঁহাদের বিদ্যমান স্বার্থের ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ; বা

(২) উক্ত স্বার্থ দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে হ্রাসকৃত স্বার্থের ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ; (ঝ) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের অব্যবহিত পূর্বে সংশিস্্নষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর সকল কর্মচারী যে বেতনে ও শর্তাধীনে কর্মরত ছিলেন সেই একই বেতনে ও শর্তাধীনে পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানীতে বা ত্মেগত্রমত, হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা ব্যাংকে কর্মরত থাকার বিষয় :

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক এই ধারার অধীন স্কীম অনুমোদনের তিন বত্সর অতিক্রান্ত্ম হইবার পূর্বেই-

(অ) পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানী উহার কর্মচারীগণের জন্য এইরূপ বেতন ও সুবিধাদি নির্ধারণ করিবে যাহা এইরূপ নির্ধারণের সময় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সমতুল্য ব্যাংক-কোম্পানীতে কর্মরত সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মচারীগণ ভোগ করেন, এবং এইরূপ ব্যাংক-কোম্পানীর সমতুল্যতা ও কর্মচারীগণের পারস্পরিক সমমর্যাদা নির্ধারণের ত্মেগত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত্মই চূড়ান্ত্ম হইবে;

(আ) হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা ব্যাংক উহার নিজস্ব কর্মচারীগণের শিত্মগাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সহিত তুলনীয় হইলে পূর্বতন ব্যাংক-কোম্পানীর কর্মচারীগণের জন্য উহার নিজস্ব সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মচারীদের সমান বেতন ও সুবিধাদি নির্ধারণ করিবে এবং যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও সমমর্যাদা সম্পর্কে কোন সন্দেহ বা দ্বিমত দেখা দিলে বিষয়টি, বেতন এবং অন্যান্য সুবিধাদি নির্ধারণের তারিখ হইতে তিন মাস সময় অতিক্রান্ত্ম হইবার পূর্বে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পাঠাইতে হইবে এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত্ম চূড়ান্ত্ম হইবে;

(ঞ) দফা (জ) তে যাহাই থাকুক না কেন, স্কীমে যে সকল কর্মচারীর ব্যাপারে বিশেষভাবে উলেস্্নখ থাকিবে, বা যে সকল কর্মচারী, সরকার কর্তৃক স্কীম মঞ্জুর হওয়ার এক মাস সময় অতিক্রান্ত্ম হওয়ার পূর্বে যে কোন সময়ে পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানী বা হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা ব্যাংকের কর্মচারী হিসাবে বহাল না হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া নোটিশ প্রদান করিবে, সেই সকল কর্মচারীকে উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের অব্যবহিত পূর্বে বিদ্যমান এতদসংক্রান্ত্ম বিধি বা ব্যাংক-কোম্পানীর সিদ্ধান্ত্ম অনুসারে প্রদেয় কোন ত্মগতিপূরণ, পেনশন, গ্র্যাচুইটি, ভবিষ্যত্ তহবিল এবং অন্যান্য অবসরজনিত সুবিধা প্রদানের বিষয়;

(ট) ব্যাংক-কোম্পানীর পূনর্গঠনের বা একত্রীকরণের ব্যাপারে অন্য কোন শর্ত;

(ঠ) পূনর্গঠন বা একত্রীকরণ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাসংগিক, আনুষংগিক বা পরিপূরক অন্য কোন বিষয়৷

(৬) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীন প্রস্ত্মাবিত একত্রীকরণের ব্যাপারে, তত্কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, আপত্তি বা পরামর্শ প্রদানের আহ্বান জানাইয়া, খসড়া স্কীমের একটি অনুলিপি ব্যাংক-কোম্পানী, হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা ব্যাংক এবং সংশিস্্নষ্ট অন্যান্য ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট প্রেরণ করিবে৷

(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন আহ্বানের পরিপ্রেত্মিগতে প্রাপ্ত পরামর্শ ও আপত্তি বিবেচনা করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক খসড়া স্কীমে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিতে পারিবে৷

(৮) উপ-ধারা (৬) ও (৭) মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংক স্কীমটি অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে, এবং সরকার, তত্কর্তৃক প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকেই, উক্ত স্কীম অনুমোদন করিবে; এবং অনুরূপভাবে অনুমোদিত স্কীমটি, সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত তারিখ হইতে, কার্যকর হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, স্কীমের বিভিন্ন বিধানের প্রবর্তনের জন্য বিভিন্ন তারিখ নির্ধারিত হইতে পারিবে৷ (৯) স্কীম বা উহার কোন বিধান কার্যকর হওয়ার তারিখ হইতে নিম্নবর্ণিত সকলেই উহা মানিতে বাধ্য থাকিবে, যথা :-

(ক) ব্যাংক-কোম্পানী, হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা ব্যাংক এবং একত্রীকরণের সহিত সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যাংক-কোম্পানী;

(খ) কোম্পানী বা ব্যাংকের সদস্য, আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদার;

(গ) উক্ত কোম্পানী ও ব্যাংকের কর্মচারী;

(ঘ) উক্ত কোম্পানী বা ব্যাংক কর্তৃক রত্মিগত কোন ভবিষ্য তহবিল বা অন্য কোন তহবিলের ব্যবস্থাপনার সহিত জড়িত কোন ট্রাষ্টি বা উক্ত কোম্পানী বা ব্যাংকে অধিকার বা দায় রহিয়াছে এমন সকল ব্যক্তি৷

(১০) স্কীম কার্যকর হইবার তারিখ হইতে ব্যাংক-কোম্পানীর সকল সম্পত্তি, সম্পদ ও দায় স্কীমে বিধৃত পরিমাণে হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা-ব্যাংকে হস্ত্মান্ত্মরিত ও ন্যস্ত্ম হইবে এবং উক্ত সকল সম্পত্তি, সম্পদ ও দায় হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা-ব্যাংকের সম্পত্তি, সম্পদ ও দায় হইবে৷

(১১) স্কীমের বিধান কার্যকর করিতে কোন অসুবিধা দেখা দিলে উক্ত অসুবিধা দূরীকরণের জন্য সরকার, আদেশ দ্বারা, উহার নিকট প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত, কিন্তু উক্ত বিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এমন সব কিছু করিতে পারিবে৷

(১২) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন স্কীম বা উপ-ধারা (১১) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের অনুলিপি, অনুমোদিত বা প্রদত্ত হইবার পর, সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সংসদে উপস্থাপন করা হইবে৷

(১৩) এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণ-স্কীম অনুমোদিত হইলে, উক্ত স্কীম বা উহার কোন বিধানের অধীনে হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা-ব্যাংক যে ব্যবসা অর্জন করে উহা, স্কীমটি বা উহার বিধান কার্যকর হইবার তারিখ হইতে, হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা-ব্যাংকের কার্যকলাপ যে আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেই আইন দ্বারা পরিচালিত হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত স্কীমকে পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে, সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অনধিক সাত বত্সরের জন্য উক্ত আইনের কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে উক্ত ব্যবসাকে অব্যাহতি দিতে পারিবে৷

(১৪) ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা-স্থগিতকরণ (moratorium) আদেশ থাকা সত্বেও, একটি মাত্র স্কীমের দ্বারা উক্ত সকল ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণের ত্মেগত্রে এই ধারার কোন কিছুই বাধা হইবে না৷

(১৫) এই আইনের অন্য কোন বিধানে বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বা কোন চুক্তিতে বা অন্য কোন প্রকার দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার বিধান এবং উহার প্রস্তুতকৃত যে কোন স্কীম কার্যকর হইবে৷

২৬০[ (১৬) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত, কোন ব্যাংক-কোম্পানী স্বতঃপ্রণোদিত হইয়া অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহিত একত্রীভূত হইতে চাহিলে অথবা কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিজের ব্যবসার কিয়দংশ অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তরের মাধ্যমে পুনর্গঠিত হইতে চাহিলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদনক্রমে, এতদ্বিষয়ে তৎকর্তৃক জারীকৃত নীতিমালা অনুসরণ করিয়া কাংখিত একত্রীকরণ বা পুনর্গঠন করিতে পারিবে।]
  
  
সপ্তম খন্ড
অবসায়ন কার্যধারার দ্রুত নিঃস্পত্তি
 
অন্যান্য আইনের উপর সপ্তম খণ্ডের প্রাধান্য 
৭৮৷ কোম্পানী আইন বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন, বা অন্য কোন আইনে প্রদত্ত ত্মগমতাবলে প্রণীত বা তদধীনে বলবত্ কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই খণ্ডের বিধানাবলী এবং উহার অধীন প্রণীত বিধি কার্যকর থাকিবে৷ তবে উক্ত আইন বা অন্য কোন আইন বা দলিলের বিধান যদি এই খণ্ড বা উহার অধীনে প্রণীত বিধির দ্বারা পরিবর্তিত না হয়, বা উহার সহিত অসামঞ্জস্য না হয়, তাহা হইলে উহা এই খণ্ড বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীনে গৃহীত কার্যধারার ত্মেগত্রেও প্রযোজ্য হইবে৷
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানীর সকল দাবীর ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগের সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষমতা 
৭৯৷ কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ন আদেশ প্রদত্ত হইবার বা এই আইন প্রবর্তিত হইবার পূর্বে বা পরে নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলী যখনই উত্থাপিত হউক, হাইকোর্ট বিভাগ, ধারা ৮০ তে ভিন্নতর কোন সুস্পষ্ট বিধান না থাকিলে, উহা বিবেচনা ও উহাদের উপর সিদ্ধান্ত্ম প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-

(ক) অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী এবং বাংলাদেশে অবস্থিত উহার শাখাসমূহ কর্তৃক বা উহাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দাবী;

(খ) অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক বা উহার বিরম্্নদ্ধে কোম্পানী আইনের ২৬১[ ধারা ২২৮] এর অধীন দাখিলকৃত কোন আবেদন; বা

(গ) অবসায়ন কার্যধারার যে কোন পর্যায়ে উত্থাপিত অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কিত অগ্রাধিকার বিষয়ক বা অন্য যে কোন আইনগত বা ঘটনাগত প্রশ্ন৷
  
  
 
বিচারাধীন মামলা স্থানান্তর 
৮০৷ (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে অবসায়ন আদেশ প্রদত্ত হইলে, উহার দ্বারা বা উহার বিরুদ্ধে, এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বা উক্ত অবসায়ন আদেশ অনুরূপ প্রবর্তনের পরে প্রদত্ত হইলে, উহা প্রদানের তারিখের পূর্বে কোন আদালতে দায়েরকৃত কোন মামলা বা কার্যধারা যদি এই আইনের অধীনে শুধু মাত্র হাইকোর্ট বিভাগে বিচার্য হয় তাহা হইলে উহার কার্যধারা অতঃপর বিধৃত পদ্ধতি অনুসরণ ব্যতিরেকে অগ্রসর হইবে না৷

(২) অবসায়ন আদেশ প্রদানের বা এই আইন প্রবর্তনের তারিখের মধ্যে যে তারিখ পরবর্তী হয় সেই তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে, বা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বর্ধিত সময়ের মধ্যে, সরকারী অবসায়ক বিস্ত্মারিত বিবরণসহ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বিচারাধীন মামলা বা কার্যধারা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন হাইকোর্ট বিভাগের নিকট দাখিল করিবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর, হাইকোর্ট বিভাগ সংগত মনে করিলে, বিচারাধীন মামলা বা কার্যধারা কেন উহার নিকট স্থানান্ত্মর করা হইবে না তত্সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে কারণ দর্শাইবার সুযোগ প্রদান করিয়া ধারা ৯৭ এর অধীন প্রণীত বিধিতে বিধৃত পদ্ধতিতে বিষয়টি তদন্ত্ম করিবার পর উক্ত মামলা বা কার্যধারা উহার নিকট স্থানান্ত্মরের আদেশ দিতে পারিবে, এবং এইরূপ আদেশ প্রদত্ত হইলে স্থানান্ত্মরকৃত মামলা বা কার্যধারা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত হইবে৷

(৪) কোন বিচারাধীন মামলা বা কার্যধারা উপ-ধারা (৩) এর অধীনে স্থানান্ত্মর করা না হইলে উহা যে আদালতে বিচারাধীন ছিল সেই আদালতেই নিষ্পত্তি হইবে৷
  
  
 
দেনাদারগণের তালিকা 
৮১৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, অতঃপর বিধৃত পদ্ধতিতে হাইকোর্ট বিভাগ অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর দেনাদারগণের তালিকা চূড়ান্ত করিতে পারিবে৷

(২) ধারা ১২০ এর অধীন প্রণীত বিধি সাপেক্ষে, অবসায়ন আদেশ প্রদানের বা এই আইন প্রবর্তনের তারিখের মধ্যে যে তারিখ পরবর্তী হয় সেই তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে বা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বর্ধিত সময়ের মধ্যে সরকারী অবসায়ক, সময় সময়, দ্বিতীয় তফসিলে বিধৃত বিবরণসহ উক্ত দেনাদারগণের তালিকা হাইকোর্ট বিভাগে দাখিল করিবেন৷

(৩) উপ-ধারার (২) এর অধীন দাখিলকৃত তালিকা প্রাপ্তির পর হাইকোর্ট বিভাগ, প্রয়োজন মনে করিলে, উক্ত তালিকার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সকল ব্যক্তির উপর নোটিশ জারী করিবে, এবং ধারা ৯৭ এর অধীন প্রণীত বিধি মোতাবেক তদন্তের পর দেনাদারগণের তালিকা সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে চূড়ান্ত করিবে৷

(৪) উক্ত তালিকা চূড়ান্তকরণের সময় হাইকোর্ট বিভাগ প্রত্যেক দেনাদারের ২৬২[ নিকট] প্রাপ্য টাকা প্রদানের জন্য আদেশ দিবে এবং জামিনদারের বিরুদ্ধে প্রার্থিত প্রতিকারসহ অন্য কোন প্রতিকার এবং জামানত আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য আদেশও প্রদান করিবে৷

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ, ব্যাংক-কোম্পানী এবং যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদেশ প্রদত্ত হইয়াছে সে ব্যক্তি ২৬৩[ এবং] উক্ত ব্যক্তির মাধ্যমে বা অধীনে দাবীকারী সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের বিধান সাপেক্ষে, চূড়ান্ত হইবে; এবং এইরূপ আদেশ দেওয়ানী মোকদ্দমার ডিক্রী বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৬) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগ একটি সার্টিফিকেট প্রদান করিবে, যাহা ডিক্রী জারীসহ অন্য সকল ক্ষেত্রে ডিক্রির প্রত্যয়নকৃত অবিকল অনুলিপি বলিয়া গণ্য হইবে; এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত বিষয়ের উল্লেখ থাকিবে, যথা :-

(ক) মঞ্জুরীকৃত প্রতিকার;

(খ) যে পক্ষের বিরুদ্ধে উক্ত প্রতিকার মঞ্জুর করা হইয়াছে সেই পক্ষের নাম ও অন্যান্য বিবরণ;

(গ) মঞ্জুরীকৃত খরচের পরিমাণ;

(ঘ) কোন তহবিল হইতে এবং কাহার দ্বারা ও কি পরিমাণে উক্ত খরচ প্রদান করা হইবে তৎবিষয়;

(৭) দেনাদারদের তালিকা চূড়ান্ত করার সময় বা উহার পূর্বে বা পরে যে কোন সময় হাইকোর্ট বিভাগের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা :-

(ক) সরকারী অবসায়কের আবেদনক্রমে কোন দেনাদারের ব্যাপারে ব্যাংক-কোম্পানীকে জামানত হিসাবে প্রদত্ত কোন সম্পত্তির উদ্ধার, ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ এবং বিক্রির জন্য আদেশ প্রদান;

(খ) দফা (ক) তে উল্লিখিত আদেশ কার্যকর করার জন্য সরকারী অবসায়ককে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান৷

(৮) হাইকোর্ট বিভাগ কোন ঋণের ব্যাপারে কোন আপোষ মীমাংসা অনুমোদন করিতে এবং কোন ঋণ কিস্তিতে পরিশোধের আদেশ দিতে পারিবে৷

(৯) কোন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে একতরফাভাবে দেনাদারের তালিকা চূড়ান্ত করা হইলে, উক্ত ব্যক্তি, তালিকার চূড়ান্তকরণ আদেশ প্রদানের ত্রিশ দিনের মধ্যে, তালিকার যে অংশের সহিত তিনি সংশ্লিষ্ট সেই অংশ পরিবর্তন করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন; এবং হাইকোর্ট বিভাগ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তিনি যথাযথ কারণে তালিকা চূড়ান্তকরণের তারিখে অনুপস্থিত ছিলেন এবং ব্যাংক-কোম্পানীর দাবীর বিরুদ্ধে তাঁহার আত্মপক্ষ সমর্থনের মত পর্যাপ্ত যুক্তি রহিয়াছে, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত তালিকা পরিবর্তন করিতে পারিবে এবং ঐ বিষয়ে, যেরূপ সংগত বলিয়া বিবেচিত হয়, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, হাইকোর্ট বিভাগ, যথাযথ বিবেচনা করিলে, উক্ত ত্রিশ দিন অতিক্রান্ত হইবার পরেও কোন আবেদন বিবেচনা করিতে পারিবে৷

(১০) এই ধারার কোন কিছুই-

২৬৪[ (ক) এমন কোন ঋণের প্রতি প্রযোজ্য হইবে না যাহা কোন তৃতীয় পক্ষের স্বার্থযুক্ত স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখিয়া গৃহীত হইয়াছে; বা]

(খ) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন কোন আইনের অধীনে ব্যাংক-কোম্পানীর প্রাপ্য ঋণ আদায় করার ব্যাপারে সরকারী অবসায়কের অধিকার ক্ষুণ্ন করিবে না৷
  
  
 
প্রদায়ক কর্তৃক (Contributaries) টাকা প্রদানের বিশেষ বিধান 
৮২৷ কোম্পানী আইনের ২৬৫[ ধারা ২৬৭] এর অধীন প্রদায়কগণের তালিকা চূড়ান্ত্ম না হওয়া সত্বেও, অবসায়ন আদেশ প্রদানের পরে যে কোন সময় হাইকোর্ট বিভাগ, প্রয়োজনীয় বা সমীচীন মনে করিলে, এমন যে কোন প্রদায়ককে তলব করিতে, বা তত্কর্তৃক প্রদেয় টাকা পরিশোধ করিতে আদেশ দিতে পারিবে যিনি সরকারী অবসায়ক কর্তৃক প্রদায়কদের তালিকায় অন্ত্মর্ভুক্ত হইয়াছেন অথচ উক্ত অন্ত্মর্ভুক্তির বিরম্্নদ্ধে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য উপস্থিত হন নাই৷
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানীর দলিল সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ 
৮৩৷ (১) অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাব বই এবং অন্যান্য দলিলে লিপিবদ্ধ সকল বিষয় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পক্ষে বা বিপক্ষে সকল কার্যধারার স্বাক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হইবে৷

(২) ব্যাংক-কোম্পানী হিসাবের বই এবং অন্যান্য দলিল-পত্র বা উহাদের অনুলিপি উপস্থাপন করিয়া উহাতে লিপিবদ্ধ বিষয় প্রমাণ করা যাইতে পারে :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অনুলিপি প্রমাণের ক্ষেত্রে, উহা সরকারী অবসায়ক কর্তৃক এই মর্মে সত্যায়িত হইবে যে, উহা মূল লিপির অবিকল অনুলিপি এবং ব্যাংক-কোম্পানীর যে হিসাব বই বা অন্যান্য দলিলে উহা লিপিবদ্ধ আছে তাহা তাঁহার নিকট রত্মিগত আছে৷

(৩) Evidence Act, 1872 (Act I of 1872) তে ভিন্নরূপ কোন কিছু থাকা সত্বেও, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে যে ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে অবসায়ন আদেশ প্রদত্ত হইয়াছে উহার পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাব বইতে বা অন্যান্য দলিলে লিপিবদ্ধ সকল বিষয়ই তত্সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাপারে সত্যতার প্রাথমিক সাত্মগ্য হিসাবে গণ্য হইবে৷
  
  
 
পরিচালকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং হিসাব নিরীক্ষা 
৮৪৷ (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ প্রদান করা হইয়া থাকিলে, সরকারী অবসায়ক, তাঁহার মতে, ব্যাংক-কোম্পানী গঠনের তারিখ হইতে উহার গঠনের সংগে জড়িত কোন ব্যক্তির কোন কাজ করা বা না করার জন্য বা উহার কোন পরিচালক বা অডিটরের কোন কাজ করা বা না করার জন্য উহার কোন ক্ষতি হইয়াছে কি না তত্সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন হাইকোর্ট বিভাগে দাখিল করিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত প্রতিবেদন বিবেচনান্ত্মে যদি হাইকোর্ট বিভাগ এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, ব্যাংক-কোম্পানীর গঠন বা গঠনের উদ্যোগ গ্রহণের সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি, পরিচালক বা নিরীক্ষককে প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ এতদুদ্দেশ্যে তত্কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে একটি প্রকাশ্য অধিবেশন করিবে; এবং উক্ত ব্যক্তি, পরিচালক বা নিরীক্ষককে উক্ত অধিবেশনে উপস্থিত থাকিবার জন্য এবং ব্যাংক-কোম্পানীর গঠন, গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং পরিচালনার বিষয়ে এবং তত্সংশ্লিষ্ট তাঁহার কার্যকলাপ সম্পর্কে তাঁহাকে জেরা করার জন্য নির্দেশ দিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন জেরা কেন করা হইবে না তাহার বিরুদ্ধে কারণ দর্শাইবার সুযোগ না দিয়া কোন ব্যক্তিকে জেরা করা হইবে না৷

(৩) এইরূপ জেরায় সরকারী অবসায়ক অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন, এবং তিনি, এতদুদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে, উক্ত বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত কোন আইনজ্ঞকে নিয়োগ করিতে পারিবেন৷

(৪) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পাওনাদার বা প্রদায়ক উক্ত জেরায় ব্যক্তিগতভাবে বা হইকোর্ট বিভাগে আইন ব্যবসা করিতে পারে এইরূপ কোন ব্যক্তির মাধ্যমে জেরায় অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন৷

(৫) এই ধারার অধীন কোন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের পর জেরা করা হইবে এবং উক্ত জেরায় তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বা তত্কর্তৃক অনুমোদিত যে কোন প্রশ্নের জবাব দিবেন৷

(৬) এই ধারার অধীন জেরার সম্মুখীন হইবার জন্য আদেশপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি তাঁহার নিজ খরচে হাইকোর্ট বিভাগে আইন ব্যবসা করিতে পারেন এইরূপ কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিতে পারিবেন, এবং এইরূপ নিয়োজিত ব্যক্তি জেরার সম্মুখীন ব্যক্তিকে তত্প্রদত্ত কোন জবাবের ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে উক্ত বিভাগ কর্তৃক যথাযথ বলিয়া বিবেচিত, যে কোন প্রশ্ন করিতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, হাইকোর্ট বিভাগ যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, জেরার সম্মুখীন ব্যক্তি তাঁহার বিরুদ্ধে আনীত বা ইংগিতকৃত কোন অভিযোগ হইতে মুক্ত, তাহা হইলে উক্ত বিভাগ যেরূপ সংগত বলিয়া বিবেচনা করে সেইরূপ খরচ তাঁহাকে মঞ্জুর করিতে পারিবে৷

(৭) জেরার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিবৃতি লিপিবদ্ধ করা হইবে, এবং জেরাকৃত ব্যক্তি কর্তৃক উহা গঠিত হইবার বা তাঁহাকে পড়িয়া শোনানোর পর উহাতে তাঁহার স্বাক্ষর গ্রহণ করা হইবে, এবং এইরূপ বিবৃতি-

(ক) কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী কার্যধারায় তাঁহার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে,

(খ) পরিদর্শনের জন্য বা উহার অনুলিপি সংগ্রহের জন্য, যুক্তিসংগত সময়ে যে কোন পাওনাদার বা প্রদায়ককে সুযোগ দেওয়া হইবে৷

(৮) প্রতারণামূলক অপরাধ সংগঠিত হউক বা না হউক, অনুরূপ জেরার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিবৃতি পরীক্ষান্তে হাইকোর্ট বিভাগ যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে,-

(ক) যে ব্যক্তি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক ছিলেন তিনি কোন কোম্পানীর পরিচালক হওয়ার যোগ্য ২৬৬[ নহেন]; বা

(খ) যে ব্যক্তি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীত্মগক বা অনুরূপ নিরীত্মগকের কাজে নিয়োজিত ফার্মের কোন অংশীদার ছিলেন তিনি কোন কোম্পানীর নিরীত্মগক বা অনুরূপ নিরীত্মগকের কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হওয়ার যোগ্য নহেন;

তাহা হইলে উক্ত বিভাগ এই মর্মে আদেশ দিতে পারে যে, উক্ত ব্যক্তি উক্ত বিভাগের অনুমতি ব্যতিরেকে, আদেশে নির্ধারিত সময়ের জন্য যাহা পাঁচ বত্সরের বেশী হইবে না;

(অ) কোন কোম্পানীর পরিচালক হইবেন না; বা

(আ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন কোম্পানীর পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট থাকিবেন না বা অংশগ্রহণ করিবেন না; বা

(ই) কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক বা অনুরূপ নিরীত্মগকের কাজে নিয়োজিত কোন প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসাবে কাজ করিবেন না৷
  
  
 
দোষী পরিচালক, ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ বিধান 
৮৫৷ (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক উহার কোন উদ্যোক্তা, পরিচালক, ম্যানেজার, অবসায়ক বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন অর্থ বা সম্পদ ফেরত্ পাইবার দাবীতে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট কোম্পানী আইনের ২৬৭[ ধারা ৩৩১] এর অধীন আবেদন করা হইলে, আবেদনকারী যদি উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রথমলব্ধ ধারণার উপর তাঁহার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করিতে পারেন তাহা হইলে উক্ত বিভাগ উক্ত ব্যক্তিকে, দাবীকৃত অর্থ বা সম্পদ ফেরত্ দেওয়ার জন্য আদেশ দিবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে তিনি উহা ফেরত্ দেওয়ার জন্য বাধ্য নহেন :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আদেশ যদি যৌথভাবে উক্ত দুই বা ততোধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়া হয়, তাহা হইলে তাঁহারা সকলেই যৌথভাবে এবং এককভাবে উক্ত অর্থ বা সম্পত্তি ফেরত্ দিতে বাধ্য থাকিবেন৷

(২) যদি কোম্পানী আইনের ২৬৮[ ধারা ৩৩১] এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগের নিকট কোন আবেদন করা হয় এবং যদি উক্ত বিভাগের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, উক্ত ব্যাংক - কোম্পানীর কোন উদ্যোক্তা, পরিচালক, ম্যানেজার, অবসায়ক বা কর্মকর্তা, তাঁহার স্বনামে বা বাহ্যতঃ অন্য কোন ব্যক্তির নামে কোন সম্পত্তির মালিক, তাহা হইলে উক্ত বিভাগ উপ-ধারা (১) এর অধীন আদেশ প্রদানের পূর্বে বা পরে যে কোন সময় উক্ত সম্পত্তি বা উক্ত বিভাগ কর্তৃক সংগত বলিয়া বিবেচিত উহার কোন অংশ বিশেষ ক্রোকের নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং এইরূপ ক্রোককৃত সম্পত্তি যদি বাহ্যতঃ অন্য কোন ব্যক্তির নামে থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত বিভাগের সন্তুষ্টিমত তাঁহার প্রকৃত মালিকানা প্রমাণ না করা পর্যন্ত্ম উক্ত সম্পত্তি ক্রোককৃত থাকিবে এবং Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) এর ক্রোক সম্পর্কিত বিধানাবলীর যতটুকু প্রযোজ্য হয় ততটুকু উক্ত ক্রোকের ত্মেগত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
  
  
 
সম্পত্তি উদ্ধার, ইত্যাদিতে ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক ও কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সাহায্য প্রদানের দায়িত্ব 
৮৬৷ অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক ও কর্মকর্তা, সরকারী অবসায়ক কর্তৃক অনুরম্্নদ্ধ হইলে তাঁহাকে উহার সম্পত্তি উদ্ধার ও বিলিবণ্টনের ব্যাপারে সাহায্য করিবেন৷
  
  
 
অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কিত অপরাধের শাস্তির বিশেষ বিধান 
৮৭৷ (১) অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর উদ্যোক্তা বা উহা গঠনের সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি বা উহার কোন পরিচালক, ম্যানেজার বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোম্পানী আইন বা এই আইনের অধীন শাস্ত্মিযোগ্য কোন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ থাকিলে, হাইকোর্ট বিভাগ সংগত বিবেচনা করিলে, উক্ত অভিযোগ স্বয়ং বিচারার্থ গ্রহণ করিতে এবং সংত্মিগপ্ত পদ্ধতিতে উহার বিচার করিতে পারিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অপরাধের বিচারের সময় হাইকোর্ট বিভাগ একই সংগে এইরূপ অন্যান্য অপরাধেরও বিচার করিতে পারিবে যাহা উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত হয় নাই অথচ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে, উহা সংঘটনের দায়ে, Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর অধীন উক্ত একই মামলায় অভিযোগ আনয়ন করা যায়৷

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংত্মিগপ্ত পদ্ধতিতে বিচার্য মামলায়-

(ক) হাইকোর্ট বিভাগ-

(অ) কোন সাত্মগীকে সমন না দিতেও পারে যদি উহার বিবেচনায় তাঁহার সাত্মগ্য গুরুত্বপূর্ণ না হয়;

(আ) ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে না করিলে মামলার কার্যধারা মূলতবী করিতে বাধ্য থাকিবে না;

(ই) কোন শাস্ত্মি প্রদানের পূর্বে উহার রায়ে সাত্মেগ্যর সারাংশ এবং Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর Section 263 তে উল্লিখিত বিষয়সমূহের যতটুকু প্রযোজ্য হয় ততটুকু লিপিবদ্ধ করিবে৷

(খ) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর Section 262 (2) এর বিধান উক্তরূপ মামলায় প্রযোজ্য হইবে না৷

(৪) এই আইন বা কোম্পানী আইনের অধীন অবসায়ন সম্পর্কিত কোন অপরাধ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত হইয়া থাকিলে উহা যদি উক্ত উপ-ধারার অধীন সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত আইন বা Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, উহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ন কার্যধারার সহিত সংশ্লিষ্ট বিচারক ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের অন্য কোন বিচারক কর্তৃক বিচারার্থে গ্রহণ এবং বিচার করা হইবে৷

(৫) Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ, উহার নিকট অভিযুক্ত ব্যক্তি বিচারের জন্য প্রেরিত না হইলেও, এই আইনের অধীনে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিতে পারিবে৷
  
  
 
কতিপয় ক্ষেত্রে ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ইত্যাদিকে প্রকাশ্যে জেরা 
৮৮৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে আপোষ মীমাংসা বা অন্য কোন ব্যবস্থা অনুমোদনের জন্য কোম্পানী আইনের ২৬৯[ ধারা ২২৮] এর অধীন আবেদন করা হয়, বা যেত্মেগত্রে উক্তরূপ অনুমোদন ইতিপূর্বেই প্রদত্ত হইয়াছে, এবং হাইকোর্ট বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত প্রতিবেদন বা অন্য কিছুর ভিত্তিতে, এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী গঠনের উদ্যোগে বা উহার গঠনে অংশ গ্রহণ করিয়াছেন বা উহার পরিচালক বা নিরীত্মগক হিসাবে কার্যরত ছিলেন বা আছেন এইরূপ কোন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে জেরা করা প্রয়োজন, সেত্মেগত্রে উক্ত বিভাগ উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ জেরার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে, এবং ধারা ৮৪ এর বিধান অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ত্মেগত্রে যেরূপ প্রযোজ্য হয়, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ত্মেগত্রেও যতদূর সম্ভব সেইরূপ প্রযোজ্য হইবে৷ (২) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে কোম্পানী আইনের ২৭০[ ধারা ২২৮] এর অধীনে কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থা অনুমোদন করা হইলে, উক্ত আইনের ২৭১[ ধারা ১৯১] এবং এই আইনের ধারা ৮৫ এর বিধানাবলী কোন অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর ত্মেগত্রে যেরূপ প্রযোজ্য হয় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ত্মেগত্রে যতদূর সম্ভব সেরূপ প্রযোজ্য হইবে যেন উক্ত আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থা অনুমোদনের আদেশ ছিল উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ৷

(৩) যেক্ষেত্রে সরকার ধারা ৭৭ এর অধীনে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পুনর্গঠনের বা একত্রীকরণের স্কীম অনুমোদন করে এবং সরকার এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী গঠনের উদ্যোগে বা গঠনে অংশ গ্রহণ করিয়াছেন, অথবা উহার পরিচালক বা নিরীত্মগক হিসাবে কর্মরত ছিলেন বা আছেন এইরূপ কোন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে জেরা করা প্রয়োজন, সেত্মেগত্রে উক্ত ব্যক্তিকে জেরার জন্য সরকার হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারে; এবং উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রতারণামূলক কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়া থাকুক বা না থাকুক, অনুরূপ জেরার পর যদি হাইকোর্ট বিভাগ এইরূপ সিদ্ধান্ত্মে উপনীত হয় যে, তিনি কোন কোম্পানীর পরিচালক বা নিরীত্মগক হিসাবে কাজ করার বা নিরীত্মগকের কাজে নিযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হওয়ার অযোগ্য, তাহা হইলে সরকার এই মর্মে আদেশ দিতে পারে যে, উক্ত ব্যক্তি সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা পাঁচ বত্সরের বেশী হইবে না, কোন কোম্পানীর পরিচালক হইতে পারিবেন না, অথবা প্রত্যত্মগ বা পরোত্মগভাবে কোন কোম্পানীর সহিত সংশ্লিষ্ট হইতে বা উহার ব্যবস্থাপনায় অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন না, অথবা কোন কোম্পানীর নিরীত্মগক হিসাবে কাজ করিতে, বা নিরীত্মগকের কাজে নিযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হইতে পারিবেন না৷



(৪) ধারা ৭৭ এর অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানী পুনর্গঠন বা একত্রীকরণ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হইলে কোম্পানী আইনের ২৭২[ ধারা ৩৩১] এবং এই আইনের ধারা ৮৫ এর বিধানাবলী কোন অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর ত্মেগত্রে যেরূপ প্রযোজ্য হয় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রেও যতদূর সম্ভব সেরূপ প্রযোজ্য হইবে, যেন উক্ত পুনর্গঠন বা একত্রীকরণের অনুমোদন আদেশ ছিল উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ; এবং উক্ত ২৭৩[ ধারা ৩৩১] এ উল্লিখিত সরকারী অবসায়কের কোন আবেদন সরকারের আবেদন হিসাবে ব্যাখ্যাত হইবে৷
  
  
 
আইন প্রবর্তনের সময় কার্যকর স্কীম বা ব্যবস্থার অধীনে কার্যরত ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য বিশেষ বিধান 
৮৯৷ এই আইন প্রবর্তনের সময় কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে কোম্পানী আইনের ২৭৪[ ধারা ২২৮] এর অধীনে কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থা কার্যকর করা হইলে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আবেদনক্রমে হাইকোর্ট বিভাগ-

(ক) উক্ত আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থার কোন বিধান বাস্ত্মবায়নের বিলম্ব মার্জনা করিতে পারে; বা

(খ) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে উহার দেনাদারগণের তালিকা ধারা ৮১ অনুসারে চূড়ান্ত্ম করিবার অনুমতি দিতে পারে; এবং সেত্মেগত্রে উক্ত ধারার বিধান, অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ত্মেগত্রে যেরূপ প্রযোজ্য হয় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ত্মেগত্রেও যতদূর সম্ভব সেরূপ প্রযোজ্য হইবে, যেন উক্ত মীমাংসা বা ব্যবস্থার আদেশ ছিল উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ৷
  
  
 
আপীল 
৯০৷ (১) এই আইনের অধীন কোন দেওয়ানী কার্যধারায় বিরোধীয় বিষয়বস্তুর মূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকার উর্ধ্বে হইলে, হাইকোর্ট বিভাগের কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত্মের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে আপীল দায়ের করা যাইবে৷

(২) হাইকোর্ট বিভাগ বিধি প্রণয়ন করিয়া ধারা ৮৭ এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে এবং যে সকল শর্তাধীনে আপীল গ্রাহ্য হইবে সেই সম্পর্কে বিধান করিতে পারিবে৷

(৩) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত্ম, উপ-ধারা (১) এবং (২) এর বিধানাবলী সাপেত্মেগ, চূড়ান্ত্ম হইবে এবং উহা ব্যাংক-কোম্পানী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল পত্মগ এবং তাঁহাদের অধীনে বা তাঁহাদের মাধ্যমে দাবীদার সকল ব্যক্তির জন্য বাধ্যতামূলক হইবে৷
  
  
 
বিশেষ তামাদি মেয়াদ 
৯১৷ (১) Limitation Act, 1908 (IX of 1908) বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক মামলা দায়ের বা দরখাস্ত্ম দাখিলের ব্যাপারে তামাদির মেয়াদ গণনার ত্মেগত্রে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে পরবর্তী সময়কাল বাদ দিতে হইবে৷



(২) Limitation Act, 1908 (IX of 1908) বা কোম্পানী আইনে বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালকের শেয়ারের বকেয়া টাকা উসুলের ত্মেগত্রে অথবা কোন স্পষ্ট বা অনুমেয় চুক্তির ভিত্তিতে উহার কোন পরিচালকের বিরম্্নদ্ধে কোন দাবী থাকিলে, তাহা আদায় করার ত্মেগত্রে তামাদি মেয়াদের কোন নির্দিষ্ট সীমা থাকিবে না, এবং ব্যাংক-কোম্পানীর উহার পরিচালকদের বিরম্্নদ্ধে অন্যান্য দাবীর ত্মেগত্রে উক্ত দাবী উদ্ভূত হওয়ার তারিখ হইতে বার বত্সর, বা অবসায়কের প্রথম নিযুক্তির তারিখ হইতে পাঁচ বত্সর, যে মেয়াদ বেশী, তামাদির মেয়াদ হইবে৷



(৩) এই ধারার বিধানাবলীর যতটুকু অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ত্মেগত্রে প্রযোজ্য ততটুকু, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে যে ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য আবেদন পেশ করা হইয়াছে, সেই ব্যাংক-কোম্পানীর ত্মেগত্রেও প্রযোজ্য হইবে৷
  
  
 
অবসায়ন কার্যধারায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ 
৯২৷ কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ন কার্যধারায় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি সরকারী অবসায়ক নিযুক্ত হইলে, এবং হাইকোর্ট বিভাগ সরকারী অবসায়ককে উক্ত কার্যধারার যে কোন বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিলে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত কার্যধারার নথিপত্র পরীত্মগা করিতে এবং বিষয়টির উপর পরামর্শ দিতে পারিবে৷
  
  
 
তদন্তের ক্ষমতা 
৯৩৷ (১) সরকার বা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক নির্দেশিত হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উহার কর্মকর্তার দ্বারা অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সামগ্রিক ব্যাপারে বা উহার যে কোন বহি এবং হিসাব নিকাশের ব্যাপারে তদন্ত্ম করিতে পারিবে৷



(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্ত্মের পর বাংলাদেশ ব্যাংক সরকার বা, ত্মেগত্রমতে, হাইকোর্ট বিভাগের নিকট উক্ত তদন্ত্মের একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবে৷



(৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট বিবেচনাক্রমে সরকার যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, অবসায়ন কার্যধারায় কোন গুরম্্নত্বপূর্ণ অনিয়ম ঘটিয়াছে, তাহা হইলে সরকার উক্ত অনিয়ম হাইকোর্ট বিভাগের গোচরীভূত করিবে যাহাতে উক্ত বিভাগ ঐ বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারে৷



(৪) হাইকোর্ট বিভাগ, উপ-ধারা (২) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর, বা উপ-ধারা (৩) এর অধীন উহার গোচরীভূত কোন অনিয়মের ভিত্তিতে, সংগত মনে করিলে, সরকারকে উক্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে নোটিশ এবং শুনানীর সুযোগ প্রদানের পর, নির্দেশ দিতে পারিবে৷
  
  
 
প্রতিবেদন ও তথ্য আহ্বান করার ক্ষমতা 
৯৪৷ বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় লিখিত নোটিশের দ্বারা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়কের নিকট হইতে উক্ত কোম্পানীর অবসায়ন সম্পর্কিত যে কোন প্রতিবেদন বা তথ্য নোটিশে নির্ধারিত বা তত্কর্তৃক বর্ধিত সময়ের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ পালনে উক্ত অবসায়ক বাধ্য থাকিবেন৷



ব্যাখ্যা৷- যে ব্যাংক-কোম্পানী কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থার অধীন কার্যরত অথচ নূতন আমানত গ্রহণ উহার জন্য নিষিদ্ধ সেই ব্যাংক-কোম্পানী, এই ধারা এবং ধারা ৯৩ এর বিধানাবলীর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যতটুকু সম্ভব, একটি অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানী হিসাবে গণ্য হইবে৷
  
  
 
অবসায়ক কর্তৃক অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর সম্পত্তির দায়িত্ব গ্রহণে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের সাহায্য 
৯৫৷ (১) অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর দ্রম্্নত অবসায়নের স্বার্থে সরকারী অবসায়ক বা এই আইনের অধীন নিযুক্ত বিশেষ কর্মকর্তা যদি উক্ত কোম্পানীর অধিকারভুক্ত বা উহার অধিকারভুক্ত বলিয়া মনে হয় এমন কোন সম্পত্তি, সামগ্রী বা আদায়যোগ্য দাবী তাঁহার জিম্মায় বা নিয়ন্ত্রণে গ্রহণের প্রয়োজন মনে করেন, তাহা হইলে তিনি যে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের অধিত্মেগত্রে উক্ত সম্পত্তি, সামগ্রী, দাবী বা উক্ত কোম্পানীর হিসাবের বহি বা অন্যান্য দলিল থাকে বা পাওয়া যায় সেই জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে উহাদের দখল গ্রহণ করিবার জন্য লিখিত অনুরোধ করিতে পারিবেন; এবং অনুরূপ অনুরোধ পাওয়ার পর উক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত সম্পত্তি, সামগ্রী, দাবী, হিসাবের বহি বা অন্যান্য দলিলের দখল গ্রহণ করিবেন এবং উহাদিগকে অনুরোধকারীর নিকট প্রেরণ করিবেন৷



(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তাঁহার বিবেচনাক্রমে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং যতটুকু শক্তি প্রয়োগ করা প্রয়োজন মনে করেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বা ততটুকু শক্তি প্রয়োগ করিতে, অথবা অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ বা শক্তি প্রয়োগ করাইতে পারিবেন৷
  
  
 
হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ ও সিদ্ধান্ত কার্যকরকরণ 
৯৬৷ (১) কোন দেওয়ানী মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রী বা আদেশ যে পদ্ধতিতে কার্যকরী করা হয় সেই পদ্ধতিতে এই আইনের অধীন কোন দেওয়ানী কার্যধারায় উক্ত বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বা সিদ্ধান্ত্ম কার্যকর করা হইবে৷



(২) Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন অবসায়ক কোন ডিক্রী জারীর জন্য, ধারা ৮১(৬) এর অধীন প্রদত্ত একটি প্রত্যয়নপত্র এবং উক্ত ডিক্রি মোতাবেক পাওনা বকেয়া টাকা ও উহাতে মঞ্জুরীকৃত কিন্তু কার্যকর করা হয় নাই এইরূপ প্রতিকার সম্পর্কে তত্কর্তৃক লিখিত একটি প্রত্যয়নপত্র পেশ করিয়া, ২৭৫[ ডিক্রি] প্রদানকারী আদালত ছাড়াও অন্য কোন আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন৷



(৩) উপ-ধারা (১) বা (২) এর বিধানাবলীকে ত্মগুণ্ন না করিয়া, হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ বা সিদ্ধান্ত্ম অনুযায়ী প্রাপ্য কোন টাকা অনাদায়ী থাকিলে ভূমি উন্নয়ন কর যে পদ্ধতিতে আদায় করা যায় সেই পদ্ধতিতে উক্ত বিভাগের অনুমতিক্রমে, আদায় করা যাইবে৷
  
  
 
হাইকোর্ট বিভাগের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা 
৯৭৷ এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী এবং ধারা ২৭৬[ ১২০] এর অধীন প্রণীত বিধির সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া হাইকোর্ট বিভাগ নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলী নির্ধারণের জন্য বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা :-

(ক) ষষ্ঠ ও সপ্তম খণ্ডের অধীন অনুষ্ঠিতব্য তদন্ত ও কার্যধারার পদ্ধতি;

(খ) সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার্য অপরাধসমূহ;

(গ) আপীল দায়ের করিবার জন্য পূরণীয় শর্ত, আপীল দায়ের করিবার এবং শুনানীর পদ্ধতি;

(ঘ) এই আইনের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার প্রয়োজনে অন্যান্য যে সকল বিষয়ে বিধান করা প্রয়োজন সেই সকল বিষয়৷
  
  
 
পরিচালক প্রভৃতি উল্লেখে প্রাক্তন পরিচালক প্রভৃতিও অন্তর্ভুক্ত 
৯৮৷ যে কোন প্রকার সন্দেহ দূরীকরণার্থে এই মর্মে ঘোষণা করা যাইতেছে যে, এই খণ্ডে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ম্যানেজার, অবসায়ক, কর্মকর্তা ও নিরীত্মগকের উল্লেখ থাকিলে অনুরূপ উল্লেখে উক্ত কোম্পানীর প্রাক্তন ও বর্তমান সকল পরিচালক, ম্যানেজার, অবসায়ক, কর্মকর্তা ও নিরীত্মগককেও অন্ত্মর্ভুক্ত করা হইয়াছে বলিয়া ব্যাখ্যাত হইবে৷
  
  
 
অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় খণ্ডের অপ্রযোজ্যতা 
৯৯৷ দ্বিতীয় খণ্ডের কোন কিছুই অবসায়নাধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ত্মেগত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
  
  
 
কতিপয় কার্যধারা ইত্যাদির বৈধতা 
১০০৷ ধারা ৭৯ এবং এই খণ্ডের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত কোন বিষয়ে এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে উক্ত বিভাগ ব্যতীত অন্য কোন আদালতে অনুষ্ঠিত কার্যধারা যাহা উক্ত অন্য কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশ শুধুমাত্র এই কারণে অবৈধ হইবে না বা অবৈধ গণ্য করা হইবে না যে, হাইকোর্ট বিভাগ ব্যতীত অন্য কোন আদালতে উক্ত কার্যধারা অনুষ্ঠিত, বা উক্ত অন্য কোন আদালত কর্তৃক উক্ত ডিক্রি বা আদেশ প্রদত্ত হইয়াছিল৷
  
  
অষ্টম খন্ড
বিবিধ
 
নথিপত্র সংরক্ষণের বিষয়ে সরকারের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা 
১০১। কোন ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাবের খাতা, পরিশোধিত দাবী-সম্বলিত দলিল এবং অন্যান্য দলিলাদি কত দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করিতে হইবে সেই বিষয়ে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
  
  
 
পরিশোধিত দাবী সম্বলিত দলিল গ্রাহকের নিকট ফেরত প্রদান 
১০২৷ (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন গ্রাহকের পরিশোধিত দাবী-সম্বলিত দলিল, ধারা ১০১ এর অধীন প্রণীত বিধিতে নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত্ম হওয়ার পূর্বে, ফেরত দিবার জন্য উক্ত গ্রাহক অনুরোধ করিলে, উক্ত কোম্পানী এমন যান্ত্রিক বা অন্য কোন পদ্ধতির মাধ্যমে উক্ত দলিলের সকল অংশের একটি সঠিক অনুলিপি উহার নিকট সংরক্ষণ করিবে যে পদ্ধতি উক্ত অনুলিপির সঠিকতা নিশ্চিত করে৷

(২) ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুলিপি তৈরীর খরচ গ্রাহকের নিকট হইতে আদায় করিতে পারিবে৷

ব্যাখ্যা৷- এই ধারায় গ্রাহক বলিতে কোন সরকারী অফিস বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থাকেও বুঝাইবে৷
  
  
 
আমানতী অর্থ পরিশোধের জন্য মনোনয়ন দান 
১০৩৷ (১) ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট রক্ষিত কোন আমানত যদি একক ব্যক্তি বা যৌথভাবে একাধিক ব্যক্তির নামে জমা থাকে, তাহা হইলে উক্ত একক আমানতকারী এককভাবে বা, ক্ষেত্রমত, যৌথ আমানতকারীগণ যৌথভাবে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, এমন ২৭৭[ একজন বা একাধিক] ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেন ২৭৮[ যাহাকে বা যাহাদিগকে], একক আমানতকারী বা যৌথ আমানতকারীগণের সকলের মৃত্যুর পর, আমানতের টাকা প্রদান করা যাইতে পারে :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত একক আমানতকারী বা যৌথ আমানতকারীগণ যে কোন সময় উক্ত মনোনয়ন বাতিল করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে ২৭৯[ অন্য কোন ব্যক্তিকে বা ব্যক্তিবর্গকে] মনোনীত করিতে পারিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে ২৮০[ মনোনীত কোন ব্যক্তি] নাবালক হইলে, তাঁহার নাবালক থাকা অবস্থায় উক্ত একক আমানতকারীর বা যৌথ আমানতকারীগণের মৃত্যুর ক্ষেত্রে, আমানতের টাকা কে গ্রহণ করিবেন তত্সম্পর্কে উক্ত একক আমানতকারী বা যৌথ আমানতকারীগণ নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট করিতে পারিবেন৷

(৩) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের বা কোন উইলে বা সম্পত্তি বিলি বণ্টনের ব্যবস্থা সম্বলিত অন্য কোন প্রকার দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করা হইলে বা উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট হইলে তিনি একক আমানতকারী বা ত্মেগত্রমত যৌথ আমানতকারীগণের সকলের মৃত্যুর পর, উক্ত আমানতের ব্যাপারে একক আমানতকারীর বা, ক্ষেত্রমত, সকল আমানতকারীর যাবতীয় অধিকার লাভ করিবেন, এবং অন্য যে কোন ব্যক্তি উক্ত অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন৷

(৪) এই ধারার বিধান অনুযায়ী কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক টাকা পরিশোধিত হইলে সংশ্লিষ্ট আমানত সম্পর্কিত উহার যাবতীয় দায় পরিশোধ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তিকে এই ধারার অধীনে আমানতের টাকা পরিশোধ করা হইয়াছে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্য কোন ব্যক্তির কোন অধিকার বা দাবী থাকিলে তাহা এই উপ-ধারার বিধান ক্ষুন্ন করিবে না৷
  
  
 
আমানত সম্পর্কে অন্য কোন ব্যক্তির দাবী অগ্রহণযোগ্য 
১০৪৷ কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট যে ব্যক্তির নামের কোন আমানত রত্মিগত থাকে সে ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাহারও নিকট হইতে উক্ত আমানতের উপর কোন দাবী সম্বলিত কোন নোটিশ উক্ত কোম্পানী কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হইবে না, বা উক্তরূপ কোন নোটিশ অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে উক্ত কোম্পানী বাধ্য থাকিবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার কোন কিছুই উক্ত আমানতের ব্যাপারে যথাযথ এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন কোন আদালতের কর্তৃত্ব ত্মগুণ্ন করিবে না; এবং এইরূপ আদালতের কোন ডিক্রী, আদেশ, সার্টিফিকেট বা অনুরূপ অন্য কোন প্রকার দলিল দাখিল করা হইলে, উক্ত কোম্পানী উহাকে যথাযথ গুরম্্নত্ব দিবে৷
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় রক্ষিত সামগ্রী ফেরত্ প্রদানের জন্য মনোনয়ন 
১০৫৷ (১) কোন ব্যক্তি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় কোন সামগ্রী আমানত রাখিলে উক্ত সামগ্রী উক্ত আমানতে থাকা অবস্থায় তাঁহার মৃত্যুর পর উহা গ্রহণ করার জন্য তিনি কোন ব্যক্তিকে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, মনোনীত করিতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, আমানতকারী যে কোন সময় উক্ত মনোনয়ন বাতিল করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অন্য কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনীত ব্যক্তি নাবালক হইলে তাঁহার নাবালক থাকা অবস্থায় আমানতকারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে উক্ত ২৮১[ সামগ্রী কে] গ্রহণ করিবেন তত্সম্পর্কে তিনি, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নির্দেশ করিতে পারিবেন৷

(৩) উপ-ধারা (১) বা (২) এর অধীন মনোনীত বা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে আমানতী সামগ্রী ফেরত প্রদানের পূর্বে, আমানত গ্রহীতা ব্যাংক-কোম্পানী, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্দেশিত পদ্ধতিতে, উক্ত সামগ্রীর একটি বর্ণনামূলক তালিকা প্রস্তুত করিয়া উহাতে উক্ত ব্যক্তির স্বাত্মগর গ্রহণ করিবে এবং উহার অনুলিপি উক্ত ব্যক্তিকে সরবরাহ করিবে৷

(৪) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন বা কোন উইলে বা সম্পত্তি বিলি বণ্টনের ব্যবস্থা সম্বলিত অন্য কোন প্রকার দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করা হইলে বা উপ-ধারা (২) এর অধীনে কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট হইলে তিনি আমানতকারীর মৃত্যুর পর, উক্ত আমানতের ব্যাপারে আমানতকারীর যাবতীয় অধিকার লাভ করিবেন এবং অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন৷

(৫) এই ধারার বিধান অনুযায়ী কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক উহার নিরাপদ জিম্মায় রত্মিগত সামগ্রী ফেরত্ প্রদান করা হইলে উক্ত কোম্পানী সংশ্লিষ্ট আমানত সম্পর্কিত উহার যাবতীয় দায় পরিশোধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তিকে এই ধারার অধীনে কোন সামগ্রী ফেরত্ দেওয়া হইয়াছে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্য কোন ব্যক্তির কোন অধিকার বা দাবী থাকিলে তাহা, এই উপ-ধারার কোন বিধান ক্ষুন্ন করিবে না৷
  
  
 
জিম্মায় রক্ষিত কোন সামগ্রী সম্পর্কে অন্য কোন ব্যক্তির দাবী অগ্রহণযোগ্য 
১০৬৷ কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় যে ব্যক্তির নামে কোন সামগ্রী রত্মিগত থাকে, সে ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাহারোও নিকট হইতে উক্ত সামগ্রীর উপর দাবী সম্বলিত কোন নোটিশ উক্ত কোম্পানী কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হইবে না, বা অনুরূপ কোন নোটিশ অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে উক্ত কোম্পানী বাধ্য থাকিবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার কোন কিছুই উক্ত সামগ্রীর ব্যাপারে যথাযথ এখতিয়ারসম্পন্ন কোন আদালতের কর্তৃত্ব ত্মগুণ্ন করিবে না; এবং এইরূপ আদালতের কোন ডিক্রী, আদেশ, সার্টিফিকেট বা অনুরূপ অন্য কোন প্রকার দলিল দাখিল করা হইলে উক্ত কোম্পানী উহাকে যথাযথ গুরম্্নত্ব দিবে৷
  
  
 
নিরাপদ লকারে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত্ প্রদান 
১০৭৷ (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ ভল্ট বা অন্য কোথাও রত্মিগত কোন লকার যদি কোন ব্যক্তি এককভাবে ভাড়া করেন, তাহা হইলে তাঁহার মৃত্যুর ত্মেগত্রে উক্ত লকার ভাড়া থাকা অবস্থায় তাঁহার মৃত্যুর পর, তত্কর্তৃক পূর্ব-মনোনীত কোন ব্যক্তিকে উক্ত-কোম্পানী লকার খুলিতে এবং উহা হইতে বন্ড ফেরত্ নিতে দিবেন৷

(২) যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর লকার ভাড়া করেন এবং ভাড়ার চুক্তিতে উক্ত ভাড়াকারীগণের মধ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির যুগ্ম স্বাত্মগরে লকারের কাজ সম্পাদন করার বিধান থাকে, তাহা হইলে, যে ভাড়াকারীগণের স্বাত্মগরে লকারের কাজ সম্পাদনের বিধান থাকে তাঁহারা, উক্ত যুগ্ম ভাড়াকারীগণের মধ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর ত্মেগত্রে, অন্যান্য জীবিত ভাড়াকারীগণের সহিত, মৃত ব্যক্তিগণের পত্মেগ অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত লকার খুলিবার জন্য এবং উহাতে রত্মিগত সামগ্রী ফেরত লইবার জন্য উক্ত কোম্পানী সুযোগ দিবে সেই বিষয়ে, এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনীত করিতে পারেন৷

(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন মনোনয়ন নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রদান করিতে হইবে৷

(৪) কোন মনোনীত ব্যক্তিকে অথবা, ক্ষেত্রমত, যুগ্মভাবে মনোনীত ব্যক্তি এবং উক্ত জীবিত ভাড়াকারীকে লকারে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত প্রদানের পূর্বে, ব্যাংক-কোম্পানী, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্দেশিত পদ্ধতিতে, লকারে রক্ষিত সামগ্রীর একটি বর্ণনামূলক তালিকা তৈরী করিয়া উক্ত ব্যক্তিগণের স্বাক্ষর গ্রহণ করিবে, এবং উহার একটি অনুলিপি উক্ত ব্যক্তিগণকে সরবরাহ করিবে৷

(৫) এই ধারার বিধান অনুযায়ী, কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক উহার নিরাপদ লকারে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত প্রদান করা হইলে সংশ্লিষ্ট রক্ষিত সামগ্রী সম্পর্কিত উহার যাবতীয় দায় পরিশোধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তিকে এই ধারার অধীন কোন সামগ্রী ফেরত দেওয়া হইয়াছে সেই ব্যক্তির বিরম্্নদ্ধে অন্য কোন ব্যক্তির কোন অধিকার বা দাবী থাকিলে তাহা এই উপ-ধারার কোন বিধান ক্ষুন্ন করিবে না৷

(৬) উপ-ধারা (১) বা উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী লকার খুলিতে এবং উহাতে রক্ষিত সামগ্রী ফেরত লইতে অনুমতি প্রদানের কারণে উক্ত সামগ্রীর যদি কোন ক্ষতি হইয়া থাকে বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহা হইলে ব্যাংক-কোম্পানীর বিরুদ্ধে কোন মামলা, অভিযোগ বা অন্য কোন প্রকার আইনানুগ কার্যধারা দায়ের বা শুরু করা যাইবে না৷
  
  
 
নিরাপদ লকারে রক্ষিত সামগ্রী সম্পর্কে অন্য কোন ব্যক্তির দাবী অগ্রহণযোগ্য 
১০৮৷ কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ লকারে যে ব্যক্তির কোন সামগ্রী রত্মিগত থাকে সে ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতে উক্ত সামগ্রীর উপর কোন দাবী সম্বলিত কোন নোটিশ উক্ত কোম্পানী কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হইবে না; এবং অনুরূপ কোন নোটিশ অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে উক্ত কোম্পানী বাধ্য থাকিবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোন কিছুই, উক্ত সামগ্রীর ব্যাপারে যথাযথ এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন কোন আদালতের কর্তৃত্ব ক্ষুন্ন করিবে না এবং এইরূপ আদালতের কোন ডিক্রী, আদেশ, সার্টিফিকেট বা অনুরূপ অন্য কোন প্রকার দলিল দাখিল করা হইলে, উক্ত কোম্পানী উহাকে যথাযথ গুরুত্ব দিবে৷

২৮২[ * * *]
  
  
 
দণ্ড 
১০৯। (১) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত না হইয়া ব্যাংক ব্যবসা করেন বা ব্যাংক ব্যবসা করার জন্য প্রাপ্ত লাইসেন্স বাতিল হইয়া যাওয়ার পরেও ব্যাংক ব্যবসা করেন, তাহা হইলে তিনি ২৮৩[ অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদন্ডে এবং অন্যূন দুই লক্ষ টাকা এবং অনধিক বিশ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয়] হইবেন।

(২) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধানের প্রয়োজন মোতাবেক বা উহার অধীন বা উহার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে তলবকৃত বা দাখিলকৃত কোন বিবরণ, প্রতিবেদন, ব্যালেন্স শীট বা অন্যান্য দলিল বা কোন তথ্যে, ইচ্ছাকৃতভাবে এবং তাঁহার জ্ঞাতসারে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি প্রদান করেন, অথবা, ইচ্ছাকৃতভাবে এবং তাঁহার জ্ঞাতসারে, অনুরূপ বিষয়ে তথ্য বা কোন বিবৃতি প্রদান না করেন, তাহা হইলে তিনি ২৮৪[ অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদন্ডে এবং অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয়] হইবেন।

(৩) ধারা ২৭ (১) ও (২) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন ব্যাংক-কোম্পানী অগ্রিম প্রদান করিলে, উহার যে সকল পরিচালক বা কর্মকর্তা উক্ত ২৮৫[ ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোনরূপ আর্থিক সুবিধা] প্রদানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তাহাদের প্রত্যেকে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং ২৮৬[ অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদন্ডে অথবা অন্যূন এক লক্ষ টাকা এবং অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থ দন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয়] হইবেন।

(৪) যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৪৪ (২) এর অধীনে কোন বহি, হিসাব-নিকাশ, বা অন্য কোন দলিল দাখিল করিতে, অথবা কোন বিবরণ বা তথ্য সরবরাহ করিতে, অথবা ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত বা পরীক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার কোন প্রশ্নের জবাব দিতে অসম্মত হন, তাহা হইলে তিনি এই অসম্মতির জন্য২৮৭[ অন্যূন দশ হাজার টাকা এবং অনধিক এক লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত] হইবেন, এবং যদি উক্ত অসম্মতি অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত অসম্মতির প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত ২৮৮[ অন্যূন পাঁচশত টাকা এবং অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত] হইবেন।

(৫) ধারা ৪৪ (৫) (ক) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ লঙ্ঘন করিয়া কোন ব্যাংক-কোম্পানী কোন আমানত গ্রহণ করিলে, উহার যে সকল পরিচালক বা কর্মকর্তা উক্ত গ্রহণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তাঁহাদের প্রত্যেকে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি উক্ত জামানতের অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ ২৮৯[ জরিমানা আরোপিত] হইবেন।


(৬) যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৭৭ (৭) এর অধীন মঞ্জুরীকৃত কোন স্কীমের শর্ত বা কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি ২৯০[ অন্যূন দশ হাজার টাকা এবং অনধিক এক লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত] হইবেন এবং যদি এই ব্যর্থতা অব্যাহত থাকে তাহা হইলে উক্ত ব্যর্থতার প্রথম দিনের পর প্রতি দিনের জন্য অতিরিক্ত ২৯১[ অন্যূন পাঁচশত টাকা এবং অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত] হইবেন।

(৭) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের অন্য কোন বিধান লঙ্ঘন করেন, বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ বা আরোপিত কোন শর্ত বা প্রণীত কোন বিধি লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত লঙ্ঘনের জন্য ২৯২[ অন্যূন দশ হাজার টাকা এবং অনধিক এক লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত] হইবেন, এবং যদি উক্ত লঙ্ঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘনের প্রথম দিনের পর প্রতিদিনের জন্য অতিরিক্ত ২৯৩[ অন্যূন পাঁচশত টাকা এবং অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত] হইবেন।

(৮) এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি, অথবা তদধীন কোন আদেশ বা নির্দেশ বা আরোপিত শর্ত বা প্রণীত কোন বিধি লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি বা তদধীন মঞ্জুরীকৃত কোন স্কীমের শর্ত বা কর্তব্য পালনে ব্যর্থ কোন ব্যক্তি যদি কোন ২৯৪[ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান] হয়, তাহা হইলে এইরূপ লঙ্ঘন বা ব্যর্থতা সংঘটিত হওয়ার সময় যে সকল ব্যক্তি উক্ত ২৯৫[ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের] পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা ছিলেন বা উক্ত ২৯৬[ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের] কাজকর্ম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তজ্জন্য উহার নিকট কৈফিয়ত দিতে বাধ্য ছিলেন তাঁহাদের প্রত্যেক ব্যক্তি ও উক্ত লঙ্ঘন বা ব্যর্থতার জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করিতে পারেন যে, এইরূপ লঙ্ঘন বা ব্যর্থতা তাঁহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে বা উহা প্রতিরোধ করিবার জন্য তিনি যথাযথ সতকর্তা অবলম্বন করিয়াছিলেন তাহা হইলে তিনি উক্তরূপ দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন না।

২৯৭[ ২৯৮[ (৯) উপ-ধারা (৩), (৪), (৫), (৬), (৭) এবং ধারা ২৮ এর উপ-ধারা (১) ও ধারা ৫৭ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে কেহ দণ্ডনীয় অপরাধ করিলে তাঁহার বিরুদ্ধে মামলা না করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক ২৯৯[ তাহাকে কেন আর্থিক জরিমানা] করিবে না সে সম্পর্কে কারণ দর্শাইতে সুযোগ দিতে পারিবে এবং তাঁহার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হইলে বা তিনি কোন ব্যাখ্যা প্রদান না

করিলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁহাকে উপরিউক্ত উপ-ধারাসমূহে এবং ধারা ২৮ এর উপ-ধারা (২) ও ধারা ৫৭ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত ৩০০[ যে কোন অংকের আর্থিক জরিমানা] করিতে পারিবে।]

(১০) উপ-ধারা (৯) এর অধীন ৩০১[ জরিমানা] আরোপ করার ১৪ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উহা পরিশোধ করিলে তাঁহার বিরুদ্ধে উক্ত উপ-ধারায় উলি্লখিত উপ-ধারাগুলির অধীন তৎকতর্ৃক কৃত অপরাধের জন্য আর কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না; কিন্তু যদি তিনি উক্তরূপ সময়সীমার মধ্যে ৩০২[ জরিমানাকৃত অর্থ] পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কৃত অপরাধের জন্য তাঁহার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করিবে।]

৩০৩[ (১১) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী এই আইনের ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (৭), ধারা ২৫ এর উপধারা (৩), (৪) ও (৫), ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (৪), ধারা ২৯ এর উপ-ধারা (৩), এবং ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৫) এ বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোন ধারার বিধান লংঘন করে বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ বা আরোপিত কোন শর্ত বা প্রণীত কোন বিধি লংঘন করে, তাহা হইলে উক্ত লংঘনের জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী অন্যূন পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং অনধিক দশ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে, এবং যদি উক্ত লংঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত লংঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অন্যূন পাঁচ হাজার টাকা এবং অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।

(১২) উপ-ধারা (৯) এর অধীন জরিমানাকৃত কোন ব্যক্তি বা উপধারা (১১) এর অধীন জরিমানাকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুরূপ জরিমানা আরোপের ১৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা-পর্ষদের নিকট তাহা পুনর্বিবেচনার আবেদন পেশ করিতে পারিবে এবং এই ব্যাপারে উক্ত পর্ষদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।]
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান, পরিচালক ইত্যাদি জনসেবক 
১১০৷ ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান, পরিচালক, নিরীত্মগক, অবসায়ক, ম্যানেজার এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর Section 21 এ যে অর্থে জনসেবক (Public Servant) কথাটি ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে জনসেবক (Public Servant) বলিয়া গণ্য হইবেন৷
  
  
 
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ 
১১১। ধারা ১০৯ এর অধীন সাধারণভাবে সকল অপরাধ বা তদধীন কোন নির্দিষ্ট অপরাধের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রাপ্ত উহার কোন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবেন না।
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কার্যধারা গ্রহণের পদ্ধতি 
৩০৪[ ১১২। (১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই আইনের কোন ধারা অথবা তদধীন কোন আদেশ বা নির্দেশ বা আরোপিত শর্ত বা প্রণীত কোন বিধি লংঘন করার জন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বিরুদ্ধে আদালতের বিচারার্থ অপরাধ ব্যতীত অন্য কোন ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে চায়, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে না বা আর্থিক জরিমানা আরোপ করিবে না সে সম্পর্কে কারণ দর্শাইতে সুযোগ দিতে পারিবে এবং প্রদত্ত ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হইলে বা, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন ব্যাখ্যা প্রদান না করিলে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সংশ্লিষ্ট ধারা বা উপধারাসমূহে উল্লিখিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বা সংশ্লিষ্ট ধারা বা উপ-ধারাসমূহে উল্লিখিত যে কোন অংকের আর্থিক জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহাই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে সকল ক্ষেত্রে যথাযথ মনে করে সে সকল ক্ষেত্রে কৃত অপরাধের বিষয়ে একটি তদন্ত অনুষ্ঠান করিতে পারিবে এবং উহাতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীকে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত জরিমানা উক্ত ব্যাংক কোম্পানী এইরূপ আদেশ প্রদানের ১৪ দিনের মধ্যে পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবে।

(৪) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (৩) এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরোপিত জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনরূপ নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত রক্ষিত উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাব বিকলন করিয়া উক্ত জরিমানা আদায় করিয়া নিতে পারিবে।]
  
  
 
আদায়কৃত অর্থ ব্যবহার 
১১৩৷ এই আইনের অধীন অর্থদণ্ড আরোপকারী কোন আদালত এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারে যে, উক্ত অর্থদণ্ড সম্পূর্ণ বা উহার কোন নির্দিষ্ট অংশ সংশ্লিষ্ট কার্যধারার খরচ বাবদ বা, ক্ষেত্রমত, যে ব্যক্তির সংবাদের উপর ভিত্তি করিয়া উক্ত অর্থদণ্ড আদায় করা হইয়াছে সেই ব্যক্তিকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যাইবে৷
  
  
 
প্রাইভেট ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য বিশেষ বিধান 
১১৪৷ কোন ব্যাংক-কোম্পানী প্রাইভেট কোম্পানী হইলে, উহাকে কোম্পানী আইনের ৩০৫[ ধারা ১৭, ৮৩, ৯১, ১০৭, ১৩১, ১৩৩ এবং ২১২] এর অধীন কোন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অব্যাহতি প্রদান করা যাইবে না৷
  
  
 
চেক দ্বারা প্রত্যাহারযোগ্য আমানত গ্রহণের উপর বাধা-নিষেধ 
৩০৬[ ১১৫। কোন ব্যাংক-কোম্পানী, বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশক্রমে এতদুদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপিত কোন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ব্যতীত, অন্য কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি চেক দ্বারা প্রত্যাহারযোগ্য কোন আমানত গ্রহণ করিতে পরিবেন না:

তবে শর্ত থাকে যে,এই ধারার কোন কিছুই সরকার কর্তৃক পরিচালিত কোন সঞ্চয় ব্যাংক স্কীমের ক্ষেত্রের প্রযোজ্য হইবে না।]
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানীর নাম পরিবর্তন 
১১৬। কোম্পানী আইনের ৩০৭[ ধারা ১১] এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন আপত্তি নাই এই মর্মে প্রত্যয়নপত্র ব্যতীত ৩০৮[ কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নাম পরিবর্তনের জন্য কোন আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না]।
  
  
 
ব্যাংক-কোম্পানীর সংঘ স্মারক পরিবর্তন 
১১৭৷ কোম্পানী আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন আপত্তি নাই এই মর্মে প্রত্যয়নপত্র ব্যতীত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সংঘ স্মারক পরিবর্তনের কোন আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না৷
  
  
 
কতিপয় ক্ষতিপূরণের দাবী নিষিদ্ধ 
১১৮৷ এই আইনের ধারা ৩০৯[ ১১, ১৫, ১৫কক, ২৩, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৯, ৭৪ এবং ৭৭] এর বিধান কার্যকর হওয়ার বা এই আইনের অধীনে প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক পালিত হওয়ার কারণে কোন ব্যক্তির কোন চুক্তি বা অন্য কোন ভিত্তিতে উদ্ভূত অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত্ম হইলে তজ্জন্য তিনি ক্ষতিপূরণের দাবী উত্থাপন করিতে পারিবেন না৷
  
  
 
তথ্য বিনিময় 
১১৯৷ ব্যাংক-কোম্পানীসমূহ পরস্পরের মধ্যে গোপনীয়তার ভিত্তিতে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাহাদের স্ব স্ব গ্রাহক সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করিতে পারিবে৷
  
  
 
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা 
৩১০[ ১২০৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, ৩১১[ বিশেষায়িত] ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তাদি সম্পর্কিত কোন বিধি সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত প্রণয়ন করা যাইবে না৷

(২) প্রস্তাবিত বিধি সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রকাশ করার পূর্বে উহার উপর সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি আহ্বান করিয়া বহুল প্রচারিত অন্যুন একটি বাংলা এবং একটি ইংরেজী পত্রিকায় প্রকাশ করিতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি দাখিল করার জন্য অন্যুন দুই সপ্তাহ সময় দিতে হইবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন বিশেষ ক্ষেত্রে উক্ত উপ-ধারার অধীন সংশ্লিষ্টদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি আহবান করা জনস্বার্থে যথাযথ হইবে না বলিয়া বিবেচিত হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সংশ্লিষ্ট বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷

(৪) এই ধারা প্রতিস্থাপনের অব্যবহিত পূর্বে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিদ্যমান সকল বিধি, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই ধারার অধীন বিধি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত এমনভাবে কার্যকর থাকিবে যেন এই ধারা প্রতিস্থাপিত হয় নাই৷]
  
  
 
কতিপয় ক্ষেত্রে অব্যাহতি প্রদানের ক্ষমতা 
১২১৷ ৩১২[ বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে], সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষণা করিতে পারে যে, এই আইনের সকল বা কোন বিশেষ বিধান, কোন নির্দিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বা সকল ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, সাধারণভাবে বা প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত কোন মেয়াদকালে প্রযোজ্য হইবে না৷
  
  
 
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ 
১২২৷ আইনের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কিছুর জন্য বা সরল বিশ্বাসে কোন কিছু সম্পাদন করিবার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বা সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে, বা তাঁহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে বা ৩১৩[ উহাদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে বা ধারা ৪৭ এর উপ-ধারা (৩) এর আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়োগকৃত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা] বা অন্য কোন আইনগত কার্য ধারা দায়ের করা যাইবে না৷
  
  
 
রহিতকরণ ও হেফাজত 
১২৩৷ (১) ব্যাংক কোম্পানী অধ্যাদেশ, ১৯৯১ (অধ্যাদেশ নং ১৫, ১৯৯১) এতদ্বারা রহিত করা হইল৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে রহিতকরণ সত্বেও রহিতকৃত উক্ত Ordinance এর অধীন কৃত সব কিছু বা তদধীন প্রদত্ত ত্মগমতাবলে গৃহীত সকল ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যেন উহা কৃত বা গৃহীত হইবার তারিখে এই আইন বলবত্ ছিল৷
  
  
  
 
১ “কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলি “Companies Act, 1913 (VII of 1913)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২ ধারা ৩ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩ ধারা ৪ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত।

৪ “(b), (bb)” বর্ণগুলি, কমা, ও বন্ধনীগুলি ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত

৫ “১৩(৩)” সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী “১৩(৪)” সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৬ দফা (কক) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১১ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সন্নিবেশিত

৭ “কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলি “Companies Act, 1913 (VII of 1913)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী গুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৮ দফা (গগ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৯ দফা (গগগ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(গ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।

১০ দফা (ঙ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১১ দফা (ছ) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১১ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১২ “ঋণ ও অগ্রিম গ্রহণ,” শব্দগুলি ও কমা “অর্থ” শব্দটির পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(ঙ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।

১৩ দফা (জ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(চ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

১৪ উপ-দফা (১) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৫ “আমানত প্রদানকারী বা লাভ-ক্ষতির” শব্দগুলি ও হাইফেন “লাভ-ক্ষতির” শব্দগুলি ও হাইফেনের পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(ছ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৬ “আইনের” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৭ “বিশেষায়িত ব্যাংক” শব্দগুলি “বিশিষ্ট ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(জ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৮ “বিশেষায়িত ব্যাংক” শব্দগুলি “বিশিষ্ট ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(জ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৯ উপ-দফা (১)ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(ঝ)(অ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

২০ “বিশেষায়িত” শব্দটি “বিশিষ্ট” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(ঝ)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২১ দফা (ণ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(ঞ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২২ দফাসমূহ ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সন্নিবেশিত

২৩ “শরীয়াহ” শব্দটি “শরিয়ত” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(ট) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৪ “শরীয়াহ” শব্দটি “শরিয়ত” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪(ঠ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৫ “বিশেষায়িত” শব্দটি “নূতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৬ “মুদারাবা” শব্দটি “মোদারেকা” শব্দটির পরিবর্র্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৭ “ব্যাংক কার্ড” শব্দটি “ক্রেডিট কার্ড” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬(ক)(অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৮ “মুদারাবা” শব্দটি “মোদারেকা” শব্দটির পরিবর্র্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৯ দফা (জ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬(ক)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩০ উপ-ধারা (৩) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬(খ) ধারাবলে সংযোজিত।

৩১ “অন্য কোন কোম্পানী কিংবা প্রতিষ্ঠান” শব্দগুলি “অন্য কোন কোম্পানী” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩২ “ধারা ২৮” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 26” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৩৩ কোলন (:) দাঁড়ির (৷) পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর শর্তাংশটি ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সংযোজিত

৩৪ “শরীয়াহ” শব্দটি “শরিয়ত” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৮(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩৫ “ও অন্যান্য ধাতু এবং ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ), (ঘ), (ছ) ও (জ) এ উল্লিখিত সকল দলিল দস্তাবেজ ব্যতীত, সকল প্রকারের অস্থাবর সম্পত্তি” শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, সংখ্যাগুলি ও কমাগুলি “এবং অন্যান্য ধাতু ব্যতীত, সকল প্রকারের অস্থাবর সম্পত্তি এবং ধারা ৭(১) এর (গ), (ঘ), (ছ) ও (জ) দফাসমূহে উল্লিখিত সকল দলিল দস্তাবেজ” শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, সংখ্যাগুলি ও কমাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৮(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩৬ “বা” শব্দটি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে বিলুপ্ত।

৩৭ “ধারা ২৮” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 26” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৩৮ “একাদিক্রমে” শব্দটি “একাধিক্রমে” শব্দটি পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৩৯ উপ-ধারা (৪ক) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত

৪০ “নথিপত্র এবং কর্মপ্রক্রিয়া’’ শব্দগুলি “নথিপত্র” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১০(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৪১ “নথিপত্র কিংবা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রক্রিয়াযোগ্য কার্যক্রম” শব্দগুলি “নথিপত্র” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১০(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৪২ “তথ্যপ্রযুক্তি” শব্দটি “বৈদ্যুতিক” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১০(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৪৩ “তথ্যপ্রযুক্তি” শব্দটি “বৈদ্যুতিক” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১০(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৪৪ উপান্ত-টীকা ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১১(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৪৫ উপ-ধারা (১) ও (২) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১১(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৪৬ উপ-ধারা (২) ও (৩) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৪৭ “উক্ত অর্থ জমা না রাখিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (২) এর” শব্দগুলি, সংখ্যা, বন্ধনী ও হাইফেন “উপ-ধারা (২) মোতাবেক রক্ষণীয় অর্থ জমা না রাখিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উক্ত উপ-ধারার’ শব্দগুলি, সংখ্যা, বন্ধনী, হাইফেন ও কমার পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১১(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৪৮ “আনয়ন” শব্দটি “হস্তান্তর” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১১(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৪৯ উপ-ধারা (৩) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬(খ) ধারাবলে সংযোজিত।

৫০ “কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক সংরক্ষিতব্য বা সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ বা উপাদান ইত্যাদি” শব্দগুলি ও হাইফেন “কোন ব্যাংক-কোম্পানীর আদায়কৃত মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিলের মোট মূল্য” শব্দগুলি ও হাইফেনের পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১১(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৫১ উপ-ধারা (৭) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১১(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৫২ ব্যাখ্যাটি ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৫৩ উপান্ত-টীকা ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১১(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৫৪ উপ-ধারা (১) ও (২) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১১(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৫৫ “বিশেষায়িত” শব্দটি “নূতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১২(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৫৬ “উহার অনুমোদিত মূলধন” শব্দগুলি “উহার মূলধন” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৫৭ “নূতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট ব্যাংক ব্যতীত অন্য” শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১২(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

৫৮ “নূতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট ব্যাংক ব্যতীত অন্য” শব্দগুলি ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে বিলুপ্ত

৫৯ ধারা ১৪ক ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৬০ “কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক যাচিত হইলে উক্ত ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ের সময় ক্রেতা” শব্দগুলি ও হাইফেন “ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ের সময় ক্রেতা” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৩(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৬১ “বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে” শব্দগুলি “বাংলাদেশ ব্যাংকে” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৩(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৬২ “১৯৯৫ সনের ২৫ নং আইন” সংখ্যাগুলি ও শব্দগুলি “১৯৯৫ সনের আইন” সংখ্যা ও শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ১১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৬৩ “ধারায়” শব্দটি “উপ-ধারায়” শব্দগুলি ও হাইফেনের পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৩(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৬৪ ধারা ১৪খ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত।

৬৫ “বিশেষায়িত” শব্দটি “নূতন ব্যাংক বা বিশিষ্ট” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৫(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৬৬ “আইনের” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৬৭ উপ-ধারা (৪) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৬৮ উপ-ধারা (৫) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৫(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৬৯ উপ-ধারা (৬), (৭), (৮), (৯), (১০), (১১) এবং (১২) উপ-ধারা (৫) এর পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৫(ঘ) ধারাবলে সংযোজিত।

৭০ ধারা ১৫ক ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে সন্নিবেশিত

৭১ “একাদিক্রমে” শব্দটি “একাধিক্রমে” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৭২ ধারা ১৫কক ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৭৩ ধারা ১৫খ ও ১৫গ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে সন্নিবেশিত।

৭৪ উপান্ত-টীকা ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১১(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৭৫ ধারা ১৫খ ও ১৫গ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে সন্নিবেশিত।

৭৬ ধারা ১৭ ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১১ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৭৭ ‘‘ব্যাংক-কোম্পানীতে’’ শব্দগুলি ও হাইফেন ‘‘ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে’’ শব্দগুলি ও হাইফেনের পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৮(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৭৮ উপ-ধারা (৭) ও (৮) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৮(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।

৭৯ উপান্ত-টীকা ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

উপ-ধারা (২), (৩), (৪), (৫), (৬), (৭) এবং (৮) উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৮১ “ধারা ১৫২ ও ১৫৩” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলি “Section 105 এবং Section 105A” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ১৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৮২ “দায়যুক্তকরণ” শব্দটি “দায়মুক্তকরণ” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৮৩ “দায়যুক্ত” শব্দটি “দায়মুক্ত” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৮৪ “দায়যুক্ত” শব্দটি “দায়মুক্ত” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৮৫ “দায়যুক্তকরণ” শব্দটি “দায়মুক্তকরণ” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৮৬ “দায়যুক্ত” শব্দটি “দায়মুক্ত” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৮৭ “দায়যুক্ত” শব্দটি “দায়মুক্ত” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৮৮ “বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা-পর্ষদের নিকট পুনর্বিবেচনার আবেদন’’ শব্দগুলি ‘‘সরকারের নিকট আপীল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২০(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৮৯ উপ-ধারা (৪) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২০(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

৯০ ধারা ২২ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৯১ উপ-ধারা (১) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ২৩ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৯২ দফা (ক) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২২(ক)(অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৯৩ ‘‘কতিপয় কোম্পানীর পরিচালক যে কোম্পানীসমূহ একত্রে’’ শব্দগুলি ‘‘কোন কোম্পানীর পরিচালক যে কোম্পানী বা কোম্পানীসমূহ’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২২(ক)(আ)(১) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৯৪ “;” সেমিকোলন “:” কোলন এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অত:পর উপ-দফা (ঈ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২২(ক)(আ)(২) ধারাবলে সংযোজিত।

৯৫ ‘‘বিশেষায়িত ব্যাংকের পরিচালকের’’ শব্দগুলি ‘‘পরিচালকের’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২২(ক)(ই) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৯৬ উপ-ধারা (১ক) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ১১ ধারাবলে সন্নিবেশিত

৯৭ “।“ দাঁড়ি “:” কোলন এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অত:পর শর্তাংশ দুইটি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২২(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

৯৮ “আইন” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৯৯ ‘‘একত্রে’’ শব্দটি ‘‘যেসব কোম্পানী’’ শব্দগুলির পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২২(গ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।

১০০ উপান্ত-টীকা ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৩(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১০১ ‘‘সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি’’ শব্দগুলি ‘‘সংরক্ষিত তহবিল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৩(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১০২ ‘‘প্রিমিয়াম’’ শব্দটি “যে পরিমাণ” শব্দগুলির পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৩(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

১০৩ “তাহা অপেক্ষা কম হয়” শব্দগুলি “তাহা, অপেক্ষা কম না হয়,” শব্দগুলি ও কমাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১০৪ ‘‘সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতিতে’’ শব্দগুলি ‘‘সংরক্ষিত তহবিলে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৩(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১০৫ ‘‘সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি’’ শব্দগুলি ‘‘সংরক্ষিত তহবিল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৩(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১০৬ উপ-ধারা (১) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৪(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১০৭ ‘‘সংরক্ষিত নগদ তহবিল’’ শব্দগুলি ‘‘সংরক্ষিত তহবিল’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৪(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১০৮ ‘‘পঁচিশ হাজার টাকা’’ শব্দগুলি ‘‘দুই হাজার পাঁচশত টাকা’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৪(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১০৯ ‘‘পঞ্চাশ হাজার টাকা’’ শব্দগুলি ‘‘পাঁচ হাজার টাকা’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৪(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১১০ (১) সংখ্যা ও বন্ধনী ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৫(ক) ধারাবলে বিলুপ্ত।

১১১ ‘বা সাবসিডিয়ারী কোম্পানীতে পরিণত করার উদ্দেশ্যে কোন বিদ্যমান কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণমূলক শেয়ার ক্রয় করিতে’ শব্দগুলি ‘গঠন করিতে’ শব্দগুলির পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৫(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।

১১২ ‘‘শরীয়াহ’’ শব্দটি ‘‘শরীয়তের’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৫(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১১৩ উপ-দফা (ই) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৫(ঘ) ধারাবলে সংযোজিত।

১১৪ দফা (চ) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ১৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১১৫ উপ-ধারা (২) ও (৩) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৫(ঙ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

১১৬ ধারা ২৬ক, ২৬খ, ২৬গ ও ২৬ঘ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত।

১১৭ উপ-ধারা (১) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৭(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১১৮ ‘‘ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা’’ শব্দগুলি ও কমাগুলি ‘‘ঋণ বা অগ্রিম’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৭(খ)(অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১১৯ ‘‘ধারায়’’ শব্দটি ‘‘উপ-ধারায়’’ শব্দটি ও হাইফেনের পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৭(খ)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১২০ “পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন, শ্যালক, শ্যালিকা, ভগ্নিপতি, শ্বশুর, শাশুড়ী, পুত্রবধু ও কন্যার স্বামীকেও” শব্দগুলি ও কমাগুলি “পুত্র ও কন্যাকেও” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১২১ “এবং ঐ পরিচালকের উপর নির্ভরশীল সকলকে” শব্দগুলি “শ্যালক, শালিকা, ভগ্নিপতি, শ্বশুর, শাশুড়ী, পুত্রবধু ও কন্যার স্বামীকেও” শব্দগুলি ও কমাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১২২ উপ-ধারা (২) ও (৩) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৫(ঙ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

১২৩ `প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক” শব্দগুলি “প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত৷

১২৪ ধারা ২৭ক এবং ২৭কক ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১১ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত

১২৫ ‘‘ঋণ বা বিনিয়োগ অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের একস্তর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন’’ শব্দগুলি ‘‘পরিচালক পর্ষদের সম্মতি’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১২৬ ‘‘ঋণ বা উহার অংশ বা উহার উপর অর্জিত সুদ’’ শব্দগুলি ‘‘ঋণ’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১২৭ উপ-ধারা (২) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১২৮ ব্যাখ্যা ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ২৯(গ) ধারাবলে সংযোজিত।

১২৯ ধারা ২৮ক ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ২৩ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত

১৩০ দফা (ঙ) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ১৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৩১ ‘‘(ক) হইতে (চ)’’ অক্ষরগুলি, শব্দ ও বন্ধনীগুলি ‘‘(ক) ও (খ)’’ অক্ষরগুলি ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৩২ “এবং ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংকের ব্যবসায়িক লেনদেনে উচ্চ মুনাফা বা ভাড়ার হার ছিল শুধুমাত্র এই কারণে” শব্দগুলি “শুধুমাত্র এই কারণেই” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৩৩ ‘‘শরীয়াহ’’ শব্দটি ‘‘শরিয়ত’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৩৪ ‘‘ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী’’ শব্দগুলি ‘‘কোম্পানী’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩২(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৩৫ “আইন” শব্দটি “অধ্যাদেশ” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৩৬ ‘‘১৩’’ সংখ্যা ‘‘১৩(১)’’ সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৩৭ দফা (গ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩২(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৩৮ “উপ-ধারা (২)” শব্দ, সংখ্যা ও বন্ধনীগুলি “উপ-ধারা (১)” শব্দ, সংখ্যা ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৩৯ ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা-পর্ষদের নিকট তাহা পুনর্বিবেচনার আবেদন’’ শব্দগুলি ‘‘সরকারের নিকট আপীল দায়ের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩২(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৪০ উপ-ধারা (৭) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩২(ঙ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

১৪১ ‘‘জানিয়া নিতে’’ শব্দগুলি ‘‘জানাইয়া দিতে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৪২ উপ-ধারা (২) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৪(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৪৩ ‘‘সুদের সর্বোচ্চ’’ শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৪(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

১৪৪ ‘‘শতাংশ’’ শব্দটি ‘‘শর্তাংশ’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৫(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৪৫ দফা (খ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৪৬ ‘‘বাংলাদেশী মুদ্রায়’’ শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ক)(অ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

১৪৭ ‘‘বাংলাদেশী মুদ্রায়’’ শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ক)(আ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

১৪৮ “;” সেমিকোলন “।“ দাঁড়ির পরিবর্তে এবং অতঃপর “ড্রাফট বা বিনিময় দলিলের পাওনাদারের ঠিকানা পাওয়া না গেলে আবেদনকারীর ঠিকানায় অনুরূপ নোটিস প্রেরণ করিবে।” শব্দগুলি ও দাঁড়ি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ক)(ই) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৪৯ দফা (ঘ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।

১৫০ ‘‘অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে’’ শব্দগুলি ‘‘একবার করিয়া’’ শব্দগুলির পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(গ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।

১৫১ ‘‘দুই বৎসরের’’ শব্দগুলি ‘‘এক বছরের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৫২ ‘‘দুই’’ শব্দটি ‘‘এক’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ঙ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৫৩ ‘‘দুই’’ শব্দটি ‘‘এক’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ঙ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৫৪ উপ-ধারা (১৫) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(চ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৫৫ দফা (খ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ছ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৫৬ উপ-ধারা (১) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৫৭ ধারা ৩৭ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৫৮ ‘‘ইংরেজী পঞ্জিকা বৎসর’’ শব্দগুলি ‘‘অর্থ বৎসর’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৫৯ উপ-ধারা (১ক) ও (১খ) ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ৬০ ধারাবলে সন্নিবেশিত।

১৬০ “তফসিল-১১” শব্দ ও সংখ্যাটি “Third Schedule এর ফরম E” শব্দগুলি ও বর্ণটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৬১ ‘‘ফরম ও নির্দেশনাসমূহ’’ শব্দগুলি ‘‘ফরমসমূহ’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৬২ ব্যাখ্যা ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৯(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

১৬৩ “ধারা ২১৩” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 145” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৬৪ দফা (ঘঘ) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ১৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত

১৬৫ ‘‘করা হয়’’ শব্দগুলি ‘‘করা হইবে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪০(ক)(অ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৬৬ দফা (ঙ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪০(ক)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৬৭ দফা (ছছ), (ছছছ) ও (ছছছছ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪০(ক)(ই) ধারাবলে সন্নিবেশিত।

১৬৮ ‘‘ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষিত মূলধন আবশ্যক মূলধনের’’ শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী ‘‘মূলধন’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪০(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৬৯ উপ-ধারা (৫) ও (৬) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪০(গ) ধারাবলে সংযোজিত।

১৭০ ধারা ৩৯ক, ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে সন্নিবেশিত

১৭১ ধারা ৩৯খ, ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ১৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত

১৭২ ‘‘দুই’’ শব্দটি ‘‘তিন’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৭৩ ‘‘দুই’’ শব্দটি ‘‘তিন’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৭৪ “ধারা ১৯০” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 134(1)” শব্দ, সংখ্যা ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৭৫ “ধারা” শব্দটি “Section” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৭৬ “ধারা” শব্দটি “Section” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৭৭ ধারা ৪২ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৭৮ ‘‘এবং সরকার কর্তৃক নির্দেশিত হইলে অনুরূপ পরিদর্শন করাইবে’’ শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৩(ক) ধারাবলে বিলুপ্ত।

১৭৯ ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংক আবশ্যক মনে করিলে উক্ত পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রস্ত্ততকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবরাহ করিতে পারিবে’’ শব্দগুলি ও হাইফেন ‘‘যদি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী অনুরোধ করে, বা এইরূপ পরীক্ষার ভিত্তিতে উহার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব বিবেচনাধীন থাকে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রস্ত্ততকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবরাহ করিবে’’ শব্দগুলি, কমাগুলি ও হাইফেনগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৩(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৮০ উপ-ধারা (৫) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৩(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৮১ উপ-ধারা (৬) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৩(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৮২ উপ-ধারা (৩) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৪ ধারাবলে সংযোজিত।

১৮৩ ‘‘প্রধান নির্বাহী কর্তৃক’’ শব্দগুলি ‘‘প্রধান নির্বাহী’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৫(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৮৪ ‘‘আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর’’ শব্দগুলি ‘‘আমানতকারীদের ক্ষতিকর’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৫(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৮৫ উপ-ধারা (৬) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৮৬ ‘‘কোন চেয়ারম্যান বা পরিচালক’’ শব্দগুলি ‘‘কোন চেয়ারম্যান, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী’’ শব্দগুলি ও কমাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৮৭ ‘‘উক্তরূপ চেয়ারম্যান বা পরিচালকের’’ শব্দগুলি ‘‘উক্তরূপ চেয়ারম্যান, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীর’’ শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৮৮ ‘‘এর’’ শব্দটি ‘‘এই’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৬(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৮৯ উপ-ধারা (৫) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৬(খ) ধারাবলে সংযোজিত।

১৯০ ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক’’ শব্দগুলি ‘‘এতদুদ্দেশ্যে’’ শব্দটির পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৭ ধারাবলে সন্নিবেশিত।

১৯১ “ব্যবসা” শব্দটি “ব্যবস্থা” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ১৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

১৯২ ‘‘৭৫’’ সংখ্যাটি ‘‘৭৬’’ সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৮(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৯৩ “;” সেমিকোলন “।” দাঁড়ির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং দফা (ঙ) ও (চ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৮(খ) ধারাবলে সংযোজিত।

১৯৪ প্রথম অনুচ্ছেদটি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৯৫ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘কোম্পানী বা ব্যক্তিকে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৯৬ ‘‘কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলি ‘‘কোম্পানীর বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৯৭ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘কোম্পানী বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৯(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৯৮ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘কোম্পানী বা ব্যক্তি’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৪৯(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

১৯৯ ‘‘কোম্পানী’’ শব্দটি ‘‘ব্যাংক-কোম্পানী’’ শব্দগুলি ও হাইফেনের পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫০(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২০০ ‘‘প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি’’ শব্দগুলি ‘‘ব্যক্তি’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫০(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২০১ “৩১(১)” সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলি “৩২(১)” সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ২০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২০২ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘কোম্পানী বা ব্যক্তিকে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫০(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২০৩ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘কোম্পানী’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫০(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২০৪ ‘‘কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান’’ শব্দগুলি ‘‘ব্যাংক-কোম্পানী’’ শব্দগুলি ও হাইফেনের পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২০৫ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘কোম্পানী বা ব্যক্তি’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২০৬ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘কোম্পানী বা ব্যক্তি’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২০৭ উপ-ধারা (১) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫২(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২০৮ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘কোম্পানী বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২০৯ ‘‘কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী’’ শব্দগুলি ‘‘কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২১০ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘কোম্পানী বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২১১ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘কোম্পানী বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫২(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২১২ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘ব্যাংক-কোম্পানী’’ শব্দগুলি ও হাইফেনের পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২১৩ ‘‘কোম্পানীর বা প্রতিষ্ঠানের’’ শব্দগুলি ‘‘কোম্পানীর’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২১৪ ‘‘কোম্পানীর বা প্রতিষ্ঠানের’’ শব্দগুলি ‘‘কোম্পানীর’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২১৫ ‘‘কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘কোম্পানী বা ব্যক্তির’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২১৬ ‘‘কোম্পানীর বা প্রতিষ্ঠানের’’ শব্দগুলি ‘‘কোম্পানীর’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২১৭ “নবম খণ্ড” শব্দগুলি “Part IX” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২১৮ “দেউলিয়া বিষয়ক আইন, ১৯৯৭ (১৯৯৭ সনের ১০ নং আইন)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলি “Insolvency Act, 1920 (V of 1920)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২১৯ “আইন” শব্দটি “Act” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২২০ ‘‘দুই লক্ষ’’ শব্দগুলি ‘‘বিশ হাজার’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২২১ ‘‘প্রতিষ্ঠান’’ শব্দটি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৬(ক) ধারাবলে বিলুপ্ত।

২২২ উপ-ধারা (১) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৬(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২২৩ ‘‘প্রতিষ্ঠান এবং উক্ত ব্যাংকের’’ শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৬(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

২২৪ ‘‘প্রতিষ্ঠানের’’ শব্দটি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৬(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

২২৫ ‘‘প্রতিষ্ঠান ও উহার’’ শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৬(ঘ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

২২৬ ‘‘প্রতিষ্ঠান,’’ শব্দটি ও কমা ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৬(ঘ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

২২৭ ‘‘প্রতিষ্ঠান ও উহার’’ শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৬(ঙ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

২২৮ ‘‘ধারা ৫৮ এর আওতায় অধিগৃহীত কোন ব্যাংকের ব্যাপারে’’ শব্দগুলি ‘‘কোন অধিগৃহীত ব্যাংকের ব্যাপারে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৭(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২২৯ ‘‘প্রতিষ্ঠান ও উহার’’ শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৭(খ)(অ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

২৩০ ‘‘প্রতিষ্ঠান ও উহার’’ শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৭(খ)(আ) ধারাবলে বিলুপ্ত।

২৩১ “আইনের” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৩২ ‘‘কোন ব্যাংক-কোম্পানীর শাখা কিংবা অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে, অধিগৃহীত ব্যাংকের সম্পদ ও দায়’’ শব্দগুলি, হাইফেনগুলি ও কমা ‘‘অধিগৃহীত-ব্যাংক বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত হইলে, অধিগৃহীত ব্যাংককে, অধিগৃহীত ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান’’ শব্দগুলি, কমাগুলি ও হাইফেনের পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৩৩ “হাইকোর্ট বিভাগের” শব্দগুলি “সুপ্রীম কোর্টের” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৫৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৩৪ ‘‘সকল আইনগত কার্যধারা’’ শব্দগুলি ‘‘ব্যবসা বা কার্যক্রম গ্রহণ ও চালু রাখা’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৩৫ “ধারা ২২৮, ২৪১ এবং ৩৭২” শব্দগুলি, কমা ও সংখ্যাগুলি “Sections 153, 162 এবং 271” শব্দগুলি, কমা ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৩৬ “আইনের” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৩৭ “আইনের” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৩৮ “আইনের” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৩৯ “ধারা ২৪২” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 163” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৪০ “ধারা ২৫০ অথবা ২৫৫” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলি “Section 171 অথবা 175” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৪১ “আইন” শব্দটি “অধ্যাদেশ” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৪২ “ধারা ২৫৬” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 176” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৪৩ “ধারা ৫৩ অথবা ২৫৫” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলি “Section 50 অথবা Section 175” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৪৪ “আইনের” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৪৫ ‘‘৬৬ বা ৬৭’’ সংখ্যাগুলি ও শব্দ ‘‘৬৭ বা ৬৮’’ সংখ্যাগুলি ও শব্দের পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৪৬ “ধারা ২৫৩” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 173” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৪৭ “ধারা ২৫৯” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 177B” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৪৮ “আইন” শব্দটি “অধ্যাদেশ” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ২১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৪৯ দফা (ক) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৫০ “ধারা ৩২৫” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 230” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৫১ “ধারা ৩২৫” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 230” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৫২ “ধারার” শব্দটি “Section এর” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৫৩ “ধারা ২৬১ এবং ২৬৬” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলি “Section 178A এবং 183” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৫৪ “ধারা ২৭৪” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 191” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৫৫ ধারা ৭৪ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৫৬ “ধারা ২৮৬” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 203” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৫৭ “ধারা ৩১৪ এবং ৩১৫” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলি “Section 218 এবং 220” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৫৮ “ধারা ৩২৫” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 230” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৫৯ “স্থগিতকরণসহ” শব্দটি “স্থাপিতকরণসহ” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ২২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৬০ উপ-ধারা (১৬)ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৪ ধারাবলে সংযোজিত।

২৬১ “ধারা ২২৮” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 153” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৬২ ‘‘নিকট’’ শব্দটি ‘‘দেনাদারের’’ শব্দটির পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৫(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।

২৬৩ ‘‘এবং’’ শব্দটি ‘‘সে ব্যক্তি’’ শব্দগুলির পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৫(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।

২৬৪ দফা (ক) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৫(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৬৫ “ধারা ২৬৭” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 184” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৬৬ ‘‘নহেন’’ শব্দটি ‘‘ছিলেন না’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৬৭ “ধারা ৩৩১” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 235” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৬৮ “ধারা ৩৩১” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 235” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৬৯ “ধারা ২২৮” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 153” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৭০ “ধারা ২২৮” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 153” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৭১ “ধারা ১৯১” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 135” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৭২ “ধারা ৩৩১” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 235” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৭৩ “ধারা ৩৩১” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 235” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৭৪ “ধারা ২২৮” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 153” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৭৫ “ডিক্রি” শব্দটি “ডিগ্রি” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ২৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৭৬ ‘‘১২০’’ সংখ্যা ‘‘১২১’’ সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৭৭ ‘‘একজন বা একাধিক’’ শব্দগুলি ‘‘একজন’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৮(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৭৮ ‘‘যাহাকে বা যাহাদিগকে’’ শব্দগুলি ‘‘যাহাকে’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৮(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৭৯ ‘‘অন্য কোন ব্যক্তিকে বা ব্যক্তিবর্গকে’’ শব্দগুলি ‘‘অন্য কোন ব্যক্তিকে’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৮(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৮০ ‘‘মনোনীত কোন ব্যক্তি’’ শব্দগুলি ‘‘মনোনীত ব্যক্তি’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৮(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৮১ ‘‘সামগ্রী কে’’ শব্দগুলি ‘‘সামগ্রীকে’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৮২ “অষ্টম খণ্ড বিবিধ” শব্দগুলি ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪৪ ধারাবলে বিলুপ্ত

২৮৩ ‘‘অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদন্ডে এবং অন্যূন দুই লক্ষ টাকা এবং অনধিক বিশ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয়’’ শব্দগুলি ‘‘অনধিক ৭ বৎসর কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয়’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৮৪ ‘‘অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদন্ডে এবং অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয়’’ শব্দগুলি ‘‘অনধিক তিন বৎসরের কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয়’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৮৫ ‘‘ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোনরূপ আর্থিক সুবিধা’’ শব্দগুলি ‘‘অগ্রিম’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৮৬ ‘‘অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদন্ডে অথবা অন্যূন এক লক্ষ টাকা এবং অনধিক দশ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয়’’ শব্দগুলি ‘‘অনধিক তিন বৎসরের কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনধিক বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয়’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৮৭ ‘‘অন্যূন দশ হাজার টাকা এবং অনধিক এক লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত’’ শব্দগুলি ‘‘অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডনীয়’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৮৮ ‘‘অন্যূন পাঁচশত টাকা এবং অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত’’ শব্দগুলি ‘‘অনধিক একশত টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডনীয়’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৮৯ ‘‘জরিমানা আরোপিত’’ শব্দগুলি ‘‘অর্থ দণ্ডে দণ্ডনীয়’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(ঙ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৯০ ‘‘অন্যূন দশ হাজার টাকা এবং অনধিক এক লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত’’ শব্দগুলি ‘‘অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডনীয়’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(চ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৯১ ‘‘অন্যূন পাঁচশত টাকা এবং অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত’’ শব্দগুলি ‘‘অনধিক একশত টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডনীয়’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(চ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৯২ ‘‘অন্যূন দশ হাজার টাকা এবং অনধিক এক লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত’’ শব্দগুলি ‘‘অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডনীয়’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(ছ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৯৩ ‘‘অন্যূন পাঁচশত টাকা এবং অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত’’ শব্দগুলি ‘‘অনধিক একশত টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডনীয়’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(ছ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৯৪ ‘‘কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান’’ শব্দগুলি ‘‘কোম্পানী’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(জ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৯৫ ‘‘কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের’’ শব্দগুলি ‘‘কোম্পানীর’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(জ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৯৬ ‘‘কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের’’ শব্দগুলি ‘‘কোম্পানীর’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(জ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

২৯৭ উপ-ধারা (৯) এবং (১০) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ২৪ ধারাবলে সংযোজিত

২৯৮ উপ-ধারা (৯) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

২৯৯ ‘‘তাহাকে কেন আর্থিক জরিমানা’’ শব্দগুলি ‘‘তাহাকে কেন অর্থদণ্ডে দণ্ডিত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(ঝ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩০০ ‘‘যে কোন অংকের আর্থিক জরিমানা’’ শব্দগুলি ‘‘যে কোন অংকের অর্থদণ্ডে দণ্ডিত’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(ঝ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩০১ ‘‘জরিমানা’’ শব্দ ‘‘অর্থদণ্ড’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(ঞ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩০২ ‘‘জরিমানাকৃত অর্থ’’ শব্দগুলি ‘‘দণ্ডিত অর্থ’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(ঞ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩০৩ উপ-ধারা (১১) ও (১২) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭০(ট) ধারাবলে সংযোজিত।

৩০৪ ধারা ১১২ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩০৫ “ধারা ১৭, ৮৩, ৯১, ১০৭, ১৩১, ১৩৩ এবং ২১২” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি এবং কমাগুলি “Sections 17, 77, 83B, 86H, 91B, 91D এবং 144(5)” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি, কমাগুলির এবং বন্ধনীগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৩০৬ ধারা ১১৫ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩০৭ “ধারা ১১” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 11” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৩০৮ ‘‘কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নাম পরিবর্তনের জন্য কোন আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না’’ শব্দগুলি ‘‘সরকার কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নাম পরিবর্তনের জন্য উহার অনুমোদন দিবে না’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩০৯ ‘‘১১, ১৫, ১৫কক, ২৩, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৯, ৭৪ এবং ৭৭’’ সংখ্যাগুলি, কমাগুলি, অক্ষরগুলি ও শব্দ ‘‘১১, ১৫, ২৩, ৪৫, ৪৯, ৭৫ এবং ৭৭’’ সংখ্যাগুলি, কমাগুলি ও শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩১০ ধারা ১২০ ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৪৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৩১১ ‘‘বিশেষায়িত’’ শব্দটি ‘‘নূতন ব্যাংক এবং বিশিষ্ট’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত

৩১২ ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে’’ শব্দগুলি ও কমা ‘‘সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে’’ শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

৩১৩ ‘‘উহাদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে বা ধারা ৪৭ এর উপ-ধারা (৩) এর আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়োগকৃত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা’’ শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী ‘‘উহাদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন মামলা’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৭৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন